সাভারে স্বামী বিএনপির সমর্থক হওয়ায় স্ত্রী তাকে তালাক দিয়েছেন বলে জানা গেছে। অনেকেই বলছেন বিষয়টি হাস্যকর। আবার কেউ কেউ বলছেন, স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক কলহের কারণে ওই নারী একটি কৌশল গ্রহণ করেছেন মাত্র। কারণ ওই স্ত্রী তার স্বামীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছেন সাভার মডেল থানায়। সব মিলিয়ে ওই নারীর ভিন্ন উদ্দেশ্য ছিল- এটা পরিষ্কার।
বৃহস্পতিবার রাতে সাভার মডেল থানায় এসে স্বামী ফরহাদ মিয়ার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করতে এসে মৌখিকভাবে পুলিশের কাছে স্ত্রী রহিমা বেগম (৪৩) বলেন, আমার স্বামী বিএনপির সমর্থক, তাই তাকে তালাক দিয়েছি।
রহিমা সাভার উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুরের মো. শাহজাহানের মেয়ে। অভিযুক্ত ফরহাদ মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার খাসিরচর গ্রামের মৃত মোতালেব মিয়ার ছেলে।
রহিমা বেগম নিজেকে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান দাবি করে বলেন, আমার স্বামী ফরহাদ বিএনপির মিছিলে যায়। তার লাইগা আমি তারে ডিভোর্স দিলাম। আমি একজন আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, তিনি আওয়ামী লীগ করতেন। আমি এ কারণে তাকে ডিভোর্স দিয়ে দিলাম। তার সঙ্গে আমি সংসার করব না।
তিনি আরও বলেন, তালাক দেওয়ার পর ফরহাদ আমার ওপর অনেক নির্যাতন ও অত্যাচার করছে। আমাকে প্রচুর মারধর করেছে।
জানা গেছে, ২০ বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।
সচেতন নাগরিকরা বলেন, একই পরিবারের সদস্যরা ভিন্ন ভিন্ন দল সমর্থন করতেই পারেন। কেউ কেউ করছেনও। স্বামী ভিন্ন দল সমর্থন করায় তাকে তালাক দিতে হবে এটা হাস্যকর। অবশ্যই তাদের পারিবারিক কলহের একপর্যায় এসে তার স্বামীকে শাস্তি দেওয়ার জন্য তিনি কৌশল অবলম্বন করেছেন। যাতে পুলিশ তার অভিযোগ আমলে নিয়ে তার স্বামীকে শাস্তি দেয়। এমন ফন্দি এঁটেছেন ওই নারী।
সাভার মডেল থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) শিকদার হারুন অর রশিদ বলেন, ভুক্তভোগীর স্বামী বিএনপি করেন, নেশা করেন। নেশার টাকা না পেলে ওনাকে মারধর করেন। এ বিষয়ে অভিযোগ দিতে তিনি পুলিশ সুপারের কাছে গিয়েছিলেন। আজ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
৩৩০ দিন ২৩ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে
৩৮৭ দিন ১৩ ঘন্টা ২৩ মিনিট আগে
৩৯০ দিন ২১ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে
৩৯২ দিন ১৩ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে
৩৯৬ দিন ২১ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
৩৯৬ দিন ২১ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে
৪০৬ দিন ২২ ঘন্টা ২৩ মিনিট আগে
৪০৯ দিন ১৭ ঘন্টা ০ মিনিট আগে