"পুরুষের সমস্ত জাতি তুলে ধোলানোটা কোনো বুদ্ধিমত্তার কাজ নয়;
কিংবা আমি পুরুষ সে নারী হলেই নারী জাতির ষষ্ঠী পূজা করাটাও যথার্থ না;
কোনো জাতিই সম্পূর্ণ খা'রা'প হয় না, আবার কোনো জাতিই সম্পূর্ণ ভালোও হয় না, আমার সাথে কোনো একজন মানুষ প্র'তা'র'ণা করেছে মানেই এই নয় সেই জাতিটাই খা'রা'প;
আর হ্যাঁ অনেকই হয়তো বলবেন--
"নিজ ভালো তো জগৎ ভালো"
এই প্রবাদবাক্যটি আমি আর বিশ্বাস করি না,
যাকে বিশ্বাস করে বিয়ে করলাম সে তো দিলো মস্ত বড় ধোঁ'কা!
বিয়ের মেহেদী রং হাত থেকে উঠার আগেই, শুরু হলো তার একটু একটু করে মু'খো'শ খোলার পালা।
অন্য নারীতে আ'শ'ক্ত হলে তুমি
নতুন যৌতুকের নে'শা'য়, তাও কি না দে'হ বিক্রি করাই যার একমাত্র কাজ তেমন একজন নারী?
কারণটা কী?
যৌতুক হিসাবে মেয়ের বাবা দশ লক্ষ টাকা আর দশ ভরি সোনা দিবে!
ব'ড্ড অবাক হই তখন-
যখন তোমার স্বরুপ গুলো
রোজ একটু একটু করে আমার কাছে প্রকাশ পায়;
শুনেছি তুমি একাধিক মেয়ের সাথেই এই পর্যন্ত শা'রী'রিক সম্পর্ক গড়েছ,
একটা সময় নি'ষি'দ্ধ যৌ'ন'প'ল্লী'তে তোমার নিয়মিত যাতায়াত ছিল,
ছিঃ ছিঃ ছিঃ
আজ ভাবতেই গা ঘিন ঘিন করে উঠছে;
এতো নারীই যখন ছিলো তোমার জীবনে তবে আমার জীবনে এলে কেনো?
তোমার কাছে এই প্রশ্নটা আমার, শ্বাসরুদ্ধকর জাগা দীর্ঘ রাতের পর রাতের,
বলতে পারো কবে উত্তর পাবো?
আমি মরে যাওয়ার পরও হয়তো আমার অতৃপ্ত আত্নাও এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে যাবে।
"কথায় আছে পা'প'কে ঘৃ'ণা করো পা'পী'কে না",
আর তাই আমি আজও তোমায় ঘৃ'ণা করতে পারি না, ঘৃ'ণা করি শুধু তোমার নোং'রা কার্যকলাপ আর নারী ভো'গী, অ'র্থ লোভী মনটাকে।
একজন যোগ্য অর্ধাঙ্গিনী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলাম ছোট বেলা থেকেই, তাই কখনো প্রেম করিনি জীবনে,
মনে মনে ভাবতাম যে মানুষটি একান্তই আমার হবে তাকে সবটা উজার করে ভালোবাসবো,
ভালোবাসবো প্রতিটি দিন প্রতিটি সেকেন্ড,
পুষিয়ে নিবো অসময়ে না পড়া প্রেমের দিন গুলোর লাভ ক্ষতি।
হিসেবের খাতা খুলে দেখলাম, আমি ডাহা ফেল করে বসে আছি,
আ'ঘা'তে'র পর আ'ঘা'তে জ'র্জ'রি'ত হয়েছি,
ক্ষ'ত- বি'ক্ষ'ত হয়েছি, তবু তোমাকে ছাড়ার কথা একবারের জন্যও ভুল করে ভাবিনি;
জানো! দুঃ'স্বপ্নেও কোনো দিন ভাবিনি কোনো মানুষ এতোটা ন'র'প'শু হতে পারে, একটা সম্পূর্ণ পরিবার এতটা জ'ঘ'ন্য হতে পারে,
যে ব্যবহার আমি তোমার আর তোমার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে পেয়েছি, তেমন ভাগ্য যেন বিধি আমার চরম শ'ত্রু'কেও না দেয়;
তবু আমি কিন্তু হাল ছেড়ে দেই নি, ছেড়ে তো সবাই আসতে পারে, কিন্তু চ'রি'ত্র'হী'ন স্বামীকে কজন নারী সুধরে আনতে পারে?
পারে সঠিক পথে চালিত করতে?
আমি কিন্তু পারবোই বিধাতার কাছে আমি হেরে যাবো না;
কি ভাবছেন সবাই ওকে ছেড়ে নতুন করে আরেক জনকে বিয়ে করে জীবনটাকে গুছিয়ে নিবো?
না তা কখনোই হবে না,
আমার গোছানো জীবনটাকে যে আগোছালো করেছে সে ছাড়া যে আর কারো পক্ষেই সম্ভব নয় আমার জীবনটাকে গোছানোর, তাই তোমাকে আমার লাগবেই;
আমি একজন শিক্ষিতা সুন্দরী স্বনির্ভরশীল নারী, চাইলেই পারি আরেকজনের গলায় ঝুলে পড়তে কিন্তু না তা আমি করবো;
আমিও যদি তোমার মতো স্বার্থ খুঁজি তবে সমাজ থেকে তোমাদের মতো মুখোশ পড়া নরপশু গুলো কোন দিনই মানুষে পরিনত হবে না, আর আমিও পারবো না যোগ্য অর্ধাঙ্গিনী হতে,
আর তাই তোমাকে জেল খাটাবো না, তোমার জেল হবে শুধু আমার মনের কারাগারে;
অনেক অ'ন্যা'য় অ'ত্যা'চা'র দিনের পর দিন সহ্য করে যাচ্ছি দাঁতে দাঁত চেপে, শুধু তোমাকে শোধরাতে হবে বলে;
চিন্তা করো না যতোই অ'ন্যা'য় অ'ত্যা'চা'র করো আমি কিন্তু তোমার জীবন থেকে সরছি না,
শেওলা গাছের পেত্নী হয়ে
ম'রা'র পরও তোমার ঘারে চেপে বসবো মনে রেখো,
তুমি শুধুই আমার,
তোমাকে আমার লাগবেই, তুমি যেখানেই যাও না কেনো তোমার খুটি আমার আচঁলেই বাধাঁ আছে,
তুমি জন্ম জন্মান্তরের জন্য শুধুই আমার;
তাই আমি তোমাকে সব মায়া জাল, লোভ, লালসার পথ থেকে ফিরিয়ে আনবোই, সংসার তোমার আমার সাথেই করতে হবে অন্তত সাত জন্ম, তবেই তো হব আমি যোগ্য অর্ধাঙ্গিনী।
কলমেঃ লেখক প্রণব মন্ডল।
১৯ ঘন্টা ৪৫ মিনিট আগে
৫ দিন ৭ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
৬ দিন ৫ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে
১১ দিন ২০ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
১৮ দিন ১৮ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
১৯ দিন ১০ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে
১৯ দিন ১৫ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে
২৮ দিন ৪ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে