◾ মুহাম্মদ তারেক || যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের স্বপ্ন দেখেন এমন হাজারো তরুণ বর্তমান সময়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অনেকেই সফল হচ্ছেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ব্রিজপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন শাহরিয়ার সাকিব। শাহরিয়ার সাকিব ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের পীরের চর গ্রামের বাসিন্দা।
শাহরিয়ার সাকিব ছোটবেলা থেকেই মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচিত। তিনি ভাঙ্গা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও উত্তরা মডেল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে যথাক্রমে জিপিএ ৪.৭২ ও ৪.৭৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি নেন।
এই প্রস্তুতি কালীন সময়ে তার মনে হয় দেশের চেয়ে দেশের বাইরে পড়াশোনাটা তার জন্য বেশি অর্থবহ। কারণ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সামগ্রিক বিশ্বের তুলনায় এখন অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। তাই যদি দেশের বাইরে পড়াশোনা করে সেই জ্ঞানটি দেশের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, এবং দেশের কল্যাণে কাজ করা যায় তাহলে সেটি হবে তার জীবনের সেরা কাজগুলোর মধ্যে একটি।
যেমন ভাবনা তেমন কাজ, আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করলেন এবং ৭ স্কোর অর্জন করলেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্বনামধন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ব্রিজপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করলেন এবং ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস থেকে ভিসা অনুমোদন পেলেন। বর্তমানে তিনি ব্রিজপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত রয়েছেন।
শাহরিয়ার সাকিবের এই সাফল্যে তার পরিবার অত্যন্ত আনন্দিত। শাহরিয়ার সাকিবের বাবা শওকত হোসেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ছেলের এই সাফল্যে তিনি দৈনিক দেশচিত্রকে বলেন, "আমার ছেলে ছোটবেলা থেকেই খুব পরিশ্রমী। সে সবসময় পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী ছিল। অনেক বিষয়ে হতাশ ছিল, তবে সে দমে যায়নি। আমরা তার সাফল্যে গর্বিত। দেশবাসীর কল্যাণে যেন সে অবদান রাখতে পারে এজন্য সকলের নিকট দোয়া চাই।"
শাহরিয়ার সাকিব দৈনিক দেশচিত্রকে জানান, "এই সাফল্যের পেছনে সর্বপ্রথম সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ ছিলো। তাছাড়া কঠোর পরিশ্রমের পাশাপাশি শিক্ষকদের সহযোগিতা এবং পরিবারের অনুপ্রেরণা ছিল। জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জনের মধ্যে একটি পেয়েছি।"
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্বন্ধে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক দেশচিত্রকে বলেন, "ভবিষ্যতে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় উন্নত দেশের কারিকুলাম প্রতিস্থাপনে গবেষণা করতে চান এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে চান। এবং বর্তমানে বাংলাদেশের কোন শিক্ষার্থী যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে চায় তাহলে তিনি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার চেষ্টা করবেন।"
শাহরিয়ার সাকিবের এই অর্জন অনেক তরুণের জন্য অনুপ্রেরণা। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, সুযোগের অভাবে দমিয়ে রাখা যায় না স্বপ্নকে, জিপিএ বা সিজিপিএ কম হলে কিংবা মফস্বল শহরে বসবাস করলেই একাবিংশ শতাব্দীর এই প্রযুক্তির যুগে চেষ্টা করলে কেউ পিছিয়ে থাকবেনা , কঠোর পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাস থাকলে যে কোনো স্বপ্নই পূরণ করা সম্ভব।
২ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
১৬ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে