রাষ্ট্রপতিরা ৩৩ বছরে কতজনের দণ্ড মওকুফ করেছেন, জানতে হাইকোর্টের রুল মেঘনা আলমের ব্যাংক হিসাব তলব সিরাজগঞ্জে কৃষি প্রযুক্তি ও পুষ্টি মেলা উদ্বোধন তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম বিশ্ববাসীর প্রতি ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ ভিশনের আহ্বান যেভাবে নির্বাচিত হবেন পরবর্তী পোপ বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে : আসিফ নজরুল কমিশনের উদ্দেশ্য পুনরায় যাতে ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত না হতে পারে তালতলীতে প্রকৌশলী ও উপসহকারী প্রকৌশলী’র কক্ষে এসি বিলাস ও সাজসজ্জা পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন আদমদীঘিতে নেশার ট্যাবলেটসহ দুইজন গ্রেপ্তার ছাত্রদল নেতা পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে বাকৃবিতে মানববন্ধন জ্বালানি রূপান্তরের গুরুত্ব সম্পর্কে গণসচেতনতামূলক র‌্যালি রাজবাড়ীর কালুখালী বজ্রপাতে প্রাণ হারায় কৃষক। কিশোরগঞ্জে আ.লীগের চার নেতা গ্রেফতার সাতক্ষীরায় দুই নারীর প্রতারণার ফাঁদে মাছ ব্যবসায়ী লাখাইয়ে বুল্লাবাজার ব্যকস এর আহবায়ক কমিটি গঠন। ঢাকা বিভাগসহ ৪ জেলায় ঝড়বৃষ্টি ও বজ্রপাতের আভাস ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পরিসংখ্যান কর্মকর্তার স্ত্রীর নাম ব্যবহার করে শুমারির টাকা আত্মসাৎ আদমদীঘিতে ৭ শ্যালোর পাম্প চুরি, দিশেহারা কৃষক

সাতক্ষীরার তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে।  তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে ১০ জানুয়ারী মঙ্গলবার সকাল১১ টায় তালা ডাকবাংলো চত্তরে তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেতা শেখ নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা শাহিনুর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ঘোষ সনৎ কুমার,যুগ্নসাধারন সম্পাদক মীর জাকির হোসেন,দপ্তর সম্পাদক মীর মহাসীন আলী, সহ- দপ্তর সম্পাদক মাহফুজুর রহমান,সদস্য মুরশীদা পারভীন পাপড়ী, শেখ শাহিদুজ্জামান পাইলট, সরুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বিশ্বাস আতিয়ার রহমান,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের  যুগ্ন-আহবায়ক সরদার ইয়াছিন আলী, গৌতম কর্মকার,তালা উপজেলা মৎস্যজীবি লীগের সদস্য সচিব এসএম সোহাগ হোসেন রানা, উপজেলাআওয়ামীলীগ,ইউনিয়ন আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন পর্যায়ে সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় শেখ নুরুল ইসলাম বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালি বিজয় অর্জনের পর স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফেরেন। 

দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ স্বাধীন পাকিস্তানের শাসন-শোষণ ও অত্যাচার-নির্যাতনের হাত থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে জীবনের একটা বড় সময় শেখ মুজিবকে বার বার জেল, জুলুম ও অত্যাচার-নির্যাতন ভোগ করতে হয়। ২৫ মার্চ কাল রাতে পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে গণহত্যা চালাতে শুরু করে। এ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এর পর পরই বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। শুরু হয় বাঙালির সশন্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলতে থাকে। এ সময় বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি রেখে তার উপর নির্যাতন চালানো হয়। পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার নানা পরিকল্পনা তৈরি করে। জেলের মধ্যে অত্যাচার নির্যাতনই শুধু নয়, তাকে ফাঁসির মঞ্চেও নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু দেশে-বিদেশে বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা ও তার অদম্য সাহসের কাছে শেষ পর্যন্ত হারমানে পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী এবং সেনাবাহিনী।

এদিকে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতেই বাঙালি জাতি বঙ্গন্ধুর আদর্শে ও নির্দেশিত পথে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চালিয়ে যায়। যতোদিন যেতে থাকে যত রক্ত ঝরতে থাকে, স্বদেশের মাটিকে হানাদার মুক্ত করতে বাঙালি ততোই মরিয়া হয়ে উঠে। মুক্তিবাহিনী এবং মিত্রবাহিনীর যৌথ প্রতিরোধের মুখে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।  

পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি বিজয় অর্জন করেন। মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ হন ও ৩ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম হারান। এতো রক্ত ও প্রাণের বিনিময়ে বিজয় এলেও মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থাকায় বাঙালির অর্জিত বিজয় পূর্ণতা পায়নি। বিজয়ী বাঙালি জাতি উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে তাদের নেতার ফিরে আসার।  

মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর বিশ্বব্যাপী বঙ্গবন্ধু জনপ্রিয়তা আরও বাড়তে থাকে। বাঙালির পাশাপাশি বিশ্বের স্বাধীনতা ও শান্তিকামি মানুষও বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠে। আন্তর্জাতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার করে অবশেষে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান। কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু সোজা লন্ডন চলে যান। সেখান থেকে ভারত হয়ে ১০ জানুয়ারি স্বদেশে ফেরেন। সেদিন সারা দেশ থেকে মানুষ ছুটে আসেন তাদের নেতাকে একবার দেখর দেখার জন্য। স্বাধীন দেশে ফিরে বাঙালির ভালবাসায় সিক্ত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বিমানবন্দর থেকে লাখ লাখ জনতার জনসমুদ্র পাড়ি দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স) দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু তার বক্তব্যে বলেছিলেন, বাঙালি আমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছে সেই বাঙালির জন্য আমি রক্ত দিতেও প্রস্তুত। এর মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় ৭৫ এর ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার পরাজিত শত্রু ও দেশি-বিদেশি চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঘাতকের হাতে স্বপরিবারে জীবন দেন।

Tag
আরও খবর