ঢাকায় ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বার্ধক্যজনীত কারনে মৃত নানীর লাশ আনতে গিয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় লাশ হয় বাড়ী ফিরল নাতী মাহিন আলভী (২১)।
মাহিন আলভী দিনাজপুর শহরের নিমনগর বালুবাড়ী এলাকার ঠিকাদার মেজহাউর রহমান ও মাতা রুনার ছেলে।সদ্য আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ(এআইইউবি)থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করে একটি প্রাইভেট ব্যাংকে চাকুরী করছিল।
পারিবারিকসুত্রে জানা যায় গত বৃহস্পতিবার ঢাকর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বার্ধক্যজনিত কারনে আলভীর নানী মালেকা বেওয়া মারা যায়।ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে নানীর মৃতদেহ নিয়ে এ্যাম্বুলেন্স যোগে দিনাজপুর নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসার সময় ১সেপ্টম্বর সকাল৭টায় দিনাজপুর ঘোড়াঘাট উপজেলার নুরজাহানপুর মসজিদের কাছে দাড়িয়ে থাকা ট্রাককে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সটি ধাক্কা মারলে এ্যাম্বুলেন্সের সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং এ্যাম্বুলেন্সের সামনে বসে থাকা নাতী মাহিন আলভীর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এবং চালক গুরুত্বর আহত হয়।এসময় স্থানীয় প্রশাসন ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও স্থানীয়রা এসে মৃতদেহ এবংগুরুতর আহত এ্যাম্বুলেন্সের চালককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন এবং মৃতদেহ পুলিশের হেফাজতে দেয়া হয়।আহত এ্যাম্বুলেন্স চালক মিঠুন বরিশাল গৌরনদী উপজেলার শরিকল গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে।
ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইন চার্য মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ জানান ঢাকা থেকে নানীর মৃতদেহ নিয়ে নিজ গ্রামের বাড়িতে যাবার পথে সড়ক দূর্ঘটনায় নাতী মাহিন আলভীর মৃত্যু হয়।পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় সুরতহাল শেষে মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছ।
এদিকে মৃত আলভীর পরিবারে দুই লাশ নিয়ে যেন শোকের মাতন চলছে।মাহিন আলভীর এভাবে মৃত্যুকে যেন তার পরিবার কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না।তবুও ভাগ্যের নির্মম পরিহাষ যা চাইলেও কেও খন্ডাতে পারে না।তবে একই পরিবারে একটা স্বাভাবিক আর একটা অস্বাভাবিক অর্থাৎ নানীর মৃতদেহ আনতে গিয়ে নাতীর মৃত্যু যেন টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে।