সব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে : প্রধানমন্ত্রী চবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে সভাপতি অধ্যাপক ড মাহবুবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড এবিএম আবু নোমান হিটস্ট্রোকে সারাদেশে ১১ জন নিহত বিমানবন্দরে বিশ্বাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আটক শিরীন পারভীন দুদকের প্রথম নারী মহাপরিচালক জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ ২ নম্বর সংকেত, রাতেই ৮০ কি.মি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস যে এলাকায় সৈয়দকাঠী মানব কল্যাণ যুব সংগঠনের আয়োজনে তৃষ্ণা নিবারন চেষ্টা কালিগঞ্জ কলেজ মোড় টু বালিয়াডাঙ্গা রোডে অবৈধ ডাম্পারের জন্য অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ কালিগঞ্জ কলেজ মোড় টু বালিয়াডাঙ্গা রোডে অবৈধ ডাম্পারের জন্য অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ শ্যামনগরে বাঘ সংরক্ষণে গণসচেতনায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা সাতক্ষীরার তালায় মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন মুরশীদা পারভীন পাপড়ি সারিয়াকান্দিতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে জরিমানা সাতক্ষীরায় উপজেলা নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হলে চাকরিচ্যুত করে জেলে পাঠানো হবে: ইসি হাবিব টাঙ্গাইলের মধুপুরে প্রথম ধাপে ৮ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত অধ্যাপক আজিজ স্যারের ৩৩ বছরের শিক্ষকতা জীবনের আজ কর্মদিবসের শেষ দিন সুন্দরবনে খালে ভাসছে বাঘের দেহ টেকনাফে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী অপহরণ ও এনজিও কর্মী নিখোঁজ পেরুতে বাস খাদে পড়ে ২৫ জনের মৃত্যু কে হবেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ? জল্পনা কল্পনার শেষ নেই ।

তৃনমুলের অনাস্থা বেলালের উপর

তৃনমুলের অনাস্থা বেলালের উপর




 বেলাল উদ্দিন সোহেল, এক সময় জেলে পরিবার হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। বাড়ী রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ি এলাকার বিয়ানাবোনা গ্রামে। কিন্তু বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে ভাগ্য বদল হওয়া শুরু হয় তার। মাদক ও চোরাই পথে পন্য আমদানির এক অন্যতম সিন্ডিকেট  ব্যবসায়ী হয়ে কোটি পতি বনে যান বেলাল উদ্দিন সোহেল। সে গত ২০২১ সালে গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে বর্তমানে সে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য পদত্যাগ করেছেন। এতে করে সিনিয়র নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও তার উপর চরম বিব্রত এবং এক প্রকার অনাস্থা আনা শুরু করেছেন। কারন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের বিপরীতে যাওয়ার কারনেই বেলালের উপর চরম ভাবে ফুঁসে উঠেছেন পুরো উপজেলা বাসী।

তৃনমূলের ভাষ্য,, বেলাল উদ্দিন সোহেলের দেওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার যোগ্যতা ছিল না। কিন্তু এমপির আর্শিবাদে বেলাল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। অথচ বিগত তিনবারের চেয়ারম্যান ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আক্তারুজ্জামান আক্তার। তার মত ব্যক্তিকে সরিয়ে বেলালকে দেয়া হয় নৌকা প্রতীক। যা ছিল অবাস্তব কল্পনা। যার আশির্বাদে বেলাল ইউপি চেয়ারম্যান হলেন, এখন সেই বেলাল তাঁকেই টেক্কা দিয়ে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোট করতে চান। যাকে বলে দিবাস্বপ্ন। সেই স্বপ্নেই বিভর হয়ে পড়েছেন বেলাল। তার উচিত ছিল পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করা। সঠিক কাজক্রম ও প্রকৃত সেবক হলে তাকে দলীয় নেতারাই পরামর্শ দিতেন উপরে উঠার জন্য। তিনি তো কখনো জনপ্রতিনিধি ছিলেন না, তার খুব একটা অভিজ্ঞতাই নাই। তাহলে কিভাবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ভোট করতে চান। শুধু টাকা থাকলেই ভোট হয়না। পুরো উপজেলা জুড়ে থাকতে হবে সংগঠন। প্রতিটি ওয়ার্ড গ্রামে থাকতে হবে নিজস্ব কর্মী বাহিনী। শুধু টাকা দিয়েই যদি সব হত তাহলে তো তার চেয়ে অনেক টাকা ওয়ালা লোক গোদাগাড়ী তে আছেন, তারাও ভোট করতেন।

দেওপাড়া ইউপির একাধিক সিনিয়র নেতারা বলেন, বেলাল উদ্দিন সোহেলের ঘাড়ে অতিরিক্ত লোভ ভর করেছে। তানা হলে সে ইউনিয়নের চেয়ার ছেড়ে উপজেলা চেয়ারের স্বপ্ন দেখত না। হয়তো বেলাল মনে করছে ইউপি বাসী যে ভাবে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছে, ঠিক একই ভাবে উপজেলা ভোটেও তাকে বিজয় করবেন। আসলে অবৈধ পন্থায় টাকার মালিক হলে চিন্তা ভাবনাও অবৈধই হয়, এটাই স্বাভাবিক। তারা তো বংশগত ভাবে ধনাঢ্য না। এক সময় জেলে পরিবার ছিল, যা সবাই জানে। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে চোরাই পথে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানী করে বেলাল আজ কোটিপতি। হয় তো বেলাল ভাবছে নির্বাচন করার জন্য পাঁচ দশ কোটি টাকা বা তার অধিক টাকা ভোটের মাঠে বিলি করে ভোটারদের আকৃষ্ট করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হব। এটা এক ধরনের রাজনৈতিক পাগলামি ছাড়া কিছুই না। তাকে অন্তত এবার উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হত, এটা তার একেবারেই বোকামি ছাড়া কিছুই না। আমরা অনেক আশা নিয়ে বেলালকে ইউপি চেয়ারম্যান করেছিলাম। কারন বেলাল তরুন উদীয়মান। ইউপি বাসীকে সর্বাত্মক সেবা প্রদান করবেন। কিন্তু প্রায় আড়াই বছর দায়িত্ব পালনে বেলাল সফলতা আনতে পারেনি। তাহলে কেন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যদি পরাজিত হয় ইউপি চেয়ারও হরালো। অতি লোভ ভাল না, অল্পতেই থাকা শ্রেয়। বেশি লোভ করলে আম ছালা দুটোই হারাতে হয়। আসলে অল্প বয়সে বেলাল অনেক কিছু পেয়ে পাগল পারা হয়ে পড়েছে। একারনেই ঘুমের ঘরে উপজেলা চেয়ারের স্বপ্ন দেখছেন। আরে উপজেলা চেয়ারম্যান যিনি তিনিওতো যুবলীগের সভাপতি। যে যেখানে আছে সেটা নিয়েই সন্তোষ থাকা দরকার। বেলালের মত ব্যক্তিকে নৌকা প্রতীক এনে দিলেন কে সেটাতো সবার জানা। বেলালের উচিত ছিল তার পরামর্শ অনুযায়ী রাজনীতি করা। এখন তাকেই টেক্কা দিয়ে নিজের ইচ্ছায় উপরে উঠতে চায়। উপরে উঠতে হলে কারো না কারো সহযোগিতা প্রয়োজন হয়। শুধু অবৈধ টাকার জোরে উপরে উঠা যায় না। বেলালের রাজনৈতিক জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল সিদ্ধান্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা। এর মাসুল তাকে অবশ্যই দিতে হবে। শেষে আমও গেল ছালাও হারালো, তার পরিস্থিতি এমনই হবে বলে আমাদের ধারণা। এজন্য অযোগ্য ব্যাক্তিদের যোগ্য বানাতে নেই। বিশেষ করে রাজনীতির ক্ষেত্রে।

Tag
আরও খবর