জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আগাইড় গ্রামে “ইকোলজি বান্ধব নিরাপদ সবজি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ” শীর্ষক ভ্যালু চেইন উপ-প্রকল্পের আওতায় কোকোডাষ্ট ব্যবহার করে সবজির চারা উৎপাদন বিষয়ক কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকাল ৪ টায় উদ্যোক্তা শ্রীঃ কখিল চন্দ্রের রাধে-শ্যাম নার্সারীতে কোকোডাস্ট ব্যবহার করে সবজির চারা উৎপাদনের উপর কৃষক মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়।
আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ) ও ড্যানিডার অর্থায়নে, পিকেএসএফের সহযোগিতায় ও জাকস ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নে আয়োজিত ওই মাঠ দিবসে জাকসের উপ-পরিচালক (প্রোগ্রাম) মোঃ ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন, জাকস ফাউন্ডেশনের উক্ত প্রকল্পের ভ্যালু চেইন ফ্যাসিলিটেটর জনাব মোঃ মেহেদুল হাসান, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জনাব এ.এ. জাবির, প্রকল্পের মার্কেটিং ম্যানেজার, সহকারী ভ্যালু চেইন ফ্যাসিলিটেটর সুরুজ্জামান, মোত্তালিব, হাসান, কাঞ্চন, স্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শ্রীঃ বিমল চন্দ্র রায়, নার্সারী উদ্যোক্তা শ্রী কখিল চন্দ্র, কৃষক শ্রী সুবোধ কুমারসহ জাকস ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাগণ, উপকরণ সরবরাহকারী এবং অত্র এলাকার সবজি চাষী কৃষকগণ।
এ সময় কৃষক শ্রী সুবোধ কুমার বলেন,তিনি কোকোডাস্টে উৎপন্ন সবজির চারা জমিতে রোপন করেন। এই চারার মৃত্যু হার কম, চারা রোগ ও পোকা-মাকড় মুক্ত একই আকৃতির এবং গুণগত মানসম্পন্ন হওয়ায় ফসলের ফলন অনেকাংশে বৃদ্ধি হয়েছে। এই এলাকায় এই চারা পাওয়া যাওয়ায় আমাদের কৃষকদের নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করার সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
নার্সারী উদ্যোক্তা শ্রী কখিল চন্দ্র বলেন, তিনি প্রকল্পের সহযোগিতায় কোকোডাস্ট ব্যবহার করে গুণগত মানসম্পন্ন সবজির চারা উৎপাদন করে এলাকার কৃষকগণের কাছে গত জুলাই মাস হতে চারা বিক্রি শুরু করেন। এ চারা গুনগত মানসম্পন্ন হওয়ায় প্রতিদিন প্রায় ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ টি বিভিন্ন জাতের চারা কৃষকদের মাঝে সরবরাহ হচ্ছে। আগামীতে বিভিন্ন জাতের মরিচ, বেগুন, টমেটো, ফুলকপি, বাধাকপি, শসা, সীম, লাউ, ক্যাপসিকাম ও ব্রকলির চারা বিক্রয়ের জন্য নার্সারী সম্প্রসারণের কাজ হাতে নিয়েছেন, যেন প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ টি চারা কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করতে পারেন।