লাখাইয়ের আগাপুর হরিনাকোনার কাঁচা রাস্তার বেহাল দশা, চলাচলের জনভোগান্তি।
লাখাইয়ের আগাপুর হরিনাকোনার কাঁচা রাস্তার বেহাল দশা, চলাচলের জনভোগান্তি ২ গ্রামের মানুষ।
লাখাই উপজেলার করাব ইউনিয়নের গুনিপুর পাকা রাস্তা হইতে আগাপুর হয়ে হরিনাকোনা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার বেহাল দশা হয়েছে।কয়েক যুগ পার হলেও ইটের ছোঁয়া লাগেনি এই কাঁচা রাস্তায়।এতে করে যানচলাচল সহ জনসাধারণের চলাচলে মারাত্মক বিঘ্নিত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।ভোগান্তিতে পড়েছে দুই গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। রাস্তার এই অবস্থার জন্য ব্যহত হচ্ছে দুই গ্রামের যোগাযোগ সম্পর্ক।
সরজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানায়,আগাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,হরিনাকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,আগাপুর হরিনাকোনা ক্লিনিকে
শিক্ষকমন্ডলী এবং চিকিৎসা সেবা দানকারী কর্মকর্তা কর্মচারী এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হয়।আগাপুর,হরিনাকোনা ,দুই গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীরা এই রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে।এমনকি গ্রাম থেকে বের হয়ে হাটবাজারে এবং শহরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তায় হলো এই দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি।একটু বৃষ্টিপাত হলেই আর হেটে আসা যাওয়া সম্ভব হয় না।একটু বর্ষার পানি আসলেই রাস্তাটি ডুবে যায়। বছরে যেকোন সময়ে বৃষ্টি নামলেই গভীর কাঁদার সৃষ্টি হয়। কাঁদা মাটি পেরিয়ে বিদ্যালয়ে বাইসাইকেল নিয়ে প্রবেশ করা কষ্টকর। গ্রামগুলোতে কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না।রাস্তার অবস্থা ভালো না থাকায় অনেক শিক্ষকও স্কুল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন,আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সকলের কাছে আমাদের দাবির কথা বলেছি, কিন্তু সবাই আশা ভরসা দিলেও কাজের কাজ কিছুই করে নাই। অতি দ্রুত রাস্তা মাটি ভরাট সহ পাঁকাকরণের দাবি জানিয়েছে আগাপুর,হরিনাকোনা গ্রামের সাধারণ মানুষ।এই দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার জন্য প্রতিনিয়ত নানা সমস্যায় পড়তে হয় পথচারীদের।
পথচারী এক ফেরিওয়ালা বলেন,আমি আগাপুর,হরিনাকোনা গিয়ে কাঁচামাল বিক্রি করি,কিন্তু একটু বৃষ্টি পাত হলেই আমি আর যেতে পারি না ।
স্থানীয় এক কৃষক জানান, আমাদের এই দুইটি কৃষি প্রধান গ্রাম, কিন্তু কৃষি জমির জন্য সার কীটনাশক,বীজ নিয়ে আসতে দুই গ্রামের খুব কষ্ট হয়। অনেক সময় রাস্তার কারণে সময় মত জমিতে সার কীটনাশক এনে দিতে পারি না। ফসল উৎপাদন করে বিক্রি করতে আমাদের পরিবহনের জন্য অনেক সমস্যা হয়।
এই বিষয়ে করাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কদ্দুস এর সাথে আলাপকালে বলেন, এ রাস্তায় কোন ধরনের বরাদ্দ্য না থাকায় আপাতত এই রাস্তায় কোন কাজ করতে পারতেছি না।এটা এলজিডির আইডিভুক্ত রাস্তা কি না তাও জানি না।