লাখাইয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বৃষ্টির জন্য কোমলমতি বাচ্ছাদের আর্তনাদ।
লাখাইয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বৃষ্টির জন্য কোমলমতি বাচ্ছাদের আর্তনাদ।
লাখাই উপজেলার ৫ নং করাব ইউপির সিংহ গ্রামে বাড়ী বাড়ী বৃষ্টির জন্য কোমলমতি শিশুরা গান গাইছে ""বেঙ্গা পুতের বিয়া ষোল মটর দিয়া, বেঙ্গা মেঘ দে মেঘ দে মেঘ দে রে তুই, এভাবে আর্তনাদ করছে বৃষ্টির জন্য। বোরো ধান চাষ করে বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছেন স্থানীয় কৃষকরাও। দুঃচিন্তার ভাজ পড়ছে কৃষকদের কপালে। উপজেলার কৃষকদের রূপায়িত কৃষি জমিতে আবাদ করা ধানী জমি গুলো ফেটে যাচ্ছে। কৃষি জমি শুকিয়ে ধানের গাছে লালচে হয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলায় চলছে তীব্র খরা ও অনাবৃষ্টি। খাল বিল ও নদীর পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। ফসলের জমি ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। একমাত্র পানির জন্য কৃষকের বোরো ধানের ভালো ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে বহু কৃষক। বৃষ্টি না হলে বোরো ধান ক্ষতি গ্রস্থ হবে বলে কৃষকরা জানান, প্রচন্ড তাপ দাহ তীব্র খরা আর অনা বৃষ্টিতে একদিকে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে। তেমন অন্য দিকে হুমকি মুখে পড়েছে মাঠে বোরো ধানের ফসল। এতে ধানের ফসল নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন লাখাই উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের কৃষকরা।
লাখাই উপজেলার পুর্ববুল্লার আজদু মিয়া বলেন,আমরা বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি দিয়ে বোরো চাষ করতাম,কিন্তু নদী শুকিয়ে যাওয়ায় নদীতে পানি নাই। ধান লাগানো পর থেকে বৃষ্টির অপেক্ষায় থাকতে গিয়ে আমার জমি ও বর্গা জমি ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে। সেচের পানি নিতে বাড়তি টাকা দিতে হয়। তাই বৃষ্টির জন্য অপেক্ষায় রয়েছি কিন্তু এছাড়া কোনো উপায় নেই।
সিংহগ্রামে মহিউদ্দিন আহমেদ রিপন বলেন, অনেক দিন যাবৎ বৃষ্টির দেখা নেই,তাই গ্রামের ছোট বাচ্চারা কুলার মধ্যে ব্যাঙ বেঁধে মাথায় দিয়া বাড়ী বাড়ী গিয়া ব্যাঙ্গা পুতের বিয়া নামক খেলা খেলছেন বৃষ্টির জন্য।
লাখাই উপজেলার পশ্চিম বুল্লার প্রবীণ মুরুব্বী আবু মিয়া বলেন,আমরা ছোট্র বেলায় বাড়ী বাড়ী গিয়ে এ ধরনের খেলা খেলতাম, আর বাড়ীর মহিলারা,আমাদেরকে চাউল ও সবজি দিতো, এসব দিয়ে বিকাল বেলা খিচুড়ি তৈরি করে আমরা মিলেমিশে খাইতাম এবং বাড়ী বাড়ী বিলি করতাম, দেখা যেত আল্লাহর রহমতে রাতের বেলা বৃষ্টি চলে আসছে। এ ধরনের খেলা এখন আর দেখি না,অনেক দিন পরে সিংহগ্রামের বাচ্ছারা খেলছে দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল।