২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরো ৫ জনের মৃত্যু সাতক্ষীরা জেলা তরুণ দলের পূণাঙ্গ কমিটি কমিটি অনুমোদন করায় আনন্দ মিছিল ও র‍্যালী জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাস: শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তি শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে গঠনতন্ত্র তৈরি ও সরকারি বিভিন্ন সুবিধা প্রাপ্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নালিতাবাড়ীর রুপনারায়ণকুড়া ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্তিকরণ (প্রতিবন্ধিতা) তৃতীয় লিঙ্গ, আদিবাসীদের অধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত জুলাই-আগস্টে আহতদের নিয়ে কাজ করা রাজনৈতিক দলগুলোর কর্তব্য: উপদেষ্টা নাহিদ বাংলাদেশ-আজারবাইজান সম্পর্ক আরো গভীর করার প্রতিশ্রুতি জামালপুর ছাত্রকল্যাণ সমিতির নেতৃত্বে শাকিল, আব্দুল্লাহ বরিশালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আইজিপি অংশগ্রহণে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। কুড়িগ্রামে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে সমন্বয়সভা অনুষ্ঠিত ডোমারে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন : সভাপতি- তারিক ও সম্পাদক- সুমন নির্বাচিত সুনামগঞ্জে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত-১০ নাগরপুরে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত আমরা দেশকে ভালোবাসি তাই আমরা পালাইনি- যুগ্ম মহাসচিব আডাউর রহমান নানা আয়োজনে কুড়িগ্রামে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালন বড়লেখায় 'রাজনৈতিক মামলায়' বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার সকল শ্রম সমস্যা সমাধানের অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার ডোমারে সাবেক চেয়ারম্যান আনজারুল হকের স্মরণসভা গাজা যুদ্ধ থামাতে ট্রাম্পকে আরবদের চাপ জনস্বার্থে বন্ধ থাকা বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো চালু করার নির্দেশ

পাঁচ বছর পর ‘বিশেষ’ সচিব সভা

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 27-11-2022 01:22:07 am

প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস-সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সদস্য ও সচিবদের সঙ্গে দুটি পৃথক সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবদের নিয়ে গঠিত নিকার সভা হবে আগামীকাল রবিবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১১টায়। আর সচিবদের সঙ্গে বৈঠকটি হবে দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। 


চলমান মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির পর্যালোচনা, অর্থনৈতিক সংকট, জ্বালানি, কৃষি, খাদ্যসহ একগুচ্ছ বিষয়ে এসব বৈঠকে আলোচনা হবে বলে খবর মিলেছে। নিকারের সভায় পদ্মা ও মেঘনা নদীর নামে আরও দুটি প্রশাসনিক বিভাগ চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে পারে। 


বৃহত্তর ফরিদপুরের কয়েকটি জেলা নিয়ে ‘পদ্মা বিভাগ’ আর কুমিল্লা ও আশপাশের কয়েকটি জেলা নিয়ে ‘মেঘনা বিভাগ’ সৃষ্টির প্রস্তাব ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।


পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রী সচিবদের সঙ্গে সশরীরে সভা করছেন। করোনা ভাইরাসের কারণে এ সভাটি বিলম্বিত হয়েছে। সভা ঘিরে সচিবদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। তা ছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এ সভা নিয়ে সচিবদের মধ্যে বেশ কৌতূল রয়েছে। 


সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বিশেষ কোনো নির্দেশনা দিতে পারেন এই বৈঠকে। তাই এটিকে বিশেষ সভা হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।


সরকারপ্রধানের উপস্থিতিতে সর্বশেষ সচিব সভা হয় ২০১৭ সালের ২ জুলাই। ২০২১ সালের ৪ জুলাই চার বছর পর সরকারপ্রধানের উপস্থিতিতে সচিব সভা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে তা স্থগিত করা হয়। এরপর লকডাউন তুলে দেওয়ার পর গত বছর ১৮ আগস্ট ভার্চুয়ালি সচিব সভা হয়। প্রধানমন্ত্রী পাঁচ বছর পর সশরীরে উপস্থিতি হওয়ায় সচিবদের পক্ষ থেকে দাবি-দাওয়া তোলা হতে পারে বলে পদস্থ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।


তারা বলছেন, সচিব সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রগতির বিষয়ে কার্যপত্র উপস্থাপন করা হবে। তবে দেশের উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সমস্যা, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জ্বালানি সংকটসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় প্রাধান্য পাবে। 


এ ছাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষাসহায়তা কর্মসূচি, নারীর ক্ষমতায়ন, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, বিনিয়োগ বিকাশ, পরিবেশ সুরক্ষা ইত্যাদির অগ্রগতি উপস্থাপন করা হবে। 


পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতি, দেশের খাদ্যনিরাপত্তা ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দেশের অর্থনীতি সুসংহত রাখা, সরকারি সেবা প্রদানে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার-বিষয়ক পরিকল্পনা, পতিত জমি আবাদের আওতায় আনাসহ নির্বাচন-পূর্ব পরিস্থিতি নিয়েও সচিব সভায় আলোচনা হবে।


গুরুত্ব পাবে আগামী জাতীয় নির্বাচন


সূত্র বলছে, এবার প্রধানমন্ত্রী সভায় সশরীরে উপস্থিত থাকার সম্মতি দেওয়ায় সভাটির বিশেষ গুরুত্ব থাকছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অনেকে উদ্বিগ্ন। এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শেষে নির্দেশনা পেলে সচিবদের পক্ষে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহজ হবে। 


তা ছাড়া আগামী বছর ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। এর আগে এই সচিব সভা অনেক গুরুত্ব বহন করছে। তাই দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নসহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়েও সভায় আলোচনায় প্রাধান্য পাবে। প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন বিষয়ে বলার জন্য সচিবরা প্রস্তুতি নিয়েছেন।


বর্তমান ও সাবেক একাধিক সচিব বলেন, প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে দেশের সার্বিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে খাদ্যনিরাপত্তা, দুর্যোগ, স্বাস্থ্য পরিস্থিতিসহ জনসম্পৃক্ত বিষয়গুলো সর্বোচ্চ গুরুত্ব পায়।


তবে নির্বাচনের আগের বছরগুলোয় জাতীয় নির্বাচন-সংক্রান্ত ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়। এবারের সভায় তেমনটাই হতে পারে। দেশের অবস্থার সঙ্গে প্রশাসনিক অনেক বিষয়ও আলোচনা হবে। নিজেদের কিছু দাবিদাওয়াও এই সুযোগে সরকারপ্রধানের কাছে তুলে ধরেন সচিবরা। 


পদ্মা ও মেঘনা বিভাগ অনুমোদন


দেশের প্রধান দুই নদী পদ্মা ও মেঘনার নামে আরও দুটি প্রশাসনিক বিভাগ নিকার সভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পাচ্ছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে। 


ফরিদপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর নিয়ে হবে পদ্মা বিভাগ। এর প্রশাসনিক কার্যালয় ফরিদপুরে থাকবে। কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলা নিয়ে হবে মেঘনা বিভাগ। এর বিভাগীয় প্রশাসনিক কার্যালয় হবে কুমিল্লায়। 


বর্তমানে দেশে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ নামে আটটি প্রশাসনিক বিভাগ রয়েছে। এবার পদ্মা ও মেঘনা অনুমোদন হলে দেশে প্রশাসনিক বিভাগ হবে ১০টি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন দুটি বিভাগ গঠনের ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন। 


গত বছর অক্টোবরে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এই দুই বিভাগ নিয়ে কথা বলেন। এ ছাড়া থানা স্থানান্তর, নতুন পৌরসভা গঠন, উপজেলা সীমানা পুনর্গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন পেতে পারে নিকার সভায়।

আরও খবর