গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের ৬ জনসহ নিহত ২৪ বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করার অঙ্গীকার দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীদের নাসার সঙ্গে যে চুক্তি স্বাক্ষর করল বাংলাদেশ লাখাইয়ে বোরো ধান কাটা শুরু। কোম্পানীগঞ্জে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক ইশতিয়াক আহমেদ নাটোরে বিএনপি নেতাকে থানা থেকে ছিনিয়ে নিলো নেতাকর্মীরা কালিগঞ্জে মিষ্টির দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার প্রস্তুত: ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ‘বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে সিঙ্গাপুর মডেল অনুসরণ করা প্রয়োজন’ ডোমারে ব্লাড ব্যাংক-জোড়াবাড়ীর পরীক্ষা সামগ্রী বিতরণ রহমতের বৃষ্টি চেয়ে কমলগঞ্জে ইস্তিসকার নামাজ আদায় ডোমারে নববর্ষ উদযাপনে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ডোমারে ছাত্রদলের মানববন্ধন ফিলিস্তিনে খুনি ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে গোমস্তাপুরে ছাত্রদলের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ ইসরায়েলি নৃশংসতার বিরুদ্ধে কুবিতে ছাত্রদলের প্রতিবাদ সুন্দরবনে কোস্টগার্ডের অভিযানের ১১০ কেজি হরিণের মাংস সহ ১ চোরাশিকারী আটক বেনাপোল সীমান্তে বিজিবি অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ভারতীয় মালামাল জব্দ ফিলিস্তিনে গণহত্যা, নৃশংস ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে আশাশুনির কাদাকাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ আশাশুনিতে বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস পালন হাসিনাকে ফেরানোর বিষয় যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বিনিয়োগের এমন অনুকূল পরিবেশ আর হয়নি: প্রধান উপদেষ্টা

সোনারায় শোক দিবস আজ

মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের সপ্তাহখানেক যেতে না যেতেই ১৯৭১ সালের ২৩শে ডিসেম্বর নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ক্ষতিগ্রস্ত শহীদ মিনার পুনঃনির্মাণের সময় যুদ্ধকালীন অব্যবহৃত রকেট লঞ্চারের বিস্ফোরণে ৮ জন নিহত হন। একারণে প্রতিবছরের ২৩শে ডিসেম্বরকে ‘সোনারায় শোক দিবস’ হিসেবে পালন করেন স্থানীয়রা। স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলার আপামর জনতা। দীর্ঘ নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও কয়েক লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে দখলদার পাকবাহিনী থেকে পরিত্রাণ পেয়ে একটি স্বাধীন ভূখণ্ড অর্জন করে বীর বাঙালি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ডোমারেও স্বাধীনতাকামী মানুষের উপর নির্মম নির্যাতন ও সর্বস্ব লুটপাট করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তাদের বর্বরতায় প্রাণ হারান অনেকেই। অবশেষে ৬ই ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় ডোমার। উড়ে লাল-সবুজের পতাকা। অলিতে-গলিতে, পাড়া-মহল্লায় বিজয়ের স্বাদে খুশির জোয়ারে ভাসে স্বাধীনতাকামীরা। তবে দেশ স্বাধীনের সপ্তাহখানেক যেতে না যেতেই শোক নেমে আসে উপজেলার অন্তর্গত সোনারায়বাসীর হৃদয়ে। যুদ্ধের সময় সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবস্থিত শহীদ মিনারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেবছরের ২৩শে ডিসেম্বরের সেটি পুনঃনির্মাণের সময় কয়েকজন কলেজ ও স্কুলপড়ুয়া ছাত্র পার্শ্ববর্তী পুকুরে পড়ে থাকা অব্যবহৃত রকেট লঞ্চারের স্টিল পাইপ দিয়ে শহীদ মিনারের ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড তৈরির জন্য স্ক্রু খোলা মাত্র বিস্ফোরিত হয়ে ৮ জন নিহত ও আরও ৮ জন গুরুতর আহত হন। সেদিনের বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত হন- সোনারায়ের ছাত্র সফিকুর রহমান (সফিকার), চিকনমাটির ছাত্র বজলার রহমান, সোনারায়ের কলেজ ছাত্র ছানাউল আলম ছানু, খুরশিদ আনোয়ার দিলিপ, সোনারায়ের মাহবুবুল হক চৌধুরী, স্কুলছাত্র মোস্তাহারুল ইসলাম মস্তু, হরিণচড়ার আব্দুল হামিদ, নীলফামারীর বাবু। এরমধ্যে বাবু সোনারায়ে তার নানাবাড়ি বেড়াতে এসেছিল। বিস্ফোরণে তার মস্তক ছিন্নভিন্ন হয়ে বিদ্যালয়ের দেয়ালে লেগে ছিল। তৎকালীন এমএনএ বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রউফ সোনারায়ের বিস্ফোরণে গুরুতর আহত ৮ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের শিলিগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করেন। বিস্ফোরণের ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন—ডোমার থানা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সোনারায়ের মোঃ গোলাম আরশাদ, সাবেক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার, সোনারায়ের আফিজ উদ্দিন সরকার, হাজী আব্দুল হক, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ মাহমুদুল হক চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক মোঃ ময়নুল ইসলাম সহ জামিরবাড়ী এলাকার ২ জন রাজমিস্ত্রী।
Tag
আরও খবর