মাছ ব্যবসায়ি রাজু আহম্মেদ(২৪) হত্যার ৭২ ঘন্টার মধ্যে প্রধান আসামী শাকিল হোসেন ওরফে ইন্দুর(২২)কে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালি পুলিশ।দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার শাহ্ ইফতেখার আহমেদ পিপিএম সেবা এর দিক নির্দেশনায় কোতয়ালি থানার অফিসার ইন চার্য তানভীরুল ইসলামের চৌখুষ নেতৃত্বে এবং ওসি তদন্ত মোঃ গোলাম মাওলা শাহ্ এর সহোযোগিতায় এস আই শাহরিয়ার সংগীয় ফোর্স সহ অভিযান চালিয়ে গত ১৮অক্টোবর রাতে চিরিরবন্দর থানার ঠাঙ্গাপাড়া এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে দিনাজপুর সদরের বাহাদুর বাজারের মাছ ব্যবসায়ী রাজু আহম্মেদ হত্যার প্রধান আসামী শাকিল হোসেন ইন্দুরকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে। বিজ্ঞ আদালতে আসামী শাকিল হোসেন দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দেয়।
১৯অক্টোবর রাত ৭টায় দিনাজপুর কোতয়ালি থানার ওসি তদন্ত মোঃ গোলাম মাওলা শাহ্ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রতিনিধিকে জানান ১৫অক্টোবর রাত ৯টা ৩০মিনিটে দিনাজপুর সদর উপজেলার ১নং চেহেল গাজী ইউনিয়নের বাংগীবেচা ব্রীজের কাছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামী ইন্দুর গ্রুপের সাথে রাজু আহম্মেদের বাক বিতন্ডতার এক পর্যায়ে মারামারি হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায় আসামী শাকিল হোসেন ওরফে ইন্দুর সহ তার সহোযোগীরা রাজু আহম্মেদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর আহত করে।গুরুতর জখমকৃত অবস্থায় রাজু আহম্মেদকে এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে সে মৃত্যুবরন করে।
উক্ত ঘটনায় মৃত রাজুর বাবা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে শাকিল হোসেন ওরফে ইন্দুরকে প্রধান আসামী করে ৬জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাদীর দায়েরকৃত হত্যা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনা এবং কোতয়ালি থানার অফিসার ইন চার্য ও ওসি তদন্তের সার্বিক সহোযোগিতায় রাজু হত্যার ৭২ঘন্টার মধ্যে প্রধান আসামী ইন্দুরকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করে। রাজু হত্যার প্রধান আসামী ইন্দুরকে ধরে আদালতে প্রেরন করায় মৃত রাজুর পরিবার ও তার মামা আলমগীর এর পরিবার থেকে কোতয়ালি পুলিশের প্রশংসার পাশাপাশি তাদের জন্য দোয়া করেন।
হত্যার তিনদিন না পেরোতেই নিরলস পরিশ্রম করে হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার দিনাজপুর কোতয়ালি পুলিশের উপর জনগনের আস্তার আরেক বড় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন সচেতন মহল।