◾মো. রাফিউজ্জামান সরকার || শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড, এই বাক্যটি দ্বারা শিক্ষাকে মানুষের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয় বোঝানো হয়। শিক্ষায় একজন মানুষের চিন্তা চেতনা, মূল্যবোধ, বিবেক-বিবেচনাবোধ সহ সৃজনশীলতা চিন্তা করার মতো ক্ষমতা হয়। তবে সন্দেহের বিষয় জাতি হিসেবে আমাদের ঐ শিক্ষা ব্যবস্থা কতটুকু আছে? যেটায় জাতির মেরুদণ্ড তৈরি হয়, মানুষের চিন্তাচেতনার পরিবর্তন হয়। স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পার হলেও বদলায়নি দেশের শিক্ষার গুনগত মান। গুটিকতক অবকাঠামো উন্নয়নের আবরণে শিক্ষার বিকাশের পথ থমকে আছে। পরিবর্তনশীল শব্দটা সব জায়গায় আক্ষরিক অর্থে ঠিকঠাক চললেও বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় শব্দটা বিপরীত দিকে। শিক্ষার গুনগত মানের অভাবে কয়েকটি প্রজন্ম আজ সৃজনশীল চিন্তায় নিজেকে বিকশিত করতে পারছে না, তথাপি পাচ্ছেনা গতানুগতিক ধারা থেকে বের হওয়ার পথ। অন্য সকল দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ও পাঠ্যক্রমে যখন অনেক সৃজনশীলতা লক্ষণীয় তখন বাংলাদেশে আপনার চোখে পড়বে রাস্তা ঘাট কালভার্টের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বলার অপেক্ষা রাখে না পুরো একটা প্রজন্ম আজ শিক্ষা সংস্কৃতির ভুল প্রয়োগে অনিশ্চিত সমস্যায় পরে গিয়েছে শুধুমাত্র কার্যকরী শিক্ষা ব্যবস্থা ও পাঠ্যক্রমের অভাবে।
শুধুমাত্র চাকুরির উদ্দেশ্য শিক্ষা গ্রহণ করার সংস্কৃতিঃ
অস্বীকার করা যায় না বাংলাদেশের সিংহ ভাগ শিক্ষার্থী বর্তমান শিক্ষা অর্জনকে একটি ভালো চাকরি কিংবা সরকারি চাকরি পাওয়ার একটি উপায় বলে মনে করেন। কঠিন সত্য যে একজন শিক্ষার্থীর থেকে সমাজের বড় একটি অংশ এখন অবধি শুধুমাত্র সরকারি চাকরি পাওয়াকে একমাত্র বড় অর্জন বলে বিবেচনা করেন। আরও অবাক করার বিষয় যে জীবনের মূল্যবান ৩০-৩২ বছর কিংবা তারও বেশি বছর আমরা শিক্ষার্থী হিসেবে শেষ করি একটা মাত্র চাকরির প্রত্যাশা করে, তথাপি কঠিন সত্য যে দীর্ঘ ৩০-৩২ বছর চেষ্টার পর চাকরি না হওয়াতে অবশেষে ব্যবসা, কৃষি কিংবা অন্য পেশা বেছে নিতে হয়েছে, এ হারটাও পরিসংখ্যানে বেশ বড়, জরিপ করলে হয়তো দেখা যাবে ৬০ শতাংশ বা তারও বেশি শিক্ষার্থী তাদের কাঙ্ক্ষিত চাকুরি পায় না, পায় না তাদের একাডেমিক বিষয় অনুযায়ী চাকরিও, যার ফলে প্রাপ্য চাকরি এবং শিক্ষালব্ধ বিষয়ের মধ্যে থেকো যায় বিস্তার ফারাক। সব কিছুর মূলে রয়েছে আমাদের শিক্ষা সংস্কৃতির অপরিসীম ঘাটতি। বর্তমান শিক্ষার্থীদের একটি বড় পরিচয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারি 'চাকরির প্রার্থী' হিসেবে, যে পরিচয় তৈরি হয়েছে আমাদের সংকুচিত সংস্কৃতির গতানুগতিক ধারার জন্য, যে ধারায় একজন শিক্ষার্থীকে নতুন চিন্তা করতে বাধা প্রদান করে। খেয়াল করলে দেখা যাবে শিক্ষাকে ঘিরে বড় ধরনের কোচিং ও প্রাইভেট বাণিজ্য হয় আমাদের দেশে। বছর বছর একটি মাত্র ভবনে প্রাইভেট বিশ্বিবদ্যালয়, কাঠামোহীন স্কুল কলেজ, কোচিং, চাকরির জন্য বিভিন্ন কৌশলগত বই বিক্রি, টিউটর, কোচিং ক্লসের ভিডিও সহ নানা রকম অর্থনৈতিক কর্মকান্ড যা বিভিন্ন সময়ে দেশের পত্রিকা এবং সংবাদ মাধ্যমে গুলোতে দেখা যায়। দেশের ছোট বড় শহর গুলোতে লক্ষ লক্ষ সরকারি প্রার্থী শিক্ষার্থী খুঁজে পেতে খুব একটা কষ্ট হবে না।
প্রতিটি শহরেই বড়সড় একটা অংশ বেকার শিক্ষার্থীরা
কয়েক বছর ধরে বসবাস করছে শুধুমাত্র একটি চাকরি প্রত্যাশায়, এই সংস্কৃতি একজন শিক্ষার্থীকে বাধ্য হয়ে মেনে নিতে হয় পারিবারিক এবং সামাজিক চিরাচরিত প্রত্যাশা এবং চাপের কারনে, যা দিন-দিন সামাজিক ব্যধি হিসেবে দাঁড়িয়ে যাওয়ার উপক্রম। আমরা ঠিক ঐ জায়গায় এসে পৌছে গিয়েছি যেখানে একজন শিক্ষার্থীর বড় অর্জন হলো সার্টিফিকেট যা উন্নত দেশ গুলোতে শুধুমাত্র একটা সাধারন দক্ষতা হিসেবে গন্য হয়। হাস্যকর হলেও এটা দেখা গিয়েছে যে একজন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ফলাফল করে একটি মাত্র বাক্য ইংরেজী বলতে পারে না।
শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতাঃ
শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন শুরু করতে হবে প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো থেকে, শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রযুক্তিগত জ্ঞান সহ উন্নত দেশের মতো বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধি সহায়ক পড়াশোনা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে দীর্ঘ সময় নিয়ে প্রথমত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে, লক্ষ্য রাখতে হবে একজন প্রাথমিক বিদ্যালয় উর্ত্তীর্ণ শিক্ষার্থী যেন তথ্য প্রযুক্তি, বিশ্বায়ন এবং বিশ্ব সংস্কৃতি ও প্রতিযোগিতা সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা রাখে। সব রকম শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিবর্তন করতে হবে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যেসব যোগ্যতার প্রয়োজন এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে সেই মানদণ্ডে পরিক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। যেমন প্রাথমিক কম্পিউটার দক্ষতা, শিশুদের উন্নয়ন বিকাশে করনীয় সহ কিছু পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা যা গতানুগতিক একটি মাত্র নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার পর মৌখিক পরিক্ষার মধ্যে না থেকে এর সাথে নতুন কৌশল সংযোজন করতে হবে, সহজ করে বলতে গেলে শুধু মাত্র নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা বাছাই এর মতো চিরাচরিত পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।
অন্যদিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতো ৬ষ্ঠ শ্রেণির থেকে শুরু করে বিভিন্ন বাধ্যতামূলক বিষয় চালু করতে হবে, যেখানে তাত্বিক বিষয় ও কারিগরি/ব্যবহারিক বিষয় গুলোর সমান ভাবে গুরুত্ব থাকবে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন রকম প্রশিক্ষণ বাধ্যতামুলক নিশ্চিত, রোভারিং বা রোভার স্কাউটসের মতো বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গুলোতে প্রবল জোর দিতে হবে। অনুরূপ একজন শিক্ষার্থীকে ৯ম শ্রেনিতে ভর্তির জন্য কিছু বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এমন একটা পরীক্ষা সচ্ছতার সাথে নিশ্চিত করতে হবে। ৯ম শ্রেণীতে একজন শিক্ষার্থীর জন্য তাত্ত্বিক পাঠক্রমের চেয়ে প্রায়োগিক পাঠক্রম বেশি নিশ্চিত করা, যে পাঠক্রমে একজন শিক্ষার্থীকে দক্ষ, আত্নবিশ্বাসী করতে সাহায্য করে এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার নিয়ম এবং মানদণ্ডে কার্যকরী পরিবর্তন আনতে হবে, যাতে শুধু তাত্ত্বিক বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে না বরং তাত্ত্বিক ও কারিগরি দক্ষতা সমান গুরুত্ব পাবে।
ঠিক একই ভাবে উচ্চ মাধ্যমিকেও বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনার পাশাপাশি প্রতিটি বিভাগ অনুযায়ী ব্যবহারিক বিষয় গুলোতে জোড় দিতে হবে, এমন ভাবে একজন শিক্ষার্থীকে গড়ে তুলতে সাহায্য করতে হবে যেনো উচ্চ মাধ্যমিক এর পরে সে জীবিকা কিংবা যেকোনো নতুন কিছু করার জন্য ঝুঁকি নিতে আত্মবিশ্বাস পায়, নতুন যেকোনো পথ যেন সহজ হয় এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে একজন শিক্ষার্থীকে সাহায্য করে। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে গবেষণা সম্পর্কিত পাঠক্রম সংযুক্ত করে বিষয় ভিত্তিক গবেষণাকে ত্বরান্বিত করতে হবে, গবেষণাধর্মী পাঠ্যক্রমে প্রবল জোর দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে গুনগত মান বজায় রাখার জন্য কম সংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে গুনগত মান বজায় রাখতে হবে, লক্ষনীয় যে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে একজন শিক্ষক কে কখনও এক বছরে বা অর্ধ বছরের কর্মপদ্ধতি বা কোর্সে ৫-১০ টি কোর্স নিতে হয় এবং কমপক্ষে ৪০০-৫০০ জন শিক্ষার্থীদের সাথে সেটা পাঠদান করতে হয় যার ফলে সমান ভাবে গুনগত মান নিশ্চিত করতে শিক্ষক হিসেবে হিমসিম খেতে হয়। উপায় হিসেবে প্রতিটি বিভাগ পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করতে হবে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এক কথায় বলতে গেলে প্রাথমিক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চ শিক্ষা পর্যায় পর্যন্ত সময়োপযোগী ব্যবহারিক ও কারিগরি বিষয় গুলোকে জোর দিতে হবে তত্বীয় বিষয়গুলোর থেকে , এজন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সরকার কে প্রধান ভুমিকা রাখতে হবে ।
শিক্ষা সংস্কৃতির পরিবর্তনঃ
আমরা সরকারি শব্দটাতে আটকা পরে গেছি। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি চাকরি এসব-ই একমাত্র অর্জন, এই ধরনের চিন্তাচেতনা থেকে আমাদের সবাইকে এক সাথে বের হয়ে আসতে হবে। এজন্য প্রতিটি শাখা বা বিভাগকে সমান গুরুত্ব দিয়ে চিন্তা করতে হবে উদাহরণ স্বরূপ উদ্যেক্তা, ক্ষুদ্র শিল্প, ব্যবসার যে কোনো প্রতিষ্ঠানসহ সকল শাখা গুলোকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে যা একজন শিক্ষার্থী বিভিন্নভাবে নিজেকে প্রমান করার জন্য যথেষ্ট উদ্যমী ও উৎসাহ পায়। অন্যদিকে একজন শিক্ষার্থীর সামাজিকীকরণের প্রথম মাধ্যম ও প্রতিষ্ঠান তার পরিবার, সুতরাং পরিবার হিসেবে সন্তানদের শুধুমাত্রই সরকারি চাকরি অথবা যেকোন একটি বিষয় মুখাপেক্ষী না করার ক্ষেত্রে পরিবারের একটি বড় ভূমিকা রাখতে হবে। সন্তানদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বন্ধুসূলভ আচরণ করতে হবে যা ব্যক্তি হিসেবে জীবিকা নির্বাহের জন্য সে ঝুঁকি নিয়ে নতুন কিছু করার চিন্তা করতে পারে, এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা দিয়ে গতানুগতিক চিন্তা চেতনায় পরিবর্তন আনতে হবে। সৃজনশীল ও মননশীল চর্চার মাধ্যমে নতুন কিছু করার সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে। অন্যকে সহোযোগিতা, কাজের প্রশংসা এবং কোন সৃজনশীল চিন্তাকে উৎসাহী করার মতো মূল্যবোধ বজায় রাখতে হবে।
উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে সর্বোচ্চ সুযোগ তৈরি করাঃ
শিক্ষার্থী হিসেবে উন্নত দেশে পড়ার চিন্তা করতে গিয়ে বিভিন্ন জটিলতা দেখে পিছিয়ে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এই সমস্যাটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খুব সাধারণ, সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন দিক থেকে এ বিষয়টির সমাধান করতে হবে যেন কোনরকম দ্বিধা ছাড়াই উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারেন। যদি সরকারি বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা যায় তাহলে প্রতি বছরে বেকারত্বের হার কমিয়ে আনার পাশাপাশি নতুন পথ তৈরি হবে শিক্ষার্থীদের জন্য। উদাহরণস্বরূপ মেধাবী বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের বিনা শুল্কে ঋণ প্রদান, কাগজপত্র সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় দ্রততার সাথে করার বিষয় পদক্ষেপ নেয়া যেমন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি। এ সকল বিষয় সহ আরও কিছু বিষয় যেমন ভাষাশিক্ষার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান চালু করা এবং চলমান প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনেক বেশি ত্বরান্বিত করা, পাশাপাশি বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে কারিগরী দক্ষতা অর্জেনের জন্য দেশে সকল রকম সুযোগ তৈরি করতে হবে। একজন শিক্ষার্থীর পরিবারকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের চিন্তায় সহায়তা করতে হবে, যেন বিশ্বায়নের সাথে সে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।
সামরিক প্রশিক্ষণ অথবা অনুরূপ প্রশিক্ষণ চালু করাঃ
অনেক দেশে (রাশিয়া, কোরিয়া, তুরষ্ক, ইসরায়েল, গ্রিস, ডেনমার্ক প্রভৃতি দেশে) বাধ্যতামুলক সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রচলন আছে। সমালোচনা থাকলেও এটি সত্য এরূপ প্রশিক্ষণ একজন শিক্ষার্থীকে শৃঙ্খলা বজায়, সহনশীল ও দায়িত্বশীল মানবিক করে গড়ে তুলতে সাহায্য করে, পাশাপাশি চিন্তা চেতনায় বিশ্বাসী করে তুলেতেও সাহায্য করে। সম্ভব হলে ছোট পরিসরে উচ্চ মাধ্যমিকে এটি কিছু সময়ের জন্য চালু করা যেতে পারে যা শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন রুপ দিতে সাহায্য করবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি বেশ বড়সড় একটি ভূমিকা রাখতে পারে।
সর্বোপরি বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে নতুন একটি কার্যকরী শিক্ষা ব্যবস্থা জরুরি হয়ে পড়েছে, যে শিক্ষা ব্যবস্থায় সত্যিকার অর্থে জাতির মেরুদণ্ড গড়ে। পাশাপাশি যেকোন একটি মাত্র দিকে না থেকে, ব্যতিক্রম চিন্তা চেতনায় নিজেকে যতটা সম্ভব তুলে ধরার চেষ্টা করতে হবে। উন্নত দেশগুলোর মতো আবিষ্কারের নেশা, গবেষণা, ব্যবসাসহ সকল বিষয় ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে, সামাজিক ও পারিবারিক চিরাচরিত কিছু চিন্তা চেতনার পরিবর্তন আনতে হবে, নতুন কিছু করার মানসিকতাকে সমালোচনা না করে উৎসাহিত করতে হবে। অন্যথায় আমরা যে শিক্ষা এবং শিক্ষা সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি তাতে করে একটার পর একটা প্রজন্ম অন্ধকারের দিকে ধাবিত হতে থাকবে। বেকারত্ব ও হতাশাগ্রস্ত মানুষের সংখ্যার মতোন অনেক ধরনের সমস্যা বেড়ে যাবে যা দেশের মানুষের জন্য বিভিন্নরকম বিশৃঙ্খলার চরম রুপ সৃষ্টি করবে।
•• মো. রাফিউজ্জামান সরকার••
তরুণ লেখক ও শিক্ষার্থী
৩ দিন ১৪ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে
৩ দিন ২২ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
৫ দিন ৮ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
৫ দিন ১৯ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
৭ দিন ১৩ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
৮ দিন ৮ মিনিট আগে
১৬ দিন ১২ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে
১৬ দিন ২২ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে