গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কতৃক পরিচালিত যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্র দিনাজপুর কার্যালয়ের প্রধান কম্পিউটার প্রশিক্ষক ফারহানা চৌধুরীর বিরুদ্ধে সনদপত্র প্রদানে অনিয়মসহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায।
সাংবাদিকদের কাছে কম্পিউটার প্রশিক্ষনার্থীদের দেয়া লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্রের প্রধান কম্পিউটার প্রশিক্ষক ফারহানা চৌধুরী নিজের অক্ষমতাকে ডাকতে সর্বদা প্রশিক্ষনার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ করে এসছে। সে কখোনই কম্পিউটার থিওরীক্যাল ছাড়া প্রাকটিক্যাল ক্লাস করান না। ফরম সংগ্রহ থেকে ভর্তি এবং কোর্স সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন অজুহাতে যেমন আইডি বাবদ ১শ, নবীনবরন, বিদায় বাবদ দুইশত পঞ্চাশ থেকে তিনশত পঞ্চাশ টাকা, কম্পিউটারে সার্টিফিকেট প্রদান বাবদ একশত টাকা থেকে একশত পঞ্চাশ টাকা, আবেদন ফরম বিতরন বাবদ বিশ টাকা (যেটা বিনা মুল্েয বিতরনের নিয়ম থাকলেও), অ্যাসাইনম্যান্ট জমা দেয়ার খাতাও তার কাছ থেকে না নিলে অ্যাসাইনম্যান্ট জমা নেয়া হয় না এবং এর প্রতিবাদ করায় তকদির চৌধূরী নামে এক প্রশিক্ষনার্থীকে বের করেও দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়।
এভাবে দিনের পর দিন প্রশিক্ষনার্থীদের হাতিয়ার বানিয়ে নানা অজুহাতে তাদের কাছ থেকে টাকা আদায়সহ নিজের মনগড়া অনিয়মের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে ফারহানা চৌধূরী। যে সব বাবদ টাকা নেয়া হয় তার কোনটাই বাস্তবায়ন হয় না। সব সময় সে প্রশিক্ষনার্থীদের ডমিনেট করে রাখতে চায়। সব দূর্নীতির চরম শিখরে সে পৌছে গিয়েছে। বেকার যুবক যুবতীরা চাকুরীর প্রত্যাশায় যে সনদপত্রের জন্য প্রশিক্ষন সম্পন্ন করছে সেই সনদ পত্র বিতরনেও চরম অনিয়ম ও দূর্নীতির বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে চলছে সে। ২০২২সালের জানুয়ারি থেকে জুন কম্পিউটার প্রশিক্ষনের ৪৭তম ব্যাচের প্রশিক্ষন সম্পন্ন করা বিরল দোগাছী এলাকার ওসমান গনির ছেলে রাকিব উদ্দীনকে ১৯ সালের ঘষামাজা করা সনদপত্র প্রদান করেছে। সে প্রশিক্ষন সম্পন্ন করার পরেও মিলছে না তার প্রকৃত সনদপত্র। শুধু রাকিব উদ্দীন, শাহা আলম নয় আরো অনেক ভুক্তভোগী রয়েছে যারা প্রশিক্ষন সুষ্ঠ ও সফলভাবে সম্পন্ন করার পরেও মিলছে না সনদ শুধু মাত্র কম্পিউটার প্রশিক্ষক ফারহানা চৌধুরীর স্বেচ্ছাচারিতার কারণে। প্রশিক্ষন চলাকালীন সময়ের শেষ পর্যায়েও দেখা যায় দু একজন নতুন নতুন প্রশিক্ষনার্থীকে যারা ফারহানার নির্দেশে শেষ সময়ে প্রশিক্ষনে অংশগ্রহন করে সনদ হাসিল করে। অথচ যারা আবেদন করে লিখিত,মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে কোর্স সম্পন্ন করে তারাই বঞ্চিত হয় তাদের সনদ প্রাপ্তি থেকে। কোর্স সম্পন্ন করা প্রশিক্ষনার্থী রৌশনী, মামুন, শাহাআলম, মোঃ তফদির চৌধুরীসহ ভুক্তভোগী একাধিক প্রশিক্ষনার্থী কম্পিউটার প্রশিক্ষক ফারহানা চৌধুরীর বিরুদ্ধে দ্রুত বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে তাকে চাকুরী থেকে অব্যাহতি প্রদানের দাবী জানান। সেই সাথে পুরাতন ঘষামাজা সনদপত্র প্রদানের জন্য তার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন যেন ভবিষ্যতে কোন যুবক যুবতী সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশিক্ষন করতে আসা প্রশিক্ষনার্থীদের তার অশুভ দৃষ্টির সমুক্ষীন হতে না হয়। এ প্রসঙ্গ কম্পিউটার প্রশিক্ষক ফারহানা চৌধুরীর সাথে কথা বললে সে অকপটে স্বীকার করলেও পরবর্তীতে তার অদৃশ্য খুটির জোরে সে কোনোকিছুরই তোয়াক্কা করে না। গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য মতে জানা যায়, ফারহানা চৌধুরী তৎকালীন বিএনপি সরকারের শাষনামলে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তার দুলাভাই এর বদৌলতে দিনাজপুর যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্র থেকেই কম্পিউটার প্রশিক্ষনের সনদ পত্র সংগ্রহ করে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অধীনে যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্রে সহকারী কম্পিউটার প্রশিক্ষক হিসেবে ২০০৬ সালে লালমনির হাটে যোগদান করে। এর দু’বছর যেতে না যেতেই সে ২০০৮ সালে দিনাজপুরে যোগদান করে। যোগদানের পর থেকেই দুলাভাইয়ের ক্ষমতার দাপটে চালিয়ে আসছে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি। এ প্রসঙ্গে যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষন অধিদপ্তর দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ের ডিডি মোঃ রওনাকুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিনিধিদের জানান, তার কাছে শিক্ষার্থীদের দেওয়া সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত কমিটি গঠন করে এর সত্যতা পেলে ফারহানা চৌধূরীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ^াস দেন। তবে প্রতিষ্ঠানের এত অনিয়ম ও দূর্নীতির পরেও এর কোনোকিছুই ডিডি অবগত নন।
৩ দিন ২২ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে
৪ দিন ১ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে
১১ দিন ৪ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে
২৩ দিন ১৬ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে
২৭ দিন ১৩ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে
৪২ দিন ১২ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
৪৩ দিন ১৯ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে
৪৫ দিন ১৬ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে