ঈশ্বরগঞ্জ পৌরশহর ও ইউনিয়নগুলোতে দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অটোরিক্সার দাপট। যত্রতত্র স্ট্যান্ড আর যাত্রী উঠানাম করার ফলে সড়কে বাড়ছে বিশৃংখলা। পৌরশহরের উপর দিয়ে যাওয়া ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়ক এবং ঈশ্বরগঞ্জ- আঠারবাড়ি সড়কটির বাজারের অংশ পুরোটাই যেন পরিণত হয়েছে অটোস্ট্যান্ডে। আটো রিক্সা রাস্তায় উপরে দাঁড়িয়ে থাকার ফলে পথপারীদের রাস্তা ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ঈশ্বরগঞ্জ পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পৌরসভা কর্তৃক এ পর্যন্ত ৪৯২টি অটোবাইক ও ২২৩টি ব্যাটারি চালিত রিক্সার লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় এর চেয়ে তিনগুণ অটোরিক্সা চলাচল করছে এই এলাকায়। হাতের নাগালে অটোর মূল্য, ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন এবং অবাদে চার্জ করার সুবিধা থাকার কারনে যারা খেতে খামারে কাজ করতো তারা অনেকেই এখন চালাচ্ছে অটোরিক্সা। উপজেলা প্রশাসনের বিশেষ নির্দেশনায় অটোরিক্সার ডান পার্শ্বে বন্ধ থাকার কথা থাকলেও বেশির ভাগ অটোরিক্সায় মানা হচ্ছে না এ নিয়ম। অপ্রাপ্ত বয়ষ্করাও লাভের আশায় হাত রাখছে স্টিয়ারিংএ। কোনো প্রকার নিয়ম না মেনে চলা এবং ড্রাইভিংএ অভিজ্ঞতা না থাকার কারনে গ্রামের রাস্তা গুলোতেও বাড়ছে দুর্ঘটনা। কম শ্রমে অধিক লাভ হওয়ার কারনে বেড়েই চলছে অটোরিক্সার দাপট।
অটোরিক্সার ড্রাইভার সুজন মিয়া জানান, একসময় পায়ে প্যাডেল দিয়ে রিক্সা চালালেও বর্তমানে তা অচল। বাধ্য হয়ে চাহিদা বিবেচনা করে আটো কিনেছি। তা থেকে যা আসে তা দিয়ে সংসার চলে যায়।
পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তার জানান, আয়তনে ছোট এ পৌরসভায় বিভিন্ন ইউনিয়নের অটো প্রবেশ করে স্ট্যান্ড সৃষ্টি করায় যানজটে পৌরবাসীর দুর্ভোগ বাড়ছে। লাইসেন্স বিহীন ড্রাইভাররা এসব রিক্সা চালানোর কারনে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনা। প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা না পাওয়ায় বাজারের মধ্য থেকে স্ট্যান্ড সরানো যাচ্ছে না। ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও যানজট নিয়ন্ত্রণে কর্মকান্ড একদমই নেই।
২২ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
৩ দিন ২৩ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
৫ দিন ১৯ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে
৫ দিন ২০ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
৫ দিন ২৩ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
১৪ দিন ৩ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
১৯ দিন ৫ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে
২০ দিন ৩ ঘন্টা ৪৭ মিনিট আগে