খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গার বিভিন্ন হাট বাজারে উঠতে শুরু করেছে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফল তরমুজ। এছাড়াও ফলের দোকানগুলোতেও তরমুজ প্রচুর পরিমাণে আসতে শুরু করেছে এই রসালো ফল। আবহাওয়া শস্ক থাকায় বিক্রির পরিমাণও ক্রমানসারে বাড়ছে বলে জানান বিক্রেতারা।
উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে ও সড়কের পাশে তরমুজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। ফলের দোকানগুলোতে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। তরমুজ কিনতে আসা ক্রেতা ফরহাদ হোসেন বলেন, গ্রীষ্মকালীন একটি জনপ্রিয় ফল তরমুজ। এটি শুধু শীতলকারক, তৃষ্ণা নিবারক ও প্রশান্তিদায়কই নয়, চিকিৎসকদের মতে তরমুজে সাইট্রুলিন নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদন করে।
মাটিরাঙ্গা রাজারের ফল ব্যবসায়ী পলাশ বলেছেন, বর্তমানে বাজারে নোয়াখালীর সুবর্ণচর এলাকা থেকে বাংলালিংক, হরমুজ, তরমুজ জাতের এই সকল তরমুজ আমদানি করছে। সেখান থেকে কিনে নিয়ে এসে বিক্রি করছি। ওই ব্যবসায়ী আরও বলেন, প্রতি বছর এই মৌসুমি ফলের ব্যবসা করি।
এ অঞ্চলে তরমুজের আবাদ তেমন হয় না। কয়েকটি এলাকাতে অল্প পরিসরে আবাদ হলেও এই সময়ে বাজারে আসে না। আমরা বরিশাল থেকে তরমুজ নিয়ে এসে বিক্রি করি। এর স্বাদ ভালো থাকায় বাজারে চাহিদা আছে। বেশ কয়েক দিন ধরে বিক্রি করছি। বেচাকেনা এখনো সেভাবে জমে ওঠেনি। তবে রমজান মাসে বেচাকেনা জমে উঠবে।
চিকিৎসকের ভাষ্যমতে তরমুজ উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। টিউমারের বৃদ্ধি হ্রাস করে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এবং এর বিটা ক্যারোটিন হৃদযন্ত্রের শক্তি ও কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিহত করে। এতে বিদ্যমান পটাশিয়াম ফ্লুরিড ও মিনারেলের ভারসাম্য ঠিক রাখে, মাংস পেশির অতিরিক্ত সংকোচন দূর করে। এটি ফুসফুস, যকৃত কিডনি ও পাকস্থলীকে শক্তিশালী করে। পেপটিক আলসার সৃষ্টিতে বাধা দেয় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে বলে জানান তিনি।