ভারতের ৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যমুনার সামনে অবস্থান জুমার পরও চলবে: হাসনাত ছাত্রদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ ইলিয়াস কাঞ্চনের জেপিবির শার্শায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী ও মাদক ব্যবসায়ীসহ আটক-৩ দুর্যোগ বিষয়ক মহড়া সাগর পাড়ের জীবন যুদ্ধ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ৪ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভয়াবহ আগুন সাবেক মেয়র আইভি গ্রেফতার সাতক্ষীরায় বিএসটিআই অনুমোদিত লাইসেন্স না থাকায় দুই ড্রিংকিং ওয়াটার মালিককে জরিমানা খুবিতে প্রফেসর দীপক কামাল মেমোরিয়াল স্কলারশিপ পেলন ১৬ শিক্ষার্থী মানবতার সেবায় রেড ক্রিসেন্টের ভূমিকা অতুলনীয় - চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ. লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থানের ঘোষণা ঝিনাইগাতীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ১৬টি টাওয়ারসহ পাইপ ধ্বংস, ১টি ট্রাক ও ২টি মাহিন্দ্র জব্দ বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার কাইয়ুমের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে, অভিযোগ পদবঞ্চিত নেতাদের কৃষ্ণনগরে কালিকাপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসায় এডহক কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত নিয়মিত ক্রু মিটিং বাস্তবায়ন করায় পুরস্কার পেলেন বাকৃবির রোভার স্কাউট লিডার প্রথমবারের মতো ইন্টার্নশিপ পেল বাকৃবির মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা আশাশুনিতে অঙ্কনের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের সম্পদ ও ঝুঁকি চিহ্নিত করণ কর্মশালা পীরগাছায় ভাবীর হোটেলে ১৯৯টাকায় পাওয়া যাবে একটি মোটরসাইকেল ভারতের ১৫ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পাকিস্তানের, দাবি দিল্লির লালপুরে তথ্য চাওয়ায় সাংবাদিককে হুমকি ও মিথ্যা মামলার ভয়।।

আদানির কাছ থেকে বিদ্যুতের পুরো সরবরাহ চেয়েছে বাংলাদেশ

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 11-02-2025 07:21:31 pm

শীতকালে কম চাহিদা থাকার পাশাপাশি বকেয়া পরিশোধের জেরে তিন মাস ধরে সক্ষমতার অর্ধেক পরিমাণ বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করছে ভারতের আদানি গোষ্ঠী। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পুরো সরবরাহ চেয়েছে। খবর রয়টার্সের।



২০১৭ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার আদানির সঙ্গে ২৫ বছরের চুক্তি করে। ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যে গোষ্ঠীটির একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ইউনিটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে।


বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের কারণে বিল পরিশোধে দেরি হওয়ায় আদানি গত ৩১ অক্টোবর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনে। ফলে ১ নভেম্বর একটি ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। পরে বাংলাদেশ আদানিকে অর্ধেক সরবরাহ বজায় রাখতে বলে।



রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) জানায়, বকেয়া পরিশোধে তারা প্রতি মাসে আদানিকে ৮৫ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে। এখন আদানিকে দ্বিতীয় ইউনিট চালু করে বিদ্যুতের সম্পূর্ণ সরবরাহ পুনরায় চালু করতে বলেছে।


প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সোমবার দ্বিতীয় ইউনিটটি পুনরায় চালু করা যায়নি উল্লেখ করে বিপিডিবির চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম রয়টার্সকে বলেন, আমাদের বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী তারা (আদানি) দ্বিতীয় ইউনিট চালুর পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু উচ্চ কম্পনের কারণে তা সম্ভব হয়নি।



তিনি বলেন, এই মুহূর্তে প্রতি মাসে আদানিকে ৮৫ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছি। আমরা আরও দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমাদের লক্ষ্য হলো বকেয়া পরিশোধ কমানো। এখন আদানির সঙ্গে তেমন কোনো বড় সমস্যা নেই।


বিপিডিবি ও আদানির কর্মকর্তারা সম্প্রতি একটি বৈঠকের পর মঙ্গলবার আরও একটি ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে বসার কথা রয়েছে, যেখানে তাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি ব্যক্তি বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে গণমাধ্যমে কথা বলার অনুমতি না থাকায় তিনি নাম প্রকাশ করতে চাননি।



আদানি পাওয়ারের একজন মুখপাত্রের কাছে এ নিয়ে জানতে চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি কোনো জবাব দেননি। গত ডিসেম্বর মাসে আদানির একটি সূত্র জানিয়েছিল, বিপিডিবির কাছে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া রয়েছে। তখন বিপিডিবি চেয়ারম্যান দাবি করেছিলেন, প্রকৃত বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন ডলার।


বিদ্যুতের দামের হিসাব নিয়ে আদানির সঙ্গে বাংলাদেশের বিরোধ রয়েছে। রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, প্রায় ৫৫ শতাংশ বেশি অর্থে বাংলাদেশের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র।



বাংলাদেশের একটি আদালত আদানির সঙ্গে চুক্তি পর্যালোচনার জন্য বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কমিটির প্রতিবেদন চলতি মাসের মধ্যে প্রকাশিত হওয়ার কথা। এতে চুক্তি পুনর্মূল্যায়নের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।


গত বছর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আদানির বিরুদ্ধে চুক্তিতে অনিয়মের অভিযোগ তোলে। অভিযোগ অনুযায়ী, ঝাড়খন্ডে থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জন্য আদানি দিল্লির কাছ থেকে যে শুল্ক–সুবিধা পেয়েছিল, তা থেকে বাংলাদেশ কিছুই পায়নি। গত বছরের ডিসেম্বরে রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা তখন চুক্তিটি পর্যালোচনা করার কথা জানান।



আদানির একজন মুখপাত্র তখন রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তির সব শর্ত রক্ষা করছে। ঢাকার পক্ষ থেকে চুক্তি পর্যালোচনার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।  


দুই পক্ষের মতপার্থক্য সমাধান হয়েছে কি না, সেই সম্পর্কে কিছুই বলেননি বিপিডিবি চেয়ারম্যান।


গত বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটররা আদানি গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানি এবং আরও সাত নির্বাহীর বিরুদ্ধে ভারতে ২৬৫ মিলিয়ন ডলারের ঘুষ কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা করেন। তবে আদানি গ্রুপ এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে।



সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সই করা বড় ধরনের জ্বালানি চুক্তিগুলো পর্যালোচনার জন্য বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। এর আগে, ছাত্র আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যান হাসিনা।

আরও খবর



68197f6ac226e-060525091802.webp
ফের বাড়ল সোনার দাম, কাল থেকেই কার্যকর

৩ দিন ৬ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে