লাখাইয়ে চোরের আনা-গোনা বেড়েই চলছে, এক রাতে কৃষকের ৫টি গরু চুরি।
লাখাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গরু খামারীর গোয়াল থেকে রাতের আধারে গরু চুরি যেন থামছেই না। কয়েকদিন পরপরই শোনা যাচ্ছে গরু চুরির খবর। খামারীরা রাতের পর রাত পাহারা দিয়েও স্বস্তি মিলছে না চোরের হাত থেকে। তাদের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এলাকার মানুষ। প্রতিরাতেই কোনো না কোনো এলাকায় হানা দিচ্ছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। গভীর রাতে গোয়াল ঘর থেকে গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। আর এসব ঘটনায় খুব কম সংখ্যক মামলাই রেকর্ডভূক্ত হয়। লাখাইয়ের ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন রাতের অন্ধকারে ঘটছে গরু চুরির ঘটনা। উপজেলার পূর্ব সিংহ গ্রামের আলমগীর মিয়ার গোয়াল ঘর থেকে মঙ্গলবার (৪মার্চ) দিবাগত রাত ৩ ঘটিকার সময় সারে তিন লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ৩ টি গরু গোয়াল ঘরে দরজা ভেঙ্গে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরের দল। শনিবার দিবাগত রাত সিংহ গ্রামের জানু মিয়ার ২ টি গুরু নিয়ে যা সংঘবদ্ধ চোর চক্র। শুধু তাই নয় একই দিনে উপজেলার পশ্চিম বুল্লা গ্রামে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে ছুরে রহমান মিয়ার গোয়ালঘরে ২টি গাভী ও ১টি ষাঁড় গরু ছিল। শনিবার বিকালে গরুগুলো ঘরের পাশে গোয়াল ঘরে বেধে রেখে আসে। পরে গরুগুলো গোয়ালঘর থেকে নামাতে গিয়ে দেখে একটি গরুও গোয়াল ঘরে নেই, ৩টি গরুই দুর্বৃত্তরা রাতে চুরি করে নিয়ে গেছে।
লাখাইয়ের খামারীরা মনে করেন এভাবে যদি প্রতিদিন চোরেরা হানা দেয় তাহলে আমরা গরু পালন করতে ক্ষতির সম্মুখীন হব,ধীরেধীরে হারিয়ে যাবে গরুর পালনের সক্ষতা।পুর্ববুল্লা গ্রামের খামারী অনিল চন্দ্র গোপ বলেন,আমার পিজিয়ান চারটি গাভী আছে আমি প্রতিদিন ৪০লিটার দুধ পাই, আমি তাহাতে স্বাবলম্বী হয়েছি, আমার যদি কোন কিছু হয়,তাহলে আমি নিঃস্ব হয়ে যাব।আমি চারদিকে যেভাবে চোরের আনা-গোনা দেখতেছি যদি পুলিশের টহল ভালভাবে না দেয় তাহলে চোরের হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব হবে না।
এ ব্যাপারে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বন্দে আলী বলেন, গরু চুরির বিষয়ে কেউ আমাদেরকে অবগত করেননি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে, পুলিশ টহল নিয়মিত দিচ্ছে। আমি নিজেও রাত ২/৩ টা পর্যন্ত বাহিরে থাকি।