বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা জাতীয় পার্টি ও জাতীয় ছাত্র সমাজ এর উদোগ্যে 'পল্লীবন্ধুর ' জন্মদিন পালন করা হয়। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা জাতীয় পার্টির স্থায়ী কার্যালয়ে পবিত্র কুরআন পাঠের মধ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের সূচনা করা হয় । পরে জাতীয় পার্টি, জাতীয় ছাত্র সমাজ সহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কেক কাটেন, গরীব - দুঃখী মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করেন এবং মোনাজাতের মধ্য দিয়ে জন্মদিনের অনুষ্ঠান শেষ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নুরুন নাহার বেগম ভাইস চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টি ও সভাপতি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা জাতীয় পার্টি । আরো উপস্থিত ছিলেন আবুল কালাম আজাদ সাধারণ সম্পাদক জাতীয় পার্টি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ৷ এ সময় বক্তারা - মরহুম পল্লী বন্ধু হুইসেন মোহাম্মদ এরশাদের শাসন আমলের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন । বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রদূত হিসেবে আখ্যা দেন বক্তৃতারা। উল্লেখ্য, জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৯৪ তম জন্মদিন আজ (২০ মার্চ)। সাবেক এ সেনাপ্রধান ও পাঁচবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য এরশাদ ১৯৩০ সালের ২০ মার্চ কুড়িগ্রাম শহরের ‘লাল দালান’ বাড়িখ্যাত নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন পান ১৯৫২ সালে। তিনি ১৯৭৫ সালের ২৪ আগস্ট মেজর জেনারেল পদে উন্নীত হন।
এরশাদ ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ ক্ষমতা গ্রহণ করেন। ১৯৮৬ সালে তার প্রতিষ্ঠিত দল জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। তিনি দেশে উপজেলা পদ্ধতি চালু করেন। বিরোধীদলের লাগাতার আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন। এরপর গ্রেফতার হয়ে ছয় বছর কারারুদ্ধ থাকেন প্রয়াত সাবেক এ রাষ্ট্রপতি।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক কীর্তি গড়েছেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ১৯৯৭ সালের ৯ জানুয়ারি কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
কারাগারে থাকাকালীন ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে পাঁচটি করে আসনে জয়ী হন এরশাদ। জেলে থেকে নির্বাচনের এমন বিজয় সাফল্যের নজিরও নেই ইতিহাসে। কোনো নির্বাচনে না হারার রেকর্ডও আছে তার।
এরশাদের হাতে গড়া রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি বর্তমান সংসদে প্রধান বিরোধীদল। দশম জাতীয় সংসদেও প্রধান বিরোধীদল ছিল জাতীয় পার্টি।
১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠার পর থেকে অনন্য রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয় দলটি। তৃতীয় ও চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছিল জাতীয় পার্টি। এরপর থেকে প্রতিটি সংসদেই প্রতিনিধিত্ব ছিল জাতীয় পার্টির।
১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদের নির্বাচনের পর সরকার গঠনে জাতীয় পার্টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এছাড়া প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের পরে সরকার গঠনেও জাতীয় পার্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচে বেশি দেশি-বিদেশি অনেক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে জাতীয় পার্টি। একাধিক বড় ধরনের ভাঙনের পরও অস্তিত্ব ধরে রেখেছে এরশাদের গড়া দল জাতীয় পার্টি।
তবে জীবন দশায় দলের দায়িত্ব ছোট ভাইয়ের হাতে তুলে দিয়ে ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে দীর্ঘ জীবনের ইতি টেনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
২৯ দিন ৪ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
৩০ দিন ৭ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে
৪১ দিন ১ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
৫৩ দিন ৭ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
৫৫ দিন ৭ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
৬৭ দিন ৭ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
৭৩ দিন ১১ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
৮৩ দিন ১৩ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে