ক্ষুধা ও দারিদ্রতা দুরীকরনে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দিনাজপুর সদর উপজেলার ৭নং উথরাইল ইউনিয়নে পুরোনো তালিকা থেকে একাধিক উপকারভোগীর নাম পরিবর্তন করে তদস্থলে নতুন নাম সংযোজন করায় তালিকা থেকে বাদ পরা উপকারভোগীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে এবং ইউনিয়ন পরিষদে সৃষ্টি হয় ব্যাপক উত্তেজনা।
সোমবার(২৬সেপ্টম্বর)৭নং উথরাইন ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের উপকারভোগীদের মাঝে ১৫টাকা কেজি দরে ৩০কেজি চাল বিতরনের সময় চাল নিতে আসা পূর্বের তলিকাভুক্ত অনেক উপকারভোগীর নাম বাদ পরায় সৃষ্টি হয় এই উত্তেজনা। তবে ৭নং উথরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রুহুল আমিন পুরাতন তালিকা অনুযায়ী পরবর্তী ওয়ার্ডগুলোতে চাল বিতরন করা হবে বলে ভোক্তাদের আশ্বস্থ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাদ পরা উপকারভোগীদের দেয়া তথ্য অনুসারে জানা যায় অত্র ইউনিয়নের ৩নাম্বর ওয়ার্ড এর মেম্বার বুদু,৪নং ওয়ার্ড মেম্বার রশিদুল(রশদুল) এবং ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোস্তান এদের বিরুদ্ধে অন লাইনে নাম এন্ট্রি করার পরেও নাম পরিবর্তন করে তদস্থলে নতুন নাম সংযোজন করার অভিযোগ করেন ভোক্তারা।তবে ১নং ও ৯নং ওয়ার্ডের বাদ পরা ১৪জন ভোক্তার নাম যাচাই করে তালিকায় অর্ন্তভুক্তি করার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিংহ।এ প্রসঙ্গে মেম্বারদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান আমরা আমরা নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই করেছি।তবে অপলাইনে এন্ট্র হয়ার পরেও আমাদের ওয়ার্ডের অনেকেরই নাম বাদ পরল কেন,?এটা আমাদের বোধগম্য নয়।আবার চেয়ারম্যানের সাথে কথা বললে তিনি আমার সিল সিগ্নেচার করা লিষ্ট অনলাইন করার পরেও সেটাও পরিবর্তন হয়ে গেছে।তবে ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রে নিয়োজিত সাইদের কারনে অনেক নাম উল্টা পাল্টা হয়েছে। তবে যেটাই ঘটুক আমি পুনরায় লিষ্ট সংশোধনের জন্য মৌখিকভাবে ইউএনও ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে জানিয়েছি।নতুন করে যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক।সর্বোপরি মেম্বার চেয়ারম্যান এর কাদা ছোরা ছুরির স্বীকার হচ্ছেন সহায় সম্বলহীন নীরীহ জনগন।