মধুপুরে বিধবা নারীকে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিলেন ধানেশীষের প্রত্যাশী কর্ণেল আজাদ
সহায় সম্বলহীন বিধবা নারী সামিরন বেওয়া। বাবা মায়ের সংসারে দুঃখে কষ্টে বড় হওয়ার পর বিয়ে দেন পাশ্ববর্তী গ্রাম ফইটামারির হাতেম আলীর সাথে। নিঃসন্তান অবস্থায় হাতেম আলী মারা যাওয়ার পর থেকে আজঅবদি দুঃখের শেষ নেই সামিরন বেওয়ার। না আছে তার রাতে মাথা গোঁজার মতো ঠাঁই। অন্যের বাড়ির রান্না ঘরের এক কোনে কোন রকমে রাত কাটিয়ে আসতেছেন সামিরন বেওয়া।
বলছিলাম টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার বেরিবাইদ ইউনিয়নের মাগন্তিনগর গ্রামের অসহায় নারী সামিরন বেওয়ার কথা। এই অসহায় নারীর কথা শুনে তাঁকে মাথ গোঁজার ঠাঁই কতে দিতে ছুটে এলেন মধুপুর -ধনবাড়ীর দানবীর খ্যাত বিএনপি'র ধানেরশীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব) আসাদুল ইসলাম আজাদ। ১০ মে শনিবার বিকেলে তিনি নিজের গাড়িতে করে ১৬ হাত ঘরের জন্য টিন,কাঠ, খাম ও লোহা লাটকি নিয়ে হাজির হলেন মাগন্তিনগর গ্রামে।
হিতৈষী ও বিএনপি থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী মধুপুর উপজেলার মীর্জাবাড়ী ইউনিয়নের সন্তান দানবীর লে: কর্ণেল আসাদুল ইসলাম আজাদের। তিনি নিজে বসে থেকে কাঠমিস্ত্রীদের সাথে কাজ করেন।
এ বিষয়ে কর্ণেল আজাদ বলেন, সামির বেওয়া বৃদ্ধা মানুষ শোনলাম সে পরের বাড়ীতে রাতে ঘুমায়। তার নাকি কোনো সন্তানও নেই । তাই ওনার অসহায়ত্বের কথা শুনে আমি আর বসে থাকতে পারলাম না। আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। এই ঘরটি তার জন্য বিশেষ প্রয়োজন ছিল। আমার প্রত্যাশা সমাজে যারা বিত্তবান আছেন এমন অসহায়ের পাশে দাড়ান। এটাই আপনাকে সারাজীবন মনে রাখবে। তাই কোন বাদবিচার না করেই তার ঘরটি নির্মাণ করছি। এটি আমার দায়িত্বের মধ্যে পরে। তাই করে দিচ্ছি। এমন কাজে আমরা বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসি তাহলে সমাজ সুন্দর হবে। তাই আমি বেশি বেশি যুব সমাজকে এইসব কাজে সম্পৃক্ত রাখতে চাই। যাতে তারা মানবিক কাজ করার আনন্দটা পায়।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মধুপুর উপজেলা বিএনপি'র সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ,সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম মাসুদ, উপজেলা বিএনপি'র মৎস্য বিষয় সম্পাদক মো: নুরুল আলম মেম্বার, উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মাসুদ,উপজেলা সাংস্কৃতিক দলের সহসভাপতি জাহিদুল ইসলাম, পৌর বিএনপি'র ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান, উপজেলা যুবদলের মো: মিনহাজ হোসেন ও উপজেলা ছাত্রদল নেতা মোজাম্মেল হোসাইন প্রমূখ। পরে দোয়া ও মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে ঘর উত্তলনের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।