আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে অবস্হিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে নৌকার প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
ওবায়দুল কাদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন। বাকি রয়ে গেছে দুইটি আসনের প্রার্থী ঘোষণা। এর একটি হলো নারায়ণগঞ্জ- ৫, যে আসনটির বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির সেলিম ওসমান অপরটি কুষ্টিয়া- ২, যার এমপি জাসদের হাসানুল হক ইনু। নারায়ণগঞ্জ জেলায় রয়েছে মোট পাঁচটি আসন।
এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ- ১ (রূপগঞ্জ) আসনে গাজী গোলাম দস্তগীর, নারায়ণগঞ্জ- ২ (আড়াইহাজার) আসনে নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ- ৩ (সোনারগাঁও) আসনে আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত এবং নারায়ণগঞ্জ- ৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে শামীম ওসমানের নাম ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় নারায়ণগঞ্জ- ৫ (সদর-বন্দর) আসনে কোন প্রার্থীর নামই ঘোষণা করা হয়নি।
অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে ২০০৮ সালে মহাজোটের শরিককে আসনটি ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। ওই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির নেতা এ কে এম নাসিম ওসমান বিজয়ী হন। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে পুনরায় বিজয়ী হন তিনি। এর কিছুদিন পর নাসিম ওসমানের মারা গেলে তার ছোট ভাই বিকেএমইএ'র সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালেও নির্বাচিত হন তিনি। সেলিম ওসমান দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই বলেন, নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী দেয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আমরা বরাবরই দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ করে আসছিলাম। অবশেষে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের মধ্যে ৪টি আসনে আমাদের দলীয় লোককে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তার জন্য আমরা নেত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তবে নারায়ণগঞ্জ-৫ (নারায়ণগঞ্জ সদর-বন্দর) আসনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেনি আওয়ামী লীগ। আশা করি কয়েকদিনের মধ্যেই নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বিষয়ে চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে। জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের জোট রয়েছে বিদায় আসনটি জাতীয় পার্টিকে দেয়া হয়েছে। এবং গত তিনটি নির্বাচনে এখানে জাতীয় পার্টির এমপি নির্বাচিত হয়েছে। এবার নতুন করে তৃণমূল বিএনপি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছে। সেক্ষেত্রে তৃণমূল বিএনপি আসনটি চাইতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তৃণমূল বিএনপি’র মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) থেকে তাদের দলীয় মনোনয়ন কিনেছে। সে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আসবে কেন? তার আসন তো রূপগঞ্জ। আর যদি মহাজোটের মাধ্যমে নির্বাচন হয় তাহলে ২০১৮ সালের মতো আমাদেরকে ছাড় দিতে হবে। তবে শেষ পর্যন্ত আসনটি কাকে দেয়া হবে তার এখতিয়ার এককভাবে নেত্রীর (শেখ হাসিনা) ওপর।
১৭ দিন ১৭ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে
১৮ দিন ১২ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
২১ দিন ৫ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
২৫ দিন ৩ মিনিট আগে
৪৭ দিন ১৪ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
৬১ দিন ২৩ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
৬২ দিন ২ ঘন্টা ২৮ মিনিট আগে
৬২ দিন ২ ঘন্টা ৪৭ মিনিট আগে