সেভেন সিস্টার্স নিয়ে কী বলেছেন ড. ইউনূস, ভারতে তোলপাড় কেন? বাঘায় বিএনপি নেতার নেতৃত্বে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর-দোকানপাটে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ফারুক ফাউন্ডেশনের ফুটবল ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত লালপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় ৪২ জনের বিরুদ্ধে মামলা, আটক ৭ এপ্রিলে ৪০ ডিগ্রি ছাড়াতে পারে তাপমাত্রা, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা সুন্দরগঞ্জে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু। পীরগাছায় তাম্বুলপুর কেন্দ্রীয় ঈদগা মাঠে নামাজ আদায় করেন এমদাদুল হক ভরসা আনন্দ বাজারে ফারুকের দোকানে আগুন কুলিয়ারচর ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যাক্তি নিহত গোয়ালন্দ ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল কক্সবাজার থেকে হেঁটে এভারেস্ট জয় করতে যাচ্ছেন ইকরামুল রামু গুলিতে যুবক নিহত অভিযুক্ত চাচাতো ভাই পলাতক রাজবাড়ীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা ঝিনাইগাতীর ডেফলাই গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাইমুন আর নেই চুরির পর মালিককে চোরের ফোন :ক্যাশে এত কম টাকা রাখছেন কেন? ঈদগাহে মাইক বাজানো নিয়ে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০ বাঘায় বিএনপি নেতার নেতৃত্বে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ও দোকানপাটে ব্যাপক হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট কুলিয়ারচরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই জন নিহত

আমনের ভরা মৌসুমেও চালে দুঃসংবাদ

স্টাফ রিপোর্টার - প্রতিনিধি

প্রকাশের সময়: 22-12-2024 03:57:37 pm


আমনের ভরা মৌসুমেও চালের বাজার অস্থির। গ্রাম থেকে শুরু করে রাজধানীর ক্রেতারা পর্যন্ত অস্বস্তিতে পড়েছেন। চাষিদের ঘরে ঘরে ঘরে এখন আমন ধান উঠলেও দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। ফলে সাধারণ ক্রেতারা যে মৌসুমের দিকে তাকিয়ে ছিলেন তারা পড়েছেন বিপাকে। ভরা মৌসুমেও বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে সব ধরনের চাল।


বগুড়ার গাবতলীর হালিমা বেগম নামের এক ক্রেতা বললেন, ভাবছিলাম আমন উঠলে দাম কমবে। তখন সারা বছরের খাবারের জন্য বেশি করে চাল কিনব। কিন্তু ভরা মৌসুমেও তো দেখছি চালের দাম কমছে না।  


ভরা মৌসুমে সব ধরনের চালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না অনেকে। দাম বৃদ্ধির জন্য তাই খুচরা, পাইকারি বিক্রেতা আর মিল-মালিকরা পরস্পরকে দুষছেন। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন পাইকাররা। আর পাইকাররা বলছেন, মিলাররা সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। তাদের ত্রিমুখী দোষারোপের খেলায় হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা।


অন্যদিকে, বড় ব্যবসায়ী আর আমদানিকারকরা চালের দাম বাড়ার পেছনে আন্তর্জাতিক বাজারের যুক্তি তুলে ধরছেন। তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের চড়া দাম আর ডলারের উচ্চমূল্যের কারণে আমদানি মূল বেড়ে গেছে। ফলে দেশীয় বাজারে সেই প্রভাব পড়ছে। এতে চালের দামও বেড়ে গেছে।


প্রাপ্ত তথ্যমতে, খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে চালের দাম এখন ঊর্ধমুখী। গেল দুই সপ্তাহের মধ্যে পাইকারিতে ৫০ কেজির বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা পর্যায়ে। সরু ও মিনিকেটের দাম কেজিতে বেড়েছে ৭ থেকে ৮ টাকা। মোটা ও মাঝারি চালের দাম কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা করে বেড়েছে।


বাজারে সবচেয়ে কম দামের মোটা চাল গুটিস্বর্ণা কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকায়। চিকন চাল পাইজাম ৫৮ টাকা এবং মিনিকেটের জন্য গুণতে হচ্ছে মানভেদে ৭২ থেকে ৭৮ টাকা পর্যন্ত। অভিজাতদের চাল হিসেবে পরিচিত নাজিরশাইল মিলছে না ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজির নিচে।


রাষ্ট্রায়াত্ত্ব সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, গেল এক বছরের ব্যবধানে দেশে চিকন ও মাঝারি চালের দাম বেড়েছে ১৪ শতাংশ। আর মোটা চালের দাম ৭ শতাংশের বেশি বেড়েছে।


দাম বাড়ার আরেক কারণ জানাচ্ছেন খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীররা। তাদের অভিযোগ, মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এক বিক্রেতা বললেন, মিলে দাম বেড়েছে। মিলাররা চাল দিতে চায় না। অনেকে নতুন অর্ডারও নিচ্ছে না।


যদিও মিল মালিকরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে যুক্তি দেখাচ্ছেন, স্থানীয়ভাবে যে চাল উৎপাদন হচ্ছে, তা দিয়ে চাহিদা মিটছে না। চাহিদা মেটাতে চাল যে আমদানি করা হচ্ছে তার দামও বাড়তি। তাছাড়া ডলারের উচ্চমূল্যের প্রভাবও পড়ছে চালের দামে।


ক্রেতারা বলছেন, সংসার চালাতে সবারই একটা বাজেট থাকে। মাসে কত টাকা কোন খাতে ব্যয় করা হবে তা নিয়ে হিসাব থাকে। কিন্তু বাজারে জিনিসের দাম বেড়ে গেলে সেই বাজেট ফেল হয়। ফলে প্রয়োজনের চেয়ে কম কিনতে হয়। তখন ঘাটতি মেটানো কষ্টকর হয়ে যায়।



ধানের চড়া দামের কারণে যে চালের দাম বেড়েছে সে বিষয়ে যুক্তি দেখাচ্ছেন আড়তদাররা। তারা আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে গুটিকয়েক করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কারসাজিকেও দায়ি করছেন।


এক আড়তদার বললেন, মিলাররা চালের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছেন। এক-দুইদিনের ব্যবধানেই তারা ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এমন ইতিহাস কখনও ছিল না। তারা এভাবে দাম না বাড়ালেও পারতেন।


বিষয়টি নিয়ে আমিনুল ইসলাম নামের এক মিল মালিককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন, আমদানি করা পণ্য খুব ধীরে দেশে আসছে। তাছাড়া সেগুলোর দামও অনেক চড়া। যার প্রভাব পড়েছেন দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে। আমিনুলের দাবি, আমদানিতে খরচ কমলে দেশের বাজারেও দাম কমে আসবে।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেরদৌস আহমেদ নামে এক আমদানিকারক বললেন, ডলারের দাম বাড়ার কারণে আমদানি খরচ অনেকা বেড়ে গেছে। ফলে খুচরা পর্যায়ে দাম বেড়েছে। সরকার যদি ডলারের দামের লাগাম টানতে পারে তাহলে বাজারে স্বস্তি ফিরবে।

আরও খবর






67d143e6f3994-120325022054.webp
চালের দামে রেকর্ড, আমদানিতে অনীহা

২০ দিন ১৭ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে