লাখাইয়ে ধুলাবালি মিশ্রিত ভাবে বিক্রি হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইফতার সামগ্রী।
লাখাইয়ে ধুলাবালি মিশ্রিত ভাবে বিক্রি হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইফতার সামগ্রী।
সারাদিন রোজা রেখে ইফতারে মুখরোচক খাবার না হলে যেন রোজার তৃপ্তি মেটে না। পরিবার পরিজনের সাথে ইফতার আয়োজনে সুস্বাদু ও অস্বাস্থ্যকর খাবার কিনতে এসেছেন বুল্লাবাজারে গুনিপুর গ্রামের আব্দুর রহমান কিন্তু তিনি যেসব খাবার কিনছেন তা কি স্বাস্থ্যকর খাবার?
এমন প্রশ্নে আব্দুর রহমান বলেন, ‘রমজানে ইফতারের জন্য বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁ প্রসিদ্ধ। সেসব হোটেল বা রেস্তোরাঁ থেকে ইফতার কিনে ইফতার করার মধ্যে এক সুখানুভূতি আছে। তাই আমার মত অনেক মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে ইফতারের বাজার করছে। স্বাস্থ্যকর বা অস্বাস্থ্যকর খাবার আমরা ইফতারের গ্রহণ করছি, এখানে এ বিষয়টি মুখ্য নয়। বরং প্রসিদ্ধ খাবারে ইফতার করাটাই মূল লক্ষ্য।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে- লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং প্রতিটি অলিগলিতে বিক্রয় করা হচ্ছে ইফতারসামগ্রী,ঢাকনা খোলা থাকায় যানবাহনের ধুলাবালি ঐ সব খাবারে মিশছে।
বুল্লাবাজারে দেখা যায় কয়েকটি দোকানে ইফতার সামগ্রী খোলামেলাভাবে সাজিয়ে রেখেছে তাহাতে মাছি বুবু করছে।
দুপুর থেকে ইফতারসামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসেছেন তারা। দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামতেই বিকিকিনির হিড়িক পড়ে। ইফতারসামগ্রী কিনতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ভিড় করছে এসব দোকানে। কোন কোন ইফতারসামগ্রী বিক্রয় কেন্দ্রে দেখা গেছে, দুপুর থেকে ক্রেতার লাইন।লাখাইয়ের লাখাই বাজার,বামৈ বাজার,কালাউক বাজার,মুড়াকরি বাজার,
বুল্লাবাজারের আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ থেকে শুরু করে ফুটপাতের রেস্তোরাঁগুলোতে ইফতারের জন্য রাখা হয়েছে বাহারি আয়োজন, এতে হরেক রকম মানহীন ঢাকনা ছাড়া ইফতার সামগ্রীতে ঠিকমত ধুলাবালি মিশছে। এসব রেস্তোরাঁয় দেখা গেছে, তারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার রেখে বিক্রয় করছে।
এসময় দেখা যায়, রেস্তোরাঁগুলোতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রেখে এলাকাভিত্তিক দোকানগুলোতে বিক্রি করছে ইফতার সামগ্রী। আবার এসব খোলামেলা দোকানগুলো নিম্ন আয়ের মানুষের ইফতারের দোকান হিসেবে সুপরিচিত । এসব দোকানেই অপরিচিত লোকদের সাথে নিয়ে ইফতারের স্বাদ নিচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষ। তবে এসব অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ না করতে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
খোলা পরিবেশে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে রাখা খাবারগুলো কতটা স্বাস্থ্যসম্মত থাকছে তা জানতে এ বিষয়ে উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর বিধান সোম এর সাথে আলাপকালে জানান আমি বিভিন্ন হাটবাজার এ ঘুরে দোকানদার সতর্ক করে আসছি। আমি যতক্ষণ যে বাজারে অবস্থান করি সেই বাজারে ততক্ষণ পন্য সামগ্রী ঢেকে রেখে বিক্রি করে আর চলে আসলেই সেই পূর্বের অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে ইঁদুর বিড়াল খেলা বন্ধ করতে হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো ব্যতীত কোন গত্যন্তর নেই। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর সাথে যোগাযোগ করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানোর ব্যবস্থা গ্রহন করবো।