গাইবান্ধায় আগুনে পুড়লো ৫ দোকান; ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি শ্যামনগরে দাখিল পরীক্ষায় ১১ শিক্ষার্থী ও ১২ শিক্ষক বহিস্কার পশ্চিম সুন্দরবনে বিরল প্রজাতির কচ্ছপ অবমুক্ত Take early steps to resolve waterlogging in Dhaka রায়হান-সাইদুরের নেতৃত্বে কুবির গাউসিয়া কমিটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধিদলের বৈঠক‌ লোহাগাড়ায় ট্রাকের ধাক্কায় এক ব্যক্তির মৃত্যু। একজন চালকের হাতে শত শত দায়িত্ব নির্ভর করে : মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক জয়পুরহাটে মাদ্রাসার সৌন্দর্য বর্ধনে বৃক্ষ রোপনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ পাঁচবিবিতে দুই দিনব্যাপি গ্রীষ্মকালীন ফসল উৎপাদন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলের মধুপুরে নকল সরবরাহের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার দেবহাটায় এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে তরুণ দলের পানি ও স্যালাইন বিতরণ বাঘায় জেলা প্রশাসকের সাথে উপজেলা প্রশাসনের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা সংসদের ভিপি শহিদুল, জিএস ইনামুল আদমদীঘিতে ইভটিজিং করায় যুবকের জেল-জরিমানা বগুড়ার জেলা প্রশাসকের আদমদীঘির বিভিন্ন দপ্তর পরিদর্শন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টায় সহযোগিতা, জাপা নেতার বিরুদ্ধে মামলা! নোয়াখালীত আনিত মিথ্যা অভিযোগে সাংবাদিক সম্মেলনের প্রতিবাদে সভা ঝিনাইগাতীতে দম্পতিদের জন্য জেন্ডার ও উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত ঝিনাইগাতীর নলকুড়া ইউনিয়নে অংশগ্রহণমূলক মনিটরিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

ভাড়াটিয়া খুনিদের টার্গেট ভুলে প্রাণ গেল নিরপরাধ আইনজীবির

মিসবাহ ভেবে আইনজীবি সুজনকে খুন করে ভাড়াটিয়া খুনি, গ্রেফতার-৫


মৌলভীবাজার শহরে আইনজীবি সুজন মিয়ার নির্মম হত্যাকাণ্ডের রহস্য অবশেষে উদঘাটন করেছে পুলিশ। ভাড়াটিয়া খুনিদের ভুলে শত্রুর বদলে প্রাণ গেল নিরপরাধ আইনজীবির। মূল পরিকল্পনাকারী নজির মিয়া মুজিব প্রতিপক্ষ মিসবাহকে হত্যা করতে গিয়ে ভুলে খুন করিয়েছে আইনজীবি সুজন মিয়াকে।

৬ এপ্রিল রাত প্রায় ১১টার দিকে মৌলভীবাজার পৌর এলাকার মেয়র চত্বরে তামান্না ফুসকা চটপটির দোকানের সামনে ফুটপাতে বসে ছিলেন সুজন মিয়া। ঠিক সেই সময় একদল দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। এই ঘটনায় নিহতের ভাই এনামুল হক সুমন থানায় মামলা করেন।

মামলা দায়েরের পর থেকেই তদন্তে নামে পুলিশ। মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার এম, কে, এইচ, জাহাঙ্গীর হোসেনের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নোবেল চাকমার নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার এবং একাধিক অভিযান চালিয়ে পুলিশ গ্রেফতার করে পাঁচ আসামিকে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন নজির মিয়া মুজিব, আরিফ মিয়া, হোসাইন আহমদ সোহান, লক্ষন নাইডু ও আব্দুর রহিম। মূল পরিকল্পনাকারী নজির মিয়ার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

পুলিশ সুপার জানান, নজির মিয়া মুজিবের শত্রু ছিল পাশের বাড়ির সিকিউরিটি গার্ড মিসবাহ। মিসবাহকে মারার জন্য ভাড়াটিয়া খুনি নিয়োগ করে নজির। পরিচিত লক্ষনের মাধ্যমে টাকা দিয়ে লোক ভাড়া করে মিসবাহকে হত্যার পরিকল্পনা করে সে। মোবাইলে ছবি পাঠিয়ে টার্গেট চিহ্নিত করার নির্দেশ দেয় নজির।

হত্যাকাণ্ডের দিন বানিজ্য মেলায় ভাড়াটিয়া খুনিরা ভুল করে আইনজীবি সুজন মিয়াকে মিসবাহ ভেবে নজিরকে কল দেয়। ভিডিও কলে সুজনকে দেখিয়ে নিশ্চিত হয় নজির। এরপরই নির্দেশ দেয় খুন করতে। মুহূর্তেই সুজনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে খুনিরা।

ভয়ঙ্কর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সময় উপস্থিত ছিল আরও ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত। তারা সবাই মিলে সুজন মিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ঘটনার পর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ গ্রেফতার করে মূল পরিকল্পনাকারী ও তার সহযোগীদের।

এ ঘটনার পর মৌলভীবাজার জেলাজুড়ে নেমে এসেছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। নিরপরাধ আইনজীবিকে ভুলে খুনের ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে সাধারণ মানুষ। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সহকর্মী আইনজীবিসহ এলাকাবাসী।


Tag