উন্নত বিশ্বে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে : আসিফ নজরুল পুলিশের নতুন লোগো প্রকাশ ইসলামপুরে ১০ জুয়াড়ি আটক কারাগারে অভিনেত্রী মেঘনা আলম মিয়ানমারে ফের ভূমিকম্প বেড়েছে সবজির দাম, সংকট সয়াবিন তেলের বদলে গেল মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম আশাশুনিতে দেল ও চড়ক পূজার ঐতিহায্য ম্লান হতে শুরু করেছে। আক্কেলপুর যৌথ অভিযানে মাদকসহ আটক ১০ বাঘায় এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা উপকূলে জলবায়ু অবরোধ কর্মসূচী শ্যামনগরে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় প্রথমদিনে অনুপস্থিত ৮০ জন এডভোকেট এরফানুর রহমান মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবি হিসাবে তালিকাভুক্ত হওয়ার ১০ বছর পূর্ণ হল। চিলমারীর সিমান্তে মা ও মেয়েকে উত্ত্যক্তের ঘটনায় ২ গ্রামবাসীর মাঝে সংঘর্ষ ইসলামপুরে পরীক্ষা চলাকালে খোলা রাখায় ফটোকপির দোকান সিলগালা, ২ কর্মচারী আটক রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারিসহ গ্রেপ্তার-৩ বাকৃবি উপাচার্যের সাথে চাইনিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ বাবার মৃত্যুর শোক বুকে চেপে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিল মাসুমা লালপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের অভিভাবক সমাবেশ কালিগঞ্জে সেনা অভিযানে ইয়াবা ও মোটরসাইকেলসহ তিন মাদক কারবারি আটক

মির্জাগঞ্জে শিক্ষা অফিসের হিসাবরক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের দুর্নীতির অভিযোগ

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হিসাবরক্ষক মোঃ জাকির হোসেন'র বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ব্যাপক অনিয়ম, ঘুষ, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে বিভিন্নভাবে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।


তাকে চাহিদা মতো ঘুষের টাকা দিতে না পারলে শিক্ষকদের কপালে জোটে গালিগালাজ, দুর্ব্যবহার, অশালীন মন্তব্য ও হুমকি। হিসাবরক্ষক জাকির হোসেন শিক্ষকদের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী শিক্ষকরা । 



এ ব্যাপারে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভুক্তভোগী শিক্ষকরা সম্মিলিত ভাবে গত ১৩ আগস্ট মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর এবং গত ১৭ আগস্ট বরিশাল অঞ্চলের উপ-পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত জাকির হোসেন উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের পিঁপড়াখালী গ্রামের মোঃ আশ্রাব আলী বেপারির ছেলে। 



লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত জাকির হোসেন ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে মির্জাগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে অফিস সহকারি (কাম ডাটা এন্ট্রি অপারেটর) পদে যোগদান করে। পরবর্তীতে হিসাবরক্ষক পদে পদোন্নতি পায়। এরপর থেকেই তার ঘুষ ও দুর্নীতির অত্যাচারে উপজেলার মাধ্যমিক স্কুল ও দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষকেরা অতিষ্ঠ। ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া ছাড়াও হিসাবরক্ষক জাকিরের জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডে (জিপিএফ) রয়েছে প্রায় ৩১,০০,০০০/-(একত্রিশ লক্ষ) টাকা এবং নামে বেনামে বিভিন্ন ব্যাংকের একাউন্টে রয়েছে কোটি কোটি টাকা। সম্প্রতি হিসাব রক্ষক মোঃ জাকির হোসেন পারফরমেন্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশন (এসইডিপি) কর্তৃক এসএমএজি এর আওতায় পাঁচ লক্ষ টাকা পাইয়ে দেয়ার জন্য সুবিধাভোগী প্রতি প্রতিষ্ঠান থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন। বিনামূ‌েল্য বই বিতরণের জন্য পরিবহন খরচ বাবদ প্রতি প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারি অর্থ বরাদ্দ থাকলেও তা ২০১৭ সাল থেকে হিসাব রক্ষক জাকির হোসেন কোন প্রতিষ্ঠানকে না দিয়ে নিজে আত্মসাৎ করেছে। এমনকি বই বিতরণের সময় প্রতি প্রতিষ্ঠান থেকে কুলি খরচ বাবদ ১-৩ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। প্রতি শিক্ষার্থীর ইউনিক আইডি বাবদ ৩০ টাকা হারে সরকারি অর্থ বরাদ্দ থাকলেও তিনি তা কোন প্রতিষ্ঠানকে না দিয়ে নিজে আত্মসাৎ করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির জন্য বরাদ্দের তালিকার হার্ডকপি তার আফিসে জমা নেওয়ার সময় তাকে প্রতি শিক্ষার্থী বাবদ ৫০ টাকা হারে ঘুষ দিতে হয়। এছাড়াও তিনি জাতীয় কারিকুলামের রুপরেখা সহ বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষনের সময় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ভাতা থেকে প্রকাশ্যে ৩-৫শ টাকা হারে ঘুষ গ্রহন করে এবং বিভিন্ন স্কুলের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীকে শিক্ষক দেখিয়ে প্রশিক্ষনের জন্য বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের সময় প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সম্মানী সহ অফিসের বিভিন্ন খরচের নামে প্রতি প্রতিষ্ঠান থেকে ২০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জোর পূর্বক আদায় করেন। 

অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, উপজেলার সুবিদখালী সরকারি ডিগ্রি কলেজ সংলগ্নে বিশাল দুইতলা বিশিষ্ট অট্টালিকা রয়েছে জাকিরের। পটুয়াখালী জেলা শহরে রয়েছে জমি, বিভিন্ন বিভাগ ও জেলায় তার একাধিক জমি, ফ্লাট, বাড়ি ও গাড়ি রয়েছে। সে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সহায়তায় প্রধান শিক্ষক ও মাদ্রাসার সুপার নিয়োগের প্রশ্ন ফাঁস করে মেধা তালিকায় প্রথম বানিয়ে নিয়োগ পাইয়ে দেয়া বাবদ ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা, সহ-প্রধান শিক্ষক/সহ-সুপার নিয়োগের জন্য ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা, ল্যাব এসিস্ট্যান্ট ও অফিস সহকারী নিয়োগে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা এবং ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করে জাকির। এছাড়াও শিক্ষকদের নতুন এমপিও ভুক্তির জন্য, যে কোন সংশোধনীর জন্য, বি.এড স্কেলের জন্য ও উচ্চতর স্কেলের অনলাইনে আবেদন ফরোয়ার্ড করতে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হিসাব রক্ষক জাকির হোসেন ঘুষ নিয়ে থাকে। এসব ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রেজাউল কবির কে জানালে তিনি মোঃ জাকির হোসেনকে ম্যানেজ করার পরামর্শ দেন। হিসাবরক্ষক জাকির হোসেন

বিভিন্ন উপায়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে নিজ উপজেলায় প্রায় ০৬ বৎসর যাবত ঘুষ ও নিয়োগে বাণিজ্য করে যাচ্ছে। চাকুরী হারানো কিংবা বিভিন্ন হয়রানির ভয়ে কোন শিক্ষক বা কর্মচারী তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না। জাতি গড়ার কারিগররা তার কাছে জিম্মি হয়ে আছে। উপজেলার শিক্ষকদের কাছে তিনি "টাকা খেকো জাকির" নামে পরিচিত। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রেজাউল কবীর এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহোযোগিতায় অভিযুক্ত হিসাবরক্ষক জাকির লাগামহীন ভাবে এসব ঘুষ, দুর্নীতি ও অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগে বলা হয়। 

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জাকির হোসেনের মুঠোফোন কল করলে তিনি বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে, তার বসের (উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা) সাথে কথা বলতে বলেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল কবীর বলেন, যে কোন অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।  

পটুয়াখালী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হবে। 

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, বরিশাল অঞ্চলের উপ-পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, অভিযোগের ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য জেলা শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

আরও খবর


মির্জাগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৩১ দিন ১ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে