দিনাজপুর শহরের মুন্সিপাড়ায় রাতের আধারে সুদ ব্যবসায়ী বিষুয়া ,তার ছেলে বিশালসহ সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা দুই ভাই ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস সপে হামলা দোকান ভাংচূড় ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
৮নভেম্বর বুধবার রাত ১১টায় দিনাজপুর পৌরসভাস্থ বালুয়াডাঙ্গা নিবাসী মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে মোঃ মাহাবুব রহমানের দুই ভাই ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস সপ ভাংচূড় ও তাকে মারধরসহ তার প্রায় ২লক্ষ ১০হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে বিষুয়া ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী।
রাতেই দুইভাই ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস সপের স্বত্বাধিকারী মোঃ মাহবুব রহমান বাদী হয়ে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় বিষুয়া ও তার ছেলে বিশাল এবং লালবাগ নিবাসী মোঃ শাহীনের ছেলে মেকার আফছানসহ অজ্ঞাতনামা ৮থেকে ১০ জনকে আসামী করে একটি এজাহার দায়ের করেন।এজাহারের পরপরই দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফরিদ হোসেন।
দায়েরকৃত অভিযোগসুত্রে জানা যায় চাউলিয়াপট্রি নিবাসী বিষুয়ার ছেলে বিশাল তার মোটর সাইকেলের যন্ত্রাংশ মেরামত করার জন্য দিনাজপুর পৌরসভাস্থ মুন্সিপাড়ায় দুই ভাই ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস সপে যায় ।সেখানে মোটরসাইকেল মেরামত করার পর ওয়ার্কস সপ মালিক মাহাবুব রহমান তার কছে ৬শ টাকা চাইলে সে তর্ক বিতর্ক শুরু করার এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মোবাইলে তার বাবা বিষুয়াকে ডাকলে সে ৮/১০জনসহ এসে কোন কথা না শুনেই তার ছেলেসহ সন্ত্রাসীবাহিনী দোকান মালিক মাহাবুব রহমানকে এলোপাথাড়ি মারতে থাকলে তার ছোট ভাই মোঃ মাহিদুর রহমান এবং দোকানের স্টাফরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মেরে সকলের শরীরের বিভিন্ন অংশে কালশিরা ফুলা জখম করে।এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা আরো উত্তেজিত হয়ে হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে দোকানের মালামাল ভাংচূড় করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করতে থাকলে ওয়ার্কস সপ থেকে পুলিশি জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিলে এবং শোর চিৎকার করলে পুলিশ ও এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে বিষুয়া;তার ছেলে বিশাল ও সন্ত্রাসীরা প্রাননাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় এলাকায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।
দুই ভাই ওয়ার্কস সপের স্বত্বাধিকারী মোঃ মাহবুব রহমান প্রতিনিধিকে বলেন আমার কাছে মোটরসাইকেল ঠিক করার জন্য এসেছিল।মটর সাইকেল মেরামত করে দেবার পর ৬০০টাকা বিল চাইলে সুদ ব্যবসায়ী বিষুয়ার ছেলে বিশাল আমার সাথে তর্ক শুরু করে এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে মোবাইল ফোনে তার বাবাসহ কয়েকজনকে ডেকে আনার পর কোন কথা না শুনেই তার বাবা বিষুয়ার হুকুমে সন্ত্রাসীরা তার ছেলে আমাকে আমার ভাইকে ও দোকানের কর্মচারীদের মারধর শুরু ও দোকান ভাংচূড় করে।পরে এলাকাবাসী ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আমার মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তারা পালিয়ে যায় ।এছাড়াও তিনি বলেন যে আমি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছি কোনদিন কোন মানুষ আমার সম্পর্কে খারাপ কিছু বলতে পারবে না বা কোনদিন কোন কাষ্টমারের সাথে আমার দুই কথা হয়েছে।পরিশ্রম করে মজুরি চাওয়াটা কি আমার অপরাধ ? যাদের কারনে আজ আমি ও আমার ভাই নির্যাতিত ও ক্ষতির সম্মুখীন হলাম তাদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি ।