◾ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
সাইবার অপরাধের মধ্যে আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে অপপ্রচার চালানো। ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সের ভুক্তভোগীদের ৫০ দশমিক ২৭ শতাংশই নানাভাবে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ছবি বিকৃত করে অপপ্রচার, পর্নোগ্রাফি কনটেন্ট এবং সামাজিক মাধ্যম-ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে হুমকি দিয়ে মানসিক হয়রানি। ভুক্তভোগীদের ৭৩ দশমিক ৪ শতাংশই বিভিন্ন কারণে আইনের আশ্রয় নেয় না। ফলে এ ধরনের অপরাধ বাড়ছে।
সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন ১৯৯ জন ভুক্তভোগীর মতামতের ভিত্তিতে এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। গবেষণায় উঠে এসেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের ঘটনা ১৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ২০২১ সালে এ হার ছিল ১৬ দশমিক ৩১ শতাংশ, যা গতবারের তুলনায় ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ বেশি। যৌন হয়রানিমূলক ছবি/ভিডিও ব্যবহার করে হয়রানির পরিমাণ ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ছবি বিকৃত করে হয়রানির ঘটনা ৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ, যা বিগত বছরের তুলনায় ১ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১ সালে অনলাইন অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের ঘটনা ছিল ২৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ। যা ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ কমে বর্তমানে ২৩ দশমিক ৭৯।
তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ভুক্তভোগীদের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক আইন সম্পর্কে জানে ৪৩ দশমিক ২২ শতাংশ। বাকি ৫৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ ভুক্তভোগীর দেশে বিদ্যমান আইন সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই।
আইনের আশ্রয় নেওয়ার প্রবণতা কম : ভুক্তভোগীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে অভিযোগ করার সংখ্যা মাত্র ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ। সমস্যা নিয়ে পুরুষ অভিযোগকারীর ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারস্থ হয়েছে এবং ২৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ পদক্ষেপ নেয়নি। নারী ভুক্তভোগীদের মধ্যে মাত্র ১১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ সমস্যা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারস্থ হয়েছে এবং ৪৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ আইনের আশ্রয় নিতে অনীহা প্রকাশ করেছে। লক্ষণীয় যে, পুরুষের তুলনায় নারী অভিযোগকারীর সংখ্যা তুলনামূলক কম।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, অভিযোগকারীদের মধ্যে মাত্র ৭ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারস্থ হয়ে আশানুরূপ ফল পেয়েছে এবং ৫৫ দশমিক ২৭ শতাংশ ভুক্তভোগী অভিযোগের পর প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল পায়নি।
যেসব কারণে ভুক্তভোগীরা আইনের আশ্রয় নিতে চায় না : প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেখা যায়, বিষয়টিকে গোপন রাখতে আইনি ব্যবস্থা নেয়নি সর্বোচ্চ ২১ শতাংশ ভুক্তভোগী। এ ছাড়া ১৭ শতাংশ সামাজিক ভাবমূর্তি রক্ষা, উল্টো হয়রানি পোহাতে হবে, অভিযোগ করেও কোনো লাভ হবে না ভেবে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রভাবশালী হওয়ায় কোনো পদক্ষেপ নেয়নি ৭ শতাংশ ভুক্তভোগী।
৪ দিন ১৯ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
৮ দিন ৪ ঘন্টা ৩২ মিনিট আগে
১০ দিন ১২ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে
১২ দিন ১৭ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
৩২ দিন ২২ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
৪২ দিন ২১ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
৪৭ দিন ১৯ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
৫৯ দিন ২ ঘন্টা ৪৭ মিনিট আগে