গত মঙ্গলবার ও বুধবার (২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে অন্ত:কলেজ এ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে ১৯টি আলাদা আলাদা ইভেন্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি হলের প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেন।
২৬ তারিখ আনুষ্ঠানিক ফলাফলের মাধ্যমে এবারের আসরের সমাপ্তি ঘটে। ১৯ টি ইভেন্টে(ট্রাক ও ফিল্ড) শাহ মখদুম হলের মোট ১১ জন অ্যাথলেট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে ৮ জন মোট ২১ টি পদক লাভ করে। ফলশ্রুতিতে সামগ্রিক ৬৩ পয়েন্ট অর্জন করে এবারের আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ছাত্র ক্যাটাগরিতে 'শাহ মখদুম হল'। অন্যদিকে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে রানার্স আপ 'শহীদ হবিবুর রহমান হল'।
ওই একই হলের শামিউল ও তামিম সর্বোচ্চ ১৩ পয়েন্ট অর্জন করে যৌথভাবে ছাত্র ক্যাটাগরিতে ব্যাক্তিগত চ্যাম্পিয়ন হয়। এবং ১০০ মিটার স্প্রিন্টে দ্রুততম মানব হয় তামিম আহমেদ।
ব্যক্তিগত চ্যাম্পিয়ন শামিউল হাসান বলেন, রাবির একজন এ্যাথলেটিক্স খেলোয়াড় হিসেবে ১ম বর্ষে হল ও বিভাগীয় খেলায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর, শেষ বর্ষেও সেই সাফল্যের ধারা বজায় রেখে ব্যক্তিগত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছি। এই সাফল্যের পেছনে আমার বিভাগের স্যারদের, বড় ভাইদের ও বন্ধুদের অনুপ্রেরণা ছিল অমূল্য। এই অর্জন শুধুমাত্র আমার নয়, এটি আমাদের পুরো বিভাগেরও সম্মান। আমার এই যাত্রা এখানেই শেষ করছি। ছোট ভাইরা গার্ড অফ অর্নার দেওয়ায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা রইল।
আরেক প্রতিযোগী সারোয়ার সাইফুল্লাহ জানান, চ্যাম্পিয়ন বিষয়টা সকল খেলোয়ারদের জন্যই আনন্দদায়ক, আমিও তার ব্যতিক্রম নই। আমার হলে প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ই কঠোর পরিশ্রম করেছে, শরীর থেকে ঘাম ঝরানোর প্রাপ্য মূল্যায়ন তারা পেয়েছে। অংশগ্রহণ কারী অনেকেরই জাতীয় পর্যায়ে পদক পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। নিয়মিত বিজ্ঞানভিত্তিক অনুশীলন, খাদ্যাভাস, ইনজুরি সংক্রান্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়ে সুনজর দিলে রাবিকে তারা অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।
শাহ মখদুম হলের স্পোর্টস ইন্সট্রাক্টর আবুল বাশার জন বলেন, ছেলেদের এমন চ্যাম্পিয়ন আমি দারুন ভাবে উপভোগ করি। প্রভোস্ট স্যার ভীষণ আনন্দিত। স্যার হলে খেলোয়াড়দের একটা ব্লক করার চিন্তাভাবনা করছেন। তাতে করে ছাত্ররা আরো বেশি উৎসহ পাবে। পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা পেলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ন্যাশনাল এ্যাথলেটিক্সে ভালো করবে।
দুই দিনব্যাপী আন্তঃকলেজ এ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার শেষ দিনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ইফতিখারুল আলম মাসউদ সহ অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থী বৃন্দ।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ত:কলেজ এ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় নারী ক্যাটাগরিতে এবারের চ্যাম্পিয়ন হয় 'রোকেয়া হল'। এবং ছাত্রী ক্যাটাগরিতে ব্যক্তিগত চ্যাম্পিয়ন হয় ওই একই হলের শিক্ষার্থী ফারহিন তিথী।
১১ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে
১১ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে
১১ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
১১ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে
১১ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে
১৪ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
১৭ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে