লাখাইয়ে ২৪ঘন্টার মধ্যে ১৫ ঘন্টাই থাকছে না পল্লীবিদ্যুৎ, অতিষ্ঠ জনজীবন।
লাখাইয়ে ২৪ঘন্টার মধ্যে ১৫ ঘন্টাই থাকছে না পল্লীবিদ্যুৎ, অতিষ্ঠ জনজীবন।
লাখাইয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টা করে লোডশোডিং দিচ্ছে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ। নাভিশ্বাস উঠেছে সব বয়সি মানুষের, দীর্ঘ সময়ে বিদ্যুতের যাওয়া-আসার কারণে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে জনমনে। লাখাইয়ের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
এদিকে কয়েক দিনের হালকা বাতাসসহ বৃষ্টির হলেই বিদ্যুতের তালবাহানা শুরু হয়ে যায়,এতে অসহনীয় লোডশেডিংয়ে অস্বস্তি আরও বেড়েছে।
লাখাইয়ের সাধারণ মানুষ বলছেন, চলমান পরিস্থিতিতে সারা দেশের মধ্যে লাখাইয়েই সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং হচ্ছে, যা এখন অসহনীয় পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। এর প্রভাব ছোট-বড় ব্যবসায়েও পড়তে শুরু করেছে। ব্যাঘাত ঘটছে বিলাসবহুল শপিংমল, বিপণী বিতানসহ ছোট-বড় মার্কেটগুলোতে কেনাবেচায় মন্দাভাব দেখা দিয়েছে।
গ্রাহকরা অভিযোগ করে বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি গ্রাহকের কাছ থেকে ইচ্ছেমতো বিল আদায় করছে। মিটার ভাড়া ও ডিমান্ড চার্জ নিচ্ছে, যা একেবারেই অযৌক্তিক। অথচ সেবার মান নেই। ঘন ঘন বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করে। এতে গ্রাহকরা নানা সমস্যায় পড়ছেন। লোডশেডিংয়ের কারণে অনেকের ফ্রিজ, টিভিসহ অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জামও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বুল্লাবাজারের ব্যবসায়ী সেলিম মিয়া বলেন, প্রচণ্ড গরম আর লোডশেডিংয়ে জীবন শেষ। দোকানে বসে থাকাও সম্ভব হচ্ছে না। অসহ্য লোডশেডিংয়ের কারণে ব্যবসার অবস্থাও খারাপ।’
সিংহগ্রামের আলমগীর মিয়া বলেন,আকাশ একটু মেঘলা এবং হালকা বাতাস হলেই পল্লী বিদ্যুৎ উধাও হয়ে যায়, ঘন্টার পর ঘন্টা চলে যায় কিন্তু বিদ্যুৎ আর দেখা দেয় না, এভাবে হলে জনজীবন কিভাবে চলবে?
পুর্ববুল্লা গ্রামের আজদু মিয়া বলেন,আমার ঘরে দুইটা এলইডি লাইট এবং দুইটা সিলিং ফ্যান চলে কিন্তু মাস শেষে ৮০০/৯৫০ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে,আমি কিন্তু প্রতিমাসেই দিয়ে দেই,তাহলে এত লোডশেডিং কেন?
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি লাখাই উপজেলার ডিজিএম সুমন সাহার কাছে লোডশেডিং সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,জনবল সংকটের কারনে আমরা কাভার করতে পারছি না, যার কারনেই লোডশেডিং হচ্ছে।