দেশের ৫টি অভায়শ্রমে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। নিবন্ধিত না হওয়ায় লক্ষ্মীপুর জেলার প্রায় ২০ হাজার মৎস্যজীবী সরকারি সহায়তা পাচ্ছেন না।কার্ডধারীরাও স্থানীয় মেম্বারকে টাকা দিয়ে চাল নিতে হয়, এমনই অভিযোগ অধিকাংশ জেলেদের। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন জেলেদের ভিজিএফ সহায়তা দেওয়া শুরু হয়েছে। টাকা লেনদেনের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
মৎস্য সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর ৩ ধারার ৫ উপধারা মোতাবেক মার্চ-এপ্রিল জাটকা মৌসুমে দেশের পাঁচটি অভায়শ্রমে সকল প্রকার মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এ কর্মসূচি অনুযায়ী লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় ২৭ হাজার মেট্রিকটন মাছের লক্ষ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জেলার বিভিন্ন স্থানে ও মৎস্যজীবিদের মাছ ধরা বন্ধ রাখার জন্য কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা মৎস্য অফিস ও প্রশাসন। এসময়ে জেলেদের ৪ মাস ভিজিএফ সহায়তা দেওয়া হয়। তবে লক্ষ্মীপুরে প্রায় ২০ হাজার জেলে পান না সরকারি কোনো সহায়তা। ফলে অন্য কোনো কর্ম না জানায়, পরিবার নিয়ে কিভাবে দিনাতিপাত করবেন সেটা নিয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যত তাদের।কারো কারো পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস বেকার থাকায় এসময় ঋণে পড়তে হয় তাদের। কারো কারো ২০-৩০ বছর মাছ ধরার বয়স হলেও কার্ডের জন্য আবেদন করেও কোনো ফল পাননি। আবার যারা চাল পান তাদের অনেকেই প্রকৃত জেলে নয় এবং কার্ড থাকলেও স্থানীয় মেম্বারদের ২ হাজার ৫শত থেকে ৩ হাজার টাকা দিতে হয় চাল নিতে এমনই অভিযোগ করেছে মেঘনা পাড়ের অসংখ্য জেলেরা।পাশাপাশি ১ মণ (৪০ কেজি) চালে ৫-১০ কেজি কমও হয় বলে জানান তারা। অধিকাংশ জেলে পরিবারের সংখ্যা অধিক হওয়ায় সরকারের দেওয়া এই চালে তাদের চাহিদা মিটেনা। লক্ষ্মীপুরে মোট মৎস্যজীবি রয়েছে ৫০২৫২ জন। এর মধ্যে কার্ডধারীর সংখ্যা ৩০৭০১ জন। এছাড়াও ইঞ্জিন চালিত নৌকা ১৯৫৭টি এবং ইঞ্জিন বিহীন নৌকা ৫৫০ টি রয়েছে। মৎস্য আড়ৎ ১২৫ টি এবং মাছঘাট রয়েছে ৩০টি। মাছ ধরা বন্ধ থাকায় সংশ্লিষ্ট এসব স্থানে অধিকাংশ মানুষ বেকারত্বে দিন কাটাবে কিংবা কেউ কেউ অন্য পেশায়। তবে তাদের মাঝেও সংকট দেখা দিবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
মতিরহাট ও মৌজুচৌধুরীর হাট এলাকার জেলে বলেন,
প্রকৃত জেলেরা কার্ডও পায়না, চালও পায়না। ৩০-৪০ বছর যাবত মাছ ধরি কিন্তু আমরা অনুদান পায় না। মেম্বারদের টাকা দিলে চাল দেয় না হয় দেয় না। বারবার কার্ডের জন্য আবেদন করেও পায় না। পরিবার বড় হওয়ায় আমাদের এই চালে চাহিদা মিটে না, সংসারে তো আরো খরচ আছে। তাছাড়া ১মণে ৫-১০ কেজি চাল কম দেয়। আমরা চায়, সরকার আমাদের আরো কিছু সহায়তা করুক এবং প্রকৃত জেলেদের অনুদান দেওয়া এবং টাকাবিহীন অনুদান দেওয়ার আবেদন জানায়।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা মাছের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচির উদ্যেগ নিয়েছি। সরকারের দেওয়া ভিজিএফের চাল বিতরন শুরু করেছি। কার্ডধারীরদের চাল দেওয়ায় টাকা লেনদেনের অভিযোগ আমরা পাইনি , যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাই তাহলে আমরা ব্যবস্থা নিবো। প্রকৃত জেলে হতে হলে কিছু শর্ত রয়েছে, সেগুলো জমা দিলে আমরা প্রক্রিয়া করে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
৯ দিন ১৩ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে
১২ দিন ১ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
১২ দিন ১ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে
১২ দিন ১৭ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে
১৩ দিন ১৫ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
২১ দিন ২০ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে
৩৫ দিন ১৪ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
৩৫ দিন ১৯ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে