রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ে স্বস্তিতে আছে দেশের মানুষ।গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর রমজান মাসেই স্বস্তিতে আছে মানুষ। কমেছে চাল, ডাল, তেল ও চিনিসহ নিত্য পুণ্যের দাম। এদিকে বাজারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ সবজি, ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে ।
অর্ন্তবতীকালীন সরকারের কঠোর পদক্ষেপ ও বাজার মনিটরিং এর ফলে এমনটাই সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।তবে বাজার তদারকি ও মনিটরিং সেল আরো জোরদার করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
সব মিলিয়ে এ বছর রমজানের বাজার বিশ্লেষণ করলে অনেকটাই স্বস্তির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের শাসন আমলে অর্থাৎ ২০২৪ সালে ভোজ্যতেল প্রতিলিটার : ২০০ টাকা বর্তমানে ১৬৫-১৮০ টাকা , ২০২৪ সালে ছোলা প্রতিকেজি : ১১০-১২০ টাকা বর্তমানে ১০০ টাকা , ২০২৪ সালে চিনি প্রতিকেজি : ১৪০-১৫০ টাকা বর্তমানে ১২০ টাকা , ২০২৪ সালে মসুর ডাল প্রতিকেজি : ১৬০ টাকা বর্তমানে ১০৫ টাকা , ২০২৪ সালে খেজুর মিড রেঞ্জ, প্রতিকেজি : ২৫০-৫৫০ টাকা বর্তমানে ১৮০-৪০০ টাকা , ২০২৪ সালে চাল প্রতিকেজি : ৯০-১০০ টাকা বর্তমানে ৭৫-৮৫ টাকা , ২০২৪ সালে আটা খোলা, প্রতিকেজি : ৬০ টাকা বর্তমানে ৪৫-৫৫ টাকা ।
অপরদিকে সবজি বাজারেও মিলছে সাধারন মানুষের স্বস্তি ২০২৪ সালে আলু প্রতিকেজি ৮০-১০০ টাকা বর্তমানে আলু ৩০ টাকা , ২০২৪ সালে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১০০০-১২০০ টাকা বর্তমানে ৫০ টাকা , ২০২৪ সালে পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২০০-২৫০টাকা বর্তমানে ৩৫-৫০ টাকা , ২০২৪ সালে বেগুন প্রতিকেজি মানভেদে ১৪০-১৮০ টাকা বর্তমানে ৩০-১০০ টাকা ।উপরের তালিকা থেকে দেখা যায় ২০২৪ সালে বেশিরভাগ পণ্যের দাম জনগনের হাতের নাগালের বাহিরে থাকলেও ২০২৫ সালে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে সাধারন জনগন।
বিশেষজ্ঞদের মতে মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণসমূহ
১. সিন্ডিকেট ও মজুতদারি: অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারে দাম বাড়িয়ে দেয়।
২. ডলার সংকট ও আমদানি খরচ বৃদ্ধি: অনেক পণ্য আমদানিনির্ভর হওয়ায় ডলারের দাম বাড়লে এর সরাসরি প্রভাব বাজারে পড়ে।
৩. সরবরাহ শৃঙ্খলার দুর্বলতা: দেশীয় উৎপাদন ও আমদানির সমন্বয়হীনতা পণ্যের সংকট সৃষ্টি করে।
৪. যানবাহন ও পরিবহন ব্যয়: পরিবহন খরচ বৃদ্ধির কারণে বাজারে পণ্যের দামও বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে বাজার স্থিতিশীল রাখতে করণীয়
সরকারি মনিটরিং বাড়ানো: বাজারে সিন্ডিকেট প্রতিরোধ করতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা।
টিসিবির কার্যক্রম শক্তিশালী করে ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য সরবরাহ বৃদ্ধি করা।এছাড়া,রমজানের বাজারদর নিয়ে প্রতিবছর একই আলোচনা হলেও কার্যকর সমাধান বাস্তবায়ন করা হয়নি। তবে ২০২৫ সালে বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রচেষ্টায় বাজার পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
১ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৪৫ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
৬ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে
৬ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
৬ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে