আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রশাসন মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসুচীর মধ্যে সরিষাবাড়ী অর্নাস কলেজ মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গের সংবর্ধনা শেষে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভার আয়োজন করেন। ওই আলোচনা সভায় তারা এসব বক্তব্যে প্রদান করেন।
আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথী হিসেবে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ডাঃ মুরাদ হাসান বক্তব্য রাখেন। বিশেষ অতিথী হিসেবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন পাঠান, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডের কমান্ডার মোফাজ্জল হোসেন,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা, সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.এ লতিফ, সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান শাহজাদা, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম মানিক, অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন সহিদ, স্বর্ণপদক প্রাপ্ত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আনিছুর রহমান এলিন,সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবীর,উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি এ কে এম আশরাফুল ইসলাম,উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ পলাশ কান্তি ধর অনুষ্ঠানে বক্তব্যে রাখেন।
অনুষ্ঠটি পরিচালনা করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম ও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার রুহুল আমীন বেগ।এতে সরকারী-কর্মকর্তা-কর্মচারী, দলীয় অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, শিক্ষক-কর্মচারী-শিক্ষাথীগন এবং গনমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আলেচনা সভা শেষে ডিসপ্লেতে অংশ গ্রহনকারী ও চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন অতিথীবৃন্দ।
বাঙালি জাতির জীবনে অনন্য এক দিন ২৬ মার্চ। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালির শোষণ মুক্তির দিন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী একাত্তরের এই দিনে নির্বিচার যে হত্যাকান্ড শুরু করেছিল বুক চিতিয়ে তা প্রতিহতের ডাক দিয়োছিল বীর বাঙালি। শত বাধা ঠেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়দ্বীপ্ত এ দিন। স্বাধীনতার ৫২ বছরে এ দিনটি লাল-সবুজের বাংলাদেশকে বিশ্বসভায় আসীন করেছে আরও গৌরবের সঙ্গে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চে ভয়াল কালো রাত্রিতে ঢাকায় পাকিস্তানী হানাদার সৈন্যদের পৈশাচিক গণহত্যার দিন। সেদিন ভোররাতে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে শত্রুসেনাদের বিতাড়িত করতে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করতে দেশবাসীকে নির্দেশ দেন। এর কিছুুক্ষণ পরই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গ্রেপ্তার করে বঙ্গবন্ধুকে।
বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণায় সেদিনই ঐক্যবদ্ধ সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে গোটা জাতি। স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ভিত্তি তথা চূড়ান্ত লড়াই এ দিনই শুরু হয়।
সেই থেকে হানাদারদের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠে একের পর এক সর্বাত্মক প্রতিরোধ। বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি করে গঠিত হয় প্রবাসী সরকার। অবশেষে নয় মাসের দীর্ঘ রক্ষক্ষয়ী যুদ্ধের পর ত্রিশ লাখ মানুষের জীবন ও অসংখ্য মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা অর্জিত হয়। আকাশে উদিত হয় সবুজ জমিনের বুকে লক্ষ শহীদের টকটকে লাল রক্ত ঢেলে দেয়া স্বাধীনতার সূর্য পতাকা। স্বাধীনতার জন্য এমন আত্মত্যাগ খুব কম জাতি করেছে। এ এক বিশাল সফলতা।
কিন্তু পরিতাপের বিষয়, হানাদারদের সহযোগিতা করেছিল এ দেশেরই কিছু মানুষ। রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনী পাকিস্তানি বাহিনীকে গণহত্যায় শুধু যে সহযোগিতাই শুধু করেছিল তা নয়; তারা নিজেরাও অস্ত্র ধরেছিল মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে; নিরীহ মানুষের ওপর তারাও চালিয়েছিল নির্মম অত্যাচার-নির্যাতন।
২৬ দিন ১৪ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে
১৬৪ দিন ৫ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
১৬৭ দিন ৮ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে
১৭৩ দিন ৫ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
১৭৪ দিন ৪ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
১৭৪ দিন ৮ ঘন্টা ৫০ মিনিট আগে
১৭৮ দিন ৪ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
১৮৭ দিন ৭ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে