◾ নিউজ ডেস্ক
রাশিয়া থেকে ৩ লাখ টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেছে রাশিয়ার প্রতিনিধিদল। শিগগিরই গমজাত খাদ্যপণ্যের দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে দেশে গমের চাহিদা ছিল ৭০ লাখ টন। এর মধ্যে ৩৫ লাখ টন আসে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে। গম প্রক্রিয়াজাত করে ময়দা, আটা, সুজিসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য উৎপাদন করা হয়ে থাকে।
২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশে থেকে রাশিয়ায় রপ্তানি হয়েছে ৬৬ কোটি ৫৩ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য। এর মধ্যে তৈরি পোশাক সবচেয়ে বেশি। আমদানি করা হয়েছে ৪৬ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের পণ্য। এর বেশিরভাগই খাদ্যপণ্য।
সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেছেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই আমরা গম আমদানি করতে বিকল্প দেশের সন্ধান করি। বেশি জাহাজভাড়া পরিশোধ করেও গম-ভুট্টা আমদানি করে বাজার স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছি। সম্প্রতি রাশিয়া থেকে গম আমদানিতে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা হওয়ায় কিছুটা স্বস্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তবে, পুরোপুরি স্বভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে।’
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘রাশিয়া বা ইউক্রেন থেকে গম আমদানির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেশে পৌঁছাতে ২০ দিন থেকে এক মাস সময় লাগবে। দেশের বাজারে এর প্রভাব পড়তে কিছুদিন সময় লাগবে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থ বিনিময়ের বিষয়ে বেশকিছু জটিলতা থাকায় আমদানির ক্ষেত্রে বড় ধরনের বাধা ছিল। সম্প্রতি সে জটিলতা কাটায় আমদানির পথ খুলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় রাশিয়া থেকে ৩ লাখ টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। আমদানির ধারা অব্যাহত থাকলে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’
১১ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে
১ দিন ১১ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
২ দিন ১৭ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
২ দিন ১৯ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
৩ দিন ১৪ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
৩ দিন ২১ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
৪ দিন ২ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে
৪ দিন ২ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে