ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১৭ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা সহ মোট ১৮টি ভূমি অফিস রয়েছে। এই ভূমি অফিসগুলো দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এখানে রীতিমতো দর কষাকষির মাধ্যমে চলছে ঘুষ বাণিজ্য। এসব অফিসগুলোর কিছু লালিত দালাল ও অফিসের কর্মকতা, কর্মচারীর মাধ্যমে ষুষ বাণিজ্য।
এদের মধ্যে দালালেরা সেবা গ্রহণকারীদেরকে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখিয়ে ও অফিস খরচের নামে প্রকৃত ভূমি করের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি টাকা আদায় করে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের বলয় সৃষ্টি করে আসছে।
তবে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে উপজেলার সকল ইউনিয়ন ভুমি অফিসে।ইউনিয়নের সকল সেবাগ্রহীতা ইউনিয়ন ভুমি অফিসে ভূমি কর পরিশোধ করা ও নামজারি সংক্রান্ত সেবা গ্রহণ করতে আসতে হয়। এতে করে ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাহিদা মতো টাকা দিতে রাজি না হলে সেবা গ্রহণকারীদের বিভিন্ন অজুহাতে হয়রানি করা হয়। ফলে সেবাগ্রহীতাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ ) সরেজমিনে অনুসন্ধানে গেলে কুমড়াবারিয়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসের ভুমি কর্মকতা মোছাঃ নাজমুন নাহারকে দেখা যায়,ভুমি কর দিতে আসা দু'জন সেবাগ্রহীতার সাথে ভুমি কর নিয়ে দর কষাকষি করছেন। তিনি রিতি মত সেবাগ্রহীতাকে ভুমির কর বাবাদ ১২ হাজার ৪০০ টাকা চেয়ে বসেন।সেবাগ্রহীতা ৫ হাজার টাকা দিতে রাজি হন।পরে অনেক দর কষাকষির পর ৬ হাজার টাকা দিলে ভূমি কর নিবে বলে তাকে জানানো হয়।
এরপর তার কাছে সম্পুর্ণ টাকা না থাকায় ভুমি কর্মকতা মোছাঃ নাজমুন নাহার তার কাছ থেকে অগ্রীম ২ হাজার টাকা ভুমি কর বাবদ আদায় করেন এবং বাকি টাকা আগামীকাল নিয়ে আসতে বলেন।এবিষয়ে ভুক্তভোগী বলেন,পরে আমি বাধ্য হয়ে ২ হাজার দিয়ে আসি যদি পরে আমার কাজ না হয় এই ভয়ে।
ভূমি অফিসগুলো ভূমি কর আদায় করা ছাড়াও নামজারির আবেদন তদন্তের দায়িত্ব পালন করে থাকে। নামজারির আবেদনকারী অনেকে জানান, নামজারির আবেদন ভূমি অফিসে তদন্তের জন্য আসলে অফিস থেকে কল দিয়ে অফিসে ডেকে এনে বিভিন্ন মিথ্যা সমস্যা আছে বলে মোটা অংকের টাকা আদায় করে। সরকারিভাবে নামজারির জন্য ২০ টাকার কোর্ট ফি, ৫০ টাকা নোটিস জারি ফি, খতিয়ান ফি ১০০ টাকা ও রেকর্ড সংশোধন ফি ১০০০ টাকা সহ সর্বমোট ১,১৭০ টাকা হলেও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সকল ভুমি অফিসে নামজারির ফি স্বাভাবিকভাবে ৮/১০হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। আবার ক্ষেত্র বিশেষ সামান্য ভুলক্রুটি থাকলে ২০/২৫হাজার টাকাও নেওয়া হচ্ছে বলে অনেকেই জানান।
এ বিষয়ে কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়ন ভুমি অফিসের কর্মকর্তা মোছাঃ নাজমুন নাহার বলেন,আমরা তেমন কোন টাকা পয়সা নেইনা।মাঝে মধ্যে কিছু মানুষের উপকার করে থাকি।তার কাছে খাজনার টাকা হাতে হাতে নেওয়ার কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, উপকার করতে আমি টাকটা নিয়েছি তেমন কিছু না এই টাকা তার ভূমি করের টাকা।তাকে টাকা হাতে নেওয়া নিশেধ থাকলেও কেন তিনি হাতে নিলেন এবিষয়ে,জিজ্ঞেস করলে
তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
এবিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) না থাকায়, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিয়া আক্তার চৌধুরী সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, দূর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি কোন অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক সমাধানের ব্যবস্থা করেন। কেউ অতিরিক্ত টাকা চাইলে সঙ্গে-সঙ্গে তাকে জানাতে তিনি অনুরোধ করেন।তিনি আরো বলেন দুর্নীতিগ্রস্থ ভুমি কর্মকতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৪ দিন ৬ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে
২৮ দিন ১৮ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
৫৪ দিন ১৮ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে
৭১ দিন ১ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে
৮০ দিন ১৩ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
১২৩ দিন ৪ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
১৪৫ দিন ৪ ঘন্টা ৪৫ মিনিট আগে
১৫০ দিন ১৯ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে