ঈশ্বরগঞ্জে মাধ্যমিকের ষষ্ঠশ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে সিট সংকটের কারনে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। অনেক অভিভাবক এ নিয়ে রয়েছেন চরম উৎকন্ঠায়। ২০২৩ সনের ২৯ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে প্রতি শাখায় ৫৫ জনের অধিক শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না বলে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে স্কুল ম্যানিজিং কমিটি কর্তৃক যেসব শাখা স্কুলে বিদ্যমান ছিল সেইসব শাখাতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাচ্ছে না। কেবলমাত্র সরকার কর্তৃক অনুমোদন প্রাপ্ত শাখাতে শিক্ষার্থী ভর্তি করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৪২ টি মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানে অনুমোদিত শাখায় ৩ হাজার ৫শত আসন রয়েছে। অন্যদিকে উপজেলা শিক্ষা অফিস বলছে পিএসসি পরীক্ষা না থাকার কারনে সঠিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা না বলতে পারলেও ২০২৩ সালের বই বিতরণ অনুযায়ি প্রায় ৮ হাজার ৫শত শিক্ষার্থী ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার যোগ্য। এই হিসাব অনুযায়ি অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি না হতে পেরে ঝড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আসন সংখ্যা হঠ্যাৎ করে সীমিত হওয়ায় মানে ভালো প্রতিষ্ঠান গুলোতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে না পেরে পড়ালেখার আগ্রহ হারাচ্ছে অনেক শিক্ষার্থী। নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের বাইরেও উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিভিন্ন কিন্ডার গার্টেন তুলনামূলক কম ভর্তি হওয়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে বই সংগ্রহ করে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতো। এখন কোন প্রতিষ্ঠান থেকেই এইসব কিন্ডার গার্টেন বই পাওয়ার নিশ্চয়তা পাচ্ছে না। কারন সেইসব প্রতিষ্ঠানের শাখা অনুযায়ি তাদের আসন খালি নেই।
তারুন্দিয়া ইউনিয়নের সাখুয়া গ্রামের তামিম নামের শিক্ষার্থীর পিতা আলাল উদ্দিন জানান, ছেলের ভর্তি নিয়ে খুব সমস্যায় আছি। দুরে কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়ে আমার পক্ষে পড়ানো সম্ভব না। তাই এবিষয়টি দ্রুত সমাধান প্রয়োজন।
উপজেলার সাখুয়া আদর্শ বিদ্যা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক হাসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝে একটি সমতা আনা। কিন্তু শহরের তুলনায় গ্রামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক কম থাকায় শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারছে না। তাই এই সমস্যা সমাধানের জন্য দ্রুত অতিরিক্ত শাখা সংযুক্ত করা প্রয়োজন।
এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সরকারের নীতিমালা বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নীতিমালা সংশোধন রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত তবে পর্যাপ্ত পরিমাণ বই রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি বলেন, ভর্তি না হতে পারার ব্যাপারটি আমাদের জানা আছে এবং অনেক অভিভাবক আবেদন নিয়ে এসেছেন ভর্তির জন্য। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা আসলে ভর্তি করানো হবে।
২২ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে
৩ দিন ২৩ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
৫ দিন ১৯ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
৫ দিন ২০ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
৫ দিন ২৩ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে
১৪ দিন ৩ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে
১৯ দিন ৫ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে
২০ দিন ৩ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে