আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, রাজশাহীর মানুষ বিএনপির গণসমাবেশ প্রত্যাখ্যান করেছে।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে ব্যাহত ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।এতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আজকে (শনিবার ) রাজশাহীতে যে সমাবেশ বা মহাসমাবেশ বিএনপি আহবান করেছিল। যার জন্য গত কয়েকদিন থেকে তাদের নানা রকম প্রচার-প্রচারণা ছিল, প্রচুর লোক হবে, কয়েক লাখ মানুষ ও নেতাকর্মী সমবেত করবে। এক্ষেত্রে বিএনপি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। কারণ মাদ্রাসা মাঠটিতে খুব বেশি মানুষ লাগে না, সেখানে প্রায় ২৫ হাজারের মতো মানুষ হলে মাঠটি কানায় কানায় ভরে যায়, আশপাশের রাস্তা মিলে ৫০ হাজার মানুষ লাগে পূর্ণ হতে। আমরা ড্রোনে তোলা ছবিতে দেখেছি, বিএনপির সমাবেশের মাঠটি ফাঁকা। তাদের দলের নেতাকর্মী যারা বাইরে থেকে এসেছেন, তারা হয়তো ছিল। কিন্তু স্থানীয় নেতাকর্মীরা হয়তো সেভাবে অংশ নেননি। সাধারণ মানুষের যাওয়ার তো বাস্তবতা নেই, অংশ নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এ ধরনের আন্দোলন, সরকার পতনের অগণতান্ত্রিক ঘোষণার সঙ্গে সাধারণ মানুষ থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। সেই কারণে আমি মনে করি এ সমাবেশ ‘ফ্লপ’ হয়েছে। বিএনপির কতিপয় নেতাকর্মী ছাড়া সাধারণ মানুষ সমাবেশ পত্যাখ্যান করেছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বিএনপি রাজশাহীতে সেমিফাইনাল খেলার ঘোষণা দিয়ে এসেছিল। কেন তারা রাজশাহীতে সেমিফাইনাল খেলার জন্য পছন্দ করলো সেটি আমারও প্রশ্ন। তারা হয়তো মনে করছেন, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট ইত্যাদি তাদের সেই আগের ঘাঁটিটায় থেকে গেছে। যেখানে তাদের প্রার্থীরা দাঁড়ালে ধানের শীষে মানুষ ভোট দিয়ে জিতে দেয়। কিন্তু উনারা জানেন না, গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকার এ সময়কালে রাজশাহীর পাশ দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদী দিয়ে অনেক মিলিয়ন কিউসেক পানি প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পৌঁছে গেছে। ওই পানি যাওয়ার সময় বিএনপি-জাতীয়তাবাদী যারা ছিল, তাদের অনেককে টেনে নিয়ে চলে গেছে। এটি এখন আর বিএনপির ঘাঁটি নয়। যদি তাই হতো তাহলে আজকে সমাবেশের মাঠের এ করুন অবস্থা হতো না।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনেও অনেক চক্রান্ত হবে, আবারও কালো টাকা ছড়িয়ে দেওয়া হবে, প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হবে, মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হবে, নৌকা মার্কাকে ভোট না দেওয়ার জন্য নানা চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করা হবে। কিন্তু ২০২৪ সালে নৌকায় জিতে যাবে ইনশাল্লাহ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ। দুপুর আড়াইটায় শুরু হয়ে সমাবেশ চলে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত। প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। সঞ্চালনা করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার, সহ-সভাপতি ডাঃ তবিবুর রহমান শেখ, যুগ্ম সম্পাদক আহ্সানুল হক পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, সদস্য ও বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস সালাম, সদস্য বাদশা শেখ। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সদস্য আশীষ তরু দে সরকার অর্পণ। আরো বক্তব্য রাখেন থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ, কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ইপফাৎ আরা কামাল, মহানগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ আলী মুনমুন, মহানগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, মহানগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, মহানগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা, মহানগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সিরাজুম মুবিন সবুজ, মহানগর তাঁতী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোকসেদ-উল-আলম সুমন।
২ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে
১ দিন ১০ ঘন্টা ০ মিনিট আগে
১ দিন ১৬ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
১ দিন ১৬ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে
২ দিন ৪৬ মিনিট আগে
২ দিন ৮ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে