চালের সম্ভাব্য ঘাটতি বিবেচনায় নিয়ে সরকার শুল্কমুক্ত চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে দেশের শীর্ষ আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের। শুল্কহার কমিয়ে আমদানি বাণিজ্য উৎসাহিত করেছে ব্যবসায়ীদেরকে।
গত ১০ দিনে ভোমরা বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৯ হাজার ৪৩৪ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। দেশের ৩৭টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভোমরা বন্দর ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত চাল আমদানি বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছে। চালের আমদানি পর্যাপ্ত হলেও বাজারে এর প্রভাব নেই।
চালের আমদানি প্রক্রিয়ায় দাম কমার কথা থাকলেও কেজি পতি চালের দাম বেড়েছে ৪/৫ টাকা। এখন মোটা জাতের স্বর্ণা ও চায়না প্রতি কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। মাঝারি ব্রি-২৯ বিক্রি হচ্ছে ৬১ থেকে ৬৫ টাকা।
মিনিকেট নামে পরিচিত সরুচাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। সরু নাজিরশাইল বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা। কাটারিভোগ ও অন্যান্য সুগন্ধি চালের দাম আরও বেশি। আমন ধানের ভরা মৌসুমে এ মূল্য অস্বাভাবিক। ক্রেতারা অভিযোগ করে বলছেন, ব্যবসায়ীরা অন্যায্য মুনাফা অর্জন করছেন ভোক্তাদের কাছ থেকে।
তাতে কষ্ট পাচ্ছে গরিব খেটে খাওয়া মানুষ। আমদানিকারকরা বলছেন, ভারতে চালের দাম বেশি। তাই আমদানি করা চালের দামও বেশি। সেজন্য আমদানি করা চালের দাম করার কোন সম্ভাবনা নেই।
ভোমরা বন্দর বাজার ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে মোটা চাল ৫৫ টাকা, আঠাশচাল ৬৫-৭০ টাকা, হিরা মিনিকেট ৭৫ টাকা, ইন্ডিয়ান মিনিকেট ৭৫ টাকা, বাসমতি ৯০ টাকা, পাইজাম ৫৬ থেকে ৬০ টাকা দরে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। একজন ভুক্তভোগী ক্রেতা আজমল হোসেন জানান, প্রতিবছর এ সময় নতুন ধান উঠলে বাজারে চালের দাম অনেকটা কমে আসে।
কিন্তু এবার বাজারে চিত্রটা উল্টো। ভোমরা স্থল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) জানান, দেশের শীর্ষ আমদানি কারক ব্যবসায়ীরা শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভারত থেকে চাল আমদানি করছে। যেহেতু চাল নিত্যপণ্য এবং বাজারে রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। সেহেতু আমদানিকৃত চাল বন্দরে আসা মাত্রই দ্রুত ছাড়করণের ব্যবস্থা করা হয়।
৩ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে