লাখাইয়ে রমজানের পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে দুর্গন্ধের কারণে, বুল্লাবাজারে যেখানে -সেখানে ময়লা-আবর্জনা।
লাখাইয়ে রমজানের পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে দুর্গন্ধের কারণে, বুল্লাবাজারে যেখানে -সেখানে ময়লা-আবর্জনা।
লাখাই উপজেলার প্রাণকেন্দ্র খ্যাত বুল্লাবাজারে প্রায় পাঁচ শতাধিক ছোটবড় ব্যবসা প্রতিষ্টান রয়েছে। এছাড়া রয়েছে কাঁচা বাজার, মাছের বাজার ও বাঁশের হাট। বাজারে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উৎপাদনমুখী ছোট ছোট কারখানাও।সারা বছরের ন্যায় রমজান মাসেও দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে সর্বত্র।
এ সকল দোকান, কারখানা, শাকসবজি, ফলের দোকান, মৎস্য বাজারের স্থানে নানা ধরনের আবর্জনা ফেলার জন্যে নেই কোন সুনির্দিষ্ঠ স্থান। তাই দোকানীরা যে যার মতো করে আবর্জনা, অব্যবহৃত দ্রব্যাদি যত্র তত্র ফেলে থাকে।
কেউবা বাজারের পাশদিয়ে বয়ে চলা সুুতাং নদীতে, কেউবা প্বার্শবর্তী খালে, বাজারের প্রবেশ পথের পাশেও আবর্জনা ফেলছে। দীর্ঘদিন যাবৎ বাজারের বিভিন্ন স্থান ময়লা আবর্জনা ফেলে স্তূপীকৃত করে রাখলেও তা অপসারনের কোন কার্যকরী উদ্যোগ লক্ষনীয় নয়।
এভাবে বছরের পর বছর ময়লা আবর্জনা জমতে জমতে এ স্থানগুলো যেন আবর্জনার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে। আর এসব আবর্জনার ভাগাড় থেকে প্রতিনিয়ত দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দূষিত হচ্ছে বাজারের পরিবেশ। এমন দুর্গন্ধময় স্থানে চলাচলে ক্রেতাসাধারণের নাকেমুখে রুমাল দিয়ে চলতে হচ্ছে।
বাজারের এমন বেহাল অবস্থায় ক্রেতা বিক্রেতাদের ভোগান্তি চরমে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যেন তা দেখার কেউ নেই।
সরেজমিন ১৪ই রমজান শনিবার বুল্লাবাজার পরিদর্শনে দেখা যায় বাজারের শাহবায়েজিদ (রঃ) সংলগ্ন মাছ বাজারের উত্তর পাশে এক পল্টি মুরগি ব্যবসায়ী মুরগীর পাকনা ফেলে দিয়াছে,তাছাড়াও পচাঁ শাক-সবজি প্রতি নিয়ত এখানে ফেলছে। এ ছাড়াও সড়কের আমিন মার্কেট সংলগ্ন পূর্বপাশে, সিংহগ্রাম সড়কের পশ্চিমাংশের খালে, ধানহাটের ঘাটলার সন্নিকটে, মাল্টি পারপাস সেডের সামনে, উইমেনস্ কর্নারের পাশে, গনশৌচাগারের সন্নিকটে ময়লা আবর্জনা স্তূপীকৃত রয়েছে। এতে তীব্র দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। রমজানের পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে, এছাড়াও বাজারের অভ্যন্তরীন সকল রাস্তায় ও অলি-গলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ময়লা আবর্জনা।
এক পথচারীর সাথে আলাপকালে জানান,
আমরা প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়া করি কিন্তু এই রমজানের দিনে আজকে এই রাস্তার দিয়ে আসায় আমার বুমি হয়েছে, নাক ডেকে চেপে ধরেও রক্ষা হলো না, পোলটি মুরগির পাখনা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
বুল্লাবাজারের এক ব্যবসায়ীর সাথে আলাপকালে জানান,এই দুর্গন্ধের কারণ একমাত্র পোল্ট্রি মুরগির পাখনা, এবং পচা শাক সবজি।
প্রশাসন যদি ভুমিকা না রাখে তাহলে এই দুর্গন্ধের কারণে নানা জটিল রোগের কারন হয়ে দাঁড়াবে।
এ ব্যাপারে বুল্লাবাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আসিক আহমেদ রাজিবের সাথে আলাপ কালে তিনি জানান,আমরা সুইপার দ্বারা নিয়মিত পরিষ্কার করাচ্ছি, কে বা কারা মুরগীর পালক ফেলছে বিষয়টা আমি খুজঁ নিয়ে দেখবো।