দিনাজপুর সদরের পশ্চিম রামনগর এলাকার কতিপয় দূষ্কৃতিকারী এই এলাকায় প্রতিষ্ঠিত বুড়ি কালি ঠাকুরানী মন্দিরের জায়গা দখল করে ক্লাব নির্মানের পায়তারা করছে বলে অভিযোগ করেন মন্দির রক্ষনা বেক্ষনের দায়িত্বে নিয়োজিত সেবাইত ও মন্দির কমিটির সধারন সম্পাদক নন্দ দুলাল রায়।দিনাজপুর সদরের পশ্চিম রামনগর এলাকার বুড়ি কালী ঠাকুরানী মন্দিরের সেবাইত ও সাধারন সম্পাদক নন্দ দুলাল রায়ের প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরনকৃত অভিযোগ সুত্রে জানা যায় পশ্চিম রামনগর মৌজার সি এস ২৩৩, এসএ ২৩৬ খতিয়ান এবং ২৩৪ ও ২৩৭ দাগের ১১শতাংশ ও ৩২শতাংশ ডাঙ্গা জমি আরএস রেকড মুলে শ্রী শ্রী বুড়ি ঠাকুরানী মন্দির মানিকানার দেবোত্তর সম্পত্তি।অত্র দেবোত্তর জমির মধ্যে ৯.২০শতাংশ জমি সরকার কতৃক অধিগ্রহন করে দেবোত্তর জমি সংযুক্ত রাস্তা নির্মান করেন।এই দেবোত্তর জমির উওর পশ্চিমাংশে সরকারের অধিগ্রহনকৃত ৩০০বর্গফুট বর্গাকার জমি রয়েছে,যা বর্তমানে মন্দির রক্ষনাবেক্ষনের কাজে ব্যবহার্য মালামাল রাখা হচ্ছে এবং এখানে প্রতিবছর দূর্গা পূজা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেব দেবীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।অথচ অত্র এলাকার কতিপয় দুষ্কৃতিকারী যেমন মোঃসাগর,মিঠু,মোঃ সুজন,মোঃ ছাব্বির,মোঃ রনি,মোঃ পাপ্পু সহ অজ্ঞাতনামা ১৬০/১৭০জন একত্রিত হয়ে গত ২৪ ডিসেম্বর অত্র এলাকায় বুড়ি ঠাকুরানী দেবোত্তর সম্পত্তির জায়গা দখল করে ক্লাব নির্মানের জন্য স্থাপনা নির্মানের কাজ শুরু করে এবং মন্দির রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বে নিয়োজিত সেবাইত সহ তার পরিবারবর্গ অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ ও ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত এনে বিভিন্ন উষ্কানীমুলক কথাবার্তা বলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করে।এসময় দেবোত্তর ও মন্দির কমিটির সাধারন সম্পাদক পুলিশি সেবা ৯৯৯কল করলে কোতয়ালি পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।এঘটনায় ৩১ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় বাংলাদেশ মাইনোরিটি ওয়াচ দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি এ্যাড.কমল কান্ত কর্মকার ও সাধারন সম্পাদক শ্যামল ব্যানার্জীসহ মাইনোরিটি ওয়াচ দিনাজপুর জেলা শাখার অন্যান্য সদস্যবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং দেবোত্তর পক্ষে থেকে হিন্দু স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সার্বিক সহোযোগিতা করার পাশাপাশি দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে সহোযোগিতা করার আশ্বাস দেন।