মানবিকতা, ভালোবাসা ও উম্মাহর প্রতি দায়বদ্ধতার অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করল নাগেশ্বরী উপজেলা। ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে নাগেশ্বরীর মানুষ দেখিয়ে দিল—সীমান্ত তাদের থামাতে পারে না, যদি থাকে সদিচ্ছা ও সম্মিলিত ইচ্ছা।
গত ৭ এপ্রিল নাগেশ্বরী উপজেলায় অনুষ্ঠিত “বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ”-এর রেশ ধরেই নাগেশ্বরী ইয়ুথ সোসাইটি হাতে নেয় একটি মানবিক সহায়তা কর্মসূচি। লক্ষ্য ছিল—ফিলিস্তিনের মজলুম ভাই-বোনদের পাশে দাঁড়ানো, এবং সেটি কেবল অর্থ দিয়ে নয়, বরং ভালোবাসা, সংবেদনশীলতা ও মুসলিম উম্মাহর প্রতি অটুট দায়িত্ববোধ নিয়ে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে স্থানীয় তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ, প্রচারণা ও ব্যক্তিগত শ্রমে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই সংগৃহীত হয় ৩৪,৯৪৭ টাকা। এ অর্থ প্রতিটি মানুষের অন্তরের সহানুভূতির বহিঃপ্রকাশ—যা সীমান্ত পেরিয়ে পৌঁছে গেছে পবিত্র গাজায়।
এই মহৎ যাত্রার সহায়ক শক্তি হিসেবে ছিলেন নাগেশ্বরী ইয়ুথ সোসাইটির পরিচালক শরিফুল ইসলাম—যিনি পুরো কর্মকাণ্ডের সমন্বয় ও দিকনির্দেশনায় রাখেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রাপ্য ক্ষুদে তারুণ্যের প্রাণশক্তি মোহাম্মদ কাউসার মাসুদ। তাঁর নীরব কিন্তু নিরলস সহায়তা, পেছনের কঠোর পরিশ্রম এবং দিকনির্দেশনার কারণে পুরো কার্যক্রমটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
এই সংগ্রহকৃত অর্থ হস্তান্তর করা হয় পিপলস ইমপ্রুভমেন্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিসব)-এর কাছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে গাজায় সরাসরি ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তাঁদের মাধ্যমে এই অনুদান রূপ নেয় খাদ্য, পানি এবং মৌলিক চাহিদার জিনিসে—যা পৌঁছে গেছে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত পরিবারগুলোর হাতে। ১৪ই এপ্রিল বিষয়টি বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিতও হয়।
নাগেশ্বরী ইয়ুথ সোসাইটি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে এ উদ্যোগে যুক্ত থাকা সকলের প্রতি—চিরন্তন দাতা, শ্রমিক, শুভাকাঙ্ক্ষী ও দোয়া প্রার্থীদের প্রতি। এই সম্মিলিত প্রয়াসে গড়ে উঠেছে একটি মানবিক সেতুবন্ধ, যা ভবিষ্যতের দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা বারবার প্রমাণ করে দেয়—ভৌগলিক অবস্থান নয়, বরং হৃদয়ের অবস্থানই বড় বিষয়। নাগেশ্বরী থেকে পাঠানো এই ভালোবাসা পৌঁছে গেছে গাজার প্রতিটি ক্ষুধার্ত মুখে, ক্লান্ত হৃদয়ে—এক খণ্ড "নাগেশ্বরী" হয়ে।
৭ ঘন্টা ২ মিনিট আগে
৭ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে
৮ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে
৮ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে