দিনাজপুর সদরের রাজবাড়ী তামলীপাড়া নামক এলাকায় মা মারা যাওয়ার পর মায়ের সৎকার শেষ হতে না হতেই মায়ের কাছে থাকা সাম্যান্য গ্যাসের চূলা নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধে ছোট ভাই ও তার পরিবারের কাছে বড় ভাই জগদ্বীষ চন্দ্র রায় গুরুতর আহত হয়ে এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন।ধনীদের বড় বড় সম্পদ নিয়ে আর গরীবদের ছোট খাটো সম্পদ নিয়েই বিরোধ।মুলত অধিকাংশ বিরোধের মুলে এই সম্পদ।যেখানে রক্তের সম্পর্কেও হার মানিয়ে দেয়।
দিনাজপুর সদরের রাজবাটি তামলী পাড়া এলাকার বাসিন্দা এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত জগদ্বীষ চন্দ্রের ছেলে বিলাস চন্দ্র প্রতিনিধিকে জানান আমার ঠাকুমা অর্থাৎ আমার বাবার মা মারা যাওয়ার ১৭দিন পার হতে না হতেই আমার কাকা আপন চন্দ্র রায় আমার ঠাকুমার গ্যাসের চুলাটা আমার বাবার কাছে চাইতে আসে।এই নিয়ে দুই ভাইএর মধ্যে কথাকাটি হয়।এক পর্যায়ে আমার কাকা আপন চন্দ্র চলে গিয়ে তার স্ত্রী জ্যোস্না বালা, ছেলে সত্যেন চন্দ্র রায়,মেয়ে সাবিত্রী,কৃষ্ণা,পপি ও জামাই পাঁচবাড়ি গোয়ালহাটের বাসিন্দা ধন চন্দ্র রায়কে ডেকে নিয়ে এসে গত ১৯ফেব্রয়ারি দুপুর একটায় আমাদের বাসা থেকে আমর বাবাকে টেনে হেছরে বের করে বাঁশ,লাটি ও লোহার রড দিয়ে উপুর্যপরি শরীরের বিভি জায়গায় আঘাত করে হাত ভেঙ্গে দেয়,এই সময় আমা এগিয়ে আসলে তাকেও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। বিনা অপরাধে সামান্য গ্যাসের চুলার জন্য যারা আমার বাবাকে এভাবে শারীরিক নির্যাতন করেছে,তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে পুলিশের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।এ প্রসঙ্গে জগদ্বীষ চন্দ্রের স্ত্রী বলেন অপরাধীরা আমাকেও ছাড় দেয়নি।বিনা কারনে আমার স্বামীকে মেরে রক্তের করেছে,জখম করেছে আমি তাদের শাস্তি চাই।
তবে হাসপাতালে চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত থাকায় অফিযোগ দাখিল করতে দেরি হয়েছে বাবা একটু সুস্থ হলেই মামলার প্রক্রিয়ায় যাবো বলে বাদি জানান।