চার সন্তানের মা পাগলী,বাবা হয়নি কেউ।
চার সন্তানে মা পাগলী, বাবা হয়নি কেউ।
লাখাইয়ে ফুটফুটে নিষ্পাপ তিনটি কন্যা এবং একটি ছেলে নিয়ে ও নুংরা ময়লা যুক্ত পরিবেশে বাস করছেন মানসিক ভারসাম্য হারানো নারী তাজুন বেগম(৩৭)। কোলে জন্ম নেওয়া নিষ্পাপ বাচ্চা গুলোর নেই কোন কদর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,লাখাইয়ে বুল্লা বাজারে বছরের পর বছর ক্রমাগত ধর্ষণের শিকার হয়ে এক পাগলির গর্ভে প্রথমে ৩ সন্তান জন্ম নিয়েছে।১ ছেলে ২মেয়ে, দ্বিতীয় বারে আবারো কন্যা সন্তান হয়েছেন তিনি। রাতের অন্ধকারে এক শ্রেনীর পশুপ্রবৃত্তির লোক অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ধর্ষণ করে যাচ্ছে অবাধে। বছরের পর বছর ধরে সন্তান জন্ম দিলেও দায়িত্ব নেয়নি কেউ। বাজারের উচ্ছিষ্ট খেয়ে জীবনধারণ করছেন পাগলি ও তার সন্তানরা। এ যেন আধুনিক যুগে মানুষরূপী বন্যপ্রাণীর গল্প। সম্পূর্ণ পশু-পাখির মত বেওয়ারিশ ভাবে জীবন যাপন করছে পরিবারটি। জানা যায়, তাজন বেগম নামে ওই পাগলি পূর্ব বুল্লা গ্রামের বাসিন্দা আক্রম আলীর কন্যা। বছর কয়েক আগে বিয়ে ও সে সংসারে দুই ছেলেও হয় তার। হঠাৎ স্বামীর মৃত্যুর পর মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। পিত্রালয় থেকে বুল্লা বাজারে আশ্রয় নেন তিনি। গত কয়েক বছর ধরে এ বাজারে থাকাকালীন ধর্ষণের শিকার হন ওই মানসিক ভারসাম্যহীন নারী। আদালতে মামলাও হয়েছিল ২০২২ ইংরেজিতে,তাতে কোন লাভ হয়নি,ক্রমাগত ভাবে ধর্ষণের শিকার হচ্ছেই ওই তরুণী,২০২৩ সালের প্রথম দিক থেকে ৫নং করাব ইউপির মনতৈল আশ্রয়ন প্রকল্পে একটি ঘরে বসবাস করছেন ঐ পাগলী।
গোপন তত্ত্বে জানা যায়, ওই আশ্রয়ন প্রকল্পেও পাগলির নিস্তার নেই,প্রতিনিয়ত ধর্ষন করা হচ্ছে ওই পাগলীকে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,চারটি অসহায় নিষ্পাপ বাচ্চা খেলাধুলা করছেন পাশে পাগলী বসে আছেন,
পাগলীর ভাই উজ্জল মিয়া (৩২)বলেন,আমার বোন বড় অসহায়, আমরাও অসহায় জীবন -যাপন করছি,বোনকে সহযোগীতা করতে পারছি না, আমি চাই সরকার তাদের দায়িত্ব গ্রহণ করুক,এবং যারা আমার বোনের ওপর এমন পাশবিক নির্যাতন করেছেন তাদের বিচার চাই।
এ বিষয়ে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বন্দে আলী বলেন,পাগলীর নামে কোন মামলা নেই, হয়ত আদালতে মামলা থাকতে পারে, এবং আমি এ বিষয়ে জানি না।