মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন ক্রমবর্ধমান সামরিক হুমকি বন্ধ করে ওয়াশিংটনের কাঙ্ক্ষিত পারমাণবিক চুক্তির জন্য আলোচনায় বসতে প্রস্তুত ইরান।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির দেয়া এ বক্তব্যের বরাতে বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে। আগামী শনিবার (১২ এপ্রিল) এই আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
আরাঘচি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রথমে একমত হতে হবে যে কোনও ‘সামরিক বিকল্প’ থাকতে পারবে না। এছাড়া এ বিষয়ে ইরান কোনো জোর জবরদস্তি মেনে নেবে না।
আরাঘচি জোর দিয়ে বলেছেন, এই আলোচনা ওমানে হবে এবং তা হবে পরোক্ষ। তবে সোমবার ট্রাম্প আকস্মিক ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, ইরানের সঙ্গে ‘সরাসরি’ আলোচনা হবে।
এর আগে ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছিলেন, এই আলোচনা সফল না হলে ইরান ‘বড় বিপদে’ পড়বে। ২০১৫ সালে ইরান এবং ছয়টি বিশ্বশক্তির মধ্যে পারমাণবিক চুক্তি হয়। ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তাই গত মাসে ট্রাম্প সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাধ্যমে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। চিঠিতে বলা হয়েছিল, তিনি ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের সম্ভাব্য সামরিক হামলা এড়াতে একটি চুক্তি চান।
তবে ইরান সবসময়ই জোর দিয়ে বলেছে, তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং তারা কখনই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি বা অর্জনের চেষ্টা করবে না।
এর আগে সোমবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন যে, ওমানে এই আলোচনাটি উচ্চ-মাত্রার হবে।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত এক মতামত নিবন্ধে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে তারা ‘একটি চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে আন্তরিকভাবে আলোচনায় প্রস্তুত। তবে এ বিষয়ে এগিয়ে যাওয়ার আগে আমাদের জানতে হবে যে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো ‘সামরিক হুমকি’ থাকবে না।’
১৭ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
২ দিন ১৩ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে
৪ দিন ১৬ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
৪ দিন ১৮ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
৫ দিন ১৮ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
৫ দিন ১৮ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে
৬ দিন ৯ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে
৭ দিন ৪ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে