সাতক্ষীরার আশাশুনি সদরের কোদন্ডা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুখীরাম ঢালীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে।
চার্জসীট সূত্রে জানাগেছে, প্রধান শিক্ষক দুখীরাম ঢালীর কাছে স্কুলের ১০ শ্রেণির ছাত্রী সুস্মিতা বাইন প্রাইভেট পড়তো। পড়াকালীন সময়ে আসামী দুখীরাম ঢালী ভিকটিমকে অশালীন কথাবার্তা বলাসহ বিভিন্ন ভাবে কুপ্রস্তাব দিতেন। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আসামী ভিকটিমকে প্রাইভেট পড়ার শেষে দেরিতে বাড়ি যেতে বলতো। লোক লজ্জার ভয়ে ও নিজের মান সম্মান রক্ষার্থে ভিকিটম ঘটনার কথা কাউকে বলেনি। সবশেষ গত ৪ এপ্রিল বিকাল ৪টার দিকে পড়া শেষ হলে প্রধান শিক্ষক একই ভাবে ভিকটিমকে দেরিতে যেতে বলেন। অন্যরা চলে গেলে তাকে একা পেয়ে ওড়না ধরে টান দেয়া এবং জড়িয়ে ধরে স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি ঘটান প্রধান শিক্ষক। ধস্তাধস্তি ও চেচামেচি শুনে স্বাক্ষীরা ও সহপাঠিরা এগিয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক দ্রæত রুম থেকে বেরিয়ে স্কুল ত্যাগ করেন। ভিকটিম বাদী হয়ে থানায় মামলা রুজু করে। তদন্ত শেষে ভিকটিমের দায়েরকৃত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে সত্য বলে প্রমানিত হওয়ায় আসামীর বিরুদ্ধে চার্জসীট দাখিল করা হয়েছে।
ভিকটিম, ভিকটিমের পরিবারের সদস্য ও স্বাক্ষীরা জানান, সুম্মিতা কমিটির কাছে ও জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে মামলার আসামী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেছিল। কিন্তু কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং কমিটির কোন কোন সদস্য প্রধান শিক্ষকের পক্ষ নিয়ে একমাস পূর্বে ভিকটিমের বাড়িতে গিয়ে তার মাকে চরিত্রহীনাসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত করে মামলা তুৃলে নিতে হুমকী ধামকী দিয়েছিল অভিযোগ করে তারা বলেন, ভিকটিমের মামার স্কুলের চাকরী থাকবেনা বলেও আস্ফালন করা হয়েছিল। এসব নানা চিন্তায় ও চাপে ভীত হয়ে পড়েছিল ভিকটিমের পিতা। কয়েকদিন আগে স্ট্রোক জনতি কারনে তার মৃত্যু হয়েছে। ভিকটিম ও পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়ে প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড ও প্রধান শিক্ষকের পক্ষ নেয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কমিটি ও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
২১ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে
৩ দিন ৩ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
৩ দিন ২১ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে
৪ দিন ২২ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
৪ দিন ২২ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে
৫ দিন ২ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে
৯ দিন ২৩ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে