লালপুর মসজিদের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে জয় বাংলা স্লোগান লেখা ফুচকা খেয়ে অভয়নগরে ২১৩ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ঈদের ছুটিতে সুন্দরবনে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতসহ দেশী-বিদেশী পর্যটকের ভিড় কুতুবদিয়া সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ পিপাসু মানুষের ঈদ আনন্দ-উচ্ছাস উখিয়ায় মাদক কারবারি ইমাম হোসেন আটক শিক্ষার্থী ও দুরারোগ্য আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তা প্রদান চৌদ্দগ্রামে তারেক রহমানের ঈদ উপহার পেলে শহীদ আইয়ুবের পরিবার সাতক্ষীরায় পাটকেলঘাটায় আলামিন ফাজিল মাদ্রাসার ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত মাগুরায় গার্মেন্টস মালিকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট, হুমকির মুখে গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান টাঙ্গাইলের মধুপুরে মহিলাদের ঈদ পুনর্মিলনী সভায় বক্তব্য দেন জিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক এডভোকেট মোহাম্মদ আলী নবগঠিত এডহক কমিটির সংবর্ধনা ও অভিষেক অনুষ্ঠিত মধুপুরে মহিলাদের ঈদ পুনর্মিলনী করছেন বিএনপি'র মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন সেনবাগ এর ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত অনৈতিকভাবে লিজের অভিযোগ রেলওয়ে কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে যারা গুপ্ত রাজনীতি করে তাদের জন্য শুভকামনা নেই, ছাত্রদল সভাপতি আক্কেলপুর মেলায় পুতুল নাচের নামে অশ্লীলতা গুডিয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন. লালপুরে শিবিরের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত। ব্যাংক বন্ধ হবে না, ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে একীভূতকরণ: গভর্নর সীমান্তে পাকিস্তান ও ভারতীয় সেনাদের গোলাগুলি, উত্তেজনা জনগণের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী নির্ঘুম থেকে কাজ করছে’

সেভেন সিস্টার্স নিয়ে কী বলেছেন ড. ইউনূস, ভারতে তোলপাড় কেন?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক - প্রতিনিধি

প্রকাশের সময়: 01-04-2025 09:42:05 pm

সম্প্রতি চীন সফরে গিয়ে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় ‘সেভেন সিস্টার্স’ খ্যাত সাতটি রাজ্য নিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা মন্তব্যে ভারতজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের মুখ্যমন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টার মন্তব্যকে ‘আপত্তিকর’ বলে মন্তব্য করেছেন। আর দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা পবন খেরা বলেছেন, ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিষয়ে ঢাকার দৃষ্টিভঙ্গি বিপজ্জনক এবং এই বিষয়ে কেন্দ্রের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।’ এনডিটিভি, এএনআইয়ের।


চার দিনের চীন সফরে গিয়ে মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যের ব্যবসায়িক সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন। 


তিনি বলেন, ‘‘ভারতের পূর্বাঞ্চলের সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত সাতটি রাজ্য। এই রাজ্যগুলো ভারতের স্থলবেষ্টিত অঞ্চল। সমুদ্রে পৌঁছানোর জন্য তাদের যোগাযোগের কোন উপায় নেই। এই অঞ্চলের জন্য সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক বাংলাদেশ।’


মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এটি বিশাল এক সম্ভাবনা উন্মোচন করে। এটি চীনা অর্থনীতির একটি সম্প্রসারণও হতে পারে।’


মূহাম্মদ ইউনূসের এই মন্তব্য নিয়ে ভারতের রাজনীতিবিদ, সাবেক আমলা ও নীতিনির্ধারকদের মাঝে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। এমনকি বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত দিল্লি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া না জানালেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সঞ্জীব সান্যাল প্রকাশ্যে কথা বলেছেন।


আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ড. ইউনূসের মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘ভারতের অন্যান্য অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে সংযুক্ত করার জন্য আরও শক্তিশালী রেল ও সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা জরুরি।’


তিনি বলেছেন, ‘ভারতের উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্যকে ল্যান্ডলকড (স্থলবেষ্টিত) এবং বাংলাদেশকে সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক হিসাবে উল্লেখ করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার এই মন্তব্য আপত্তিজনক এবং অত্যন্ত নিন্দনীয়। এই মন্তব্য ভারতের কৌশলগত ‘চিকেনস নেক’ করিডোর নিয়ে দীর্ঘ দিনের দুর্বলতার ন্যারেটিভকেই তুলে ধরে।’


ভারতের ‘চিকেনস নেক’ খ্যাত করিডোরটি পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির এক প্রান্তে অবস্থিত; যা ওই অঞ্চলটিকে ভারতের অন্যান্য অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। চিকেনস নেক খ্যাত করিডোরের এই প্রান্তে নেপাল, বাংলাদেশ এবং ভুটানেরও অবস্থান রয়েছে।


বিশ্ব শর্মা বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবে, এমনকি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন গোষ্ঠীও মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তর-পূর্বকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ করিডোরটি বিচ্ছিন্ন করার কথা বলছে। সুতরাং চিকেনস নেক করিডোরের নিচে এবং চারপাশে আরও শক্তিশালী রেলপথ এবং সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা জরুরি হয়ে পড়েছে। এছাড়া চিকেনস নেককে কার্যকরভাবে এড়িয়ে উত্তর-পূর্বকে ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করে বিকল্প সড়কপথ অনুসন্ধানে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।’


তবে এই কাজে প্রকৌশলগত দিক থেকে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে জানিয়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দৃঢ় সংকল্প এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে এটির বাস্তবায়ন সম্ভব।’


তিনি বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই বক্তব্যকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। কারণ তার এসব মন্তব্য গভীর কৌশলগত এবং দীর্ঘকালীন এজেন্ডা প্রতিফলিত করে।’


দেশটির রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা পবন খেরা বলেছেন, ‘ভারতকে অবরুদ্ধ করার জন্য চীনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলাদেশ। আমাদের উত্তর-পূর্বের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত বিপজ্জনক। কেন্দ্রীয় সরকার মণিপুরকে দেখছে না এবং চীন অরুণাচল প্রদেশে একটি গ্রাম প্রতিষ্ঠা করেছে। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি এমন এক শোচনীয় পর্যায়ে রয়েছে যে, যার (বাংলাদেশ) সৃষ্টির জন্য আমরা প্রধান ভূমিকা পালন করেছি, এখন সেই দেশটি আমাদের ঘিরে রাখতে ব্যস্ত।’


ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় আরেক রাজ্য ত্রিপুরার রাজনৈতিক তিপরা মোথা পার্টির নেতা প্রদ্দূত মানিক্যও ড. ইউনূসের মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এক সময় আমাদের যে আদিবাসীরা চট্টগ্রামকে শাসন করেছিল, তাদের সমর্থনে সমুদ্রে যাওয়ার জন্য ভারতের রুট তৈরি করার সময় এসেছে। আমরা আর অকৃতজ্ঞ শাসনব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল নই।’


ত্রিপুরার এই রাজনীতিক বলেন, ‘১৯৪৭ সালে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী লোকজন ভারতীয় ইউনিয়নের অংশ হতে চাইলেও বন্দরটি ছেড়ে দেওয়াটা ছিল ভারতের সবচেয়ে বড় ভুল।’


বাংলাদেশকে টুকরো টুকরো করে ফেলার মতো বেফাঁস কথা বলেছেন তিপরা মোথা পার্টির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘উদ্ভাবনী ও প্রকৌশলগত চ্যালেঞ্জের পেছনে বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ ব্যয়ের পরিবর্তে আমরা বাংলাদেশকে ভেঙেও ফেলে সমুদ্রের নিজেদের পথ তৈরি করতে পারি। চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলে সবসময় উপজাতিরা বসবাস করতেন; যারা ১৯৪৭ সাল থেকে ভারতের অংশ হতে চেয়েছিলেন। সেখানে ত্রিপুরা, গারো, খাসি এবং চাকমা জনগোষ্ঠীর লাখ লাখ মানুষ রয়েছেন; যারা বাংলাদেশে তাদের ঐতিহ্যবাহী ভূমিতে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বাস করেন। এটিকে আমাদের জাতীয় স্বার্থ ও তাদের কল্যাণের জন্য ব্যবহার করা উচিত।’


ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সঞ্জীব সান্যাল চীন সফরে গিয়ে ড. ইউনুস উত্তর-পূর্ব ভারতের কথা কেন উল্লেখ করেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সঞ্জীব সান্যাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘ভারতের সাতটি রাজ্য স্থলবেষ্টিত হওয়ার তাৎপর্য আসলে কী?’


তিনি বলেন, ‘মজার বিষয় হলো, ড. ইউনূস চীনাদের কাছে প্রকাশ্যে ভারতের সাতটি রাজ্যকে স্থলবেষ্টিত বলে উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশে বিনিয়োগে চীনকে স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু ভারতীয় রাজ্যগুলো স্থলবেষ্টিত হওয়ার তাৎপর্য আসলে কী?’


বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাই কমিশনার বীণা সিক্রি ড. ইউনূসের মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন। 


তিনি বলেন, ‘মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য অত্যন্ত হতাশাজনক। এ জাতীয় বক্তব্য দেওয়ার কোন অধিকার তার নেই। তিনি জানেন উত্তর-পূর্ব ভারত হলো ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বঙ্গোপসাগরে প্রবেশের বিষয়ে বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে আমাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ আলোচনা হয়েছে এবং এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চুক্তিও আছে।’

আরও খবর



67e772f3859db-290325101131.webp
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ৬৯৪

৪ দিন ১৪ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে