বরগুনার আমতলী উপজেলার সেকান্দার খালী গ্রামের আবু হানিফ নামে (৩৫) নামে এক যুবক স্ত্রীর পরকিয়ার জের ধরে অভিমানে আত্মহত্যা করেছে। তবে স্বজনদের অভিযোগ জোরপূর্বক গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার গভীর রাতে দক্ষিণ পশ্চিম আমতলী গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে।
জানা গেছে, ২০১৬ সালে আমতলী সদর ইউনিয়নের সেকান্দারখালী গ্রামের হারুন হাওলাদারের ছেলে আবু হানিফের (৩২) সাথে একই ইউনিয়নের দক্ষিণ পশ্চিম আমতলী গ্রামের মৃত তোফাজ্জেল হাওলাদারের মেয়ে রিপার (২৫) বিয়ে হয়। তাদের পরিবারে শাহিন (৬) নামে এক পুত্র সন্তান রয়েছে। হানিফের পরিবারের অভিযোগ রিপা ওই ইউনিয়নের সেকান্দারখালী গ্রামের ইউপির এক যুবকের সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পরে। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হত। এক পর্যায়ে গত ১লা এপ্রিল রিপা আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে স্বামী আবু হানিফকে তালাকের নোটিশ পাঠায়। এ ঘটনা হানিফ জানত না।
ঘটনার দিন রবিবার রাতে হানিফ তার শ্বশুর বাড়ি গেলে স্ত্রী রিপার সাথে ঝগড়া এবং মারপিটের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে আবু হানিফ স্ত্রীর সাথে অভিমান করে চাউলের পোকা দমনের গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করে অচেতন হয়ে পরে। এসময় গুরুতর অসুস্থ্য হানিফকে স্ত্রী রিপা আমতলী হাসপাতালে নিয়ে আসলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পথেই তার মৃত্যু হয়। হানিফের স্ত্রী রিপা তার স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টার খবর জানিয়ে ৯৯৯ ফোন করেন। খবর পেয়ে আমতলী থানার পুলিশ হানিফ এবং তার স্বজনদের খবর দিলে তারা পটুয়াখালী হাসপাতালে গিয়ে দেখেন হানিফ মারা গেছে।
অপরদিকে হানিফের মামা মোঃ মোশারেফ হোসেন অভিযোগ স্ত্রী রিপা পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ায় হানিফকে হত্যার জন্য জোরপূর্বক তাকে গ্যাসের ট্যাবলেট খাইয়ে হত্যা করেছে। আমরা এঘটনায় হত্যা মামলা করবো।
নিহত হানিফ এর বোন হালিমা বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকেই রিপা পরকিয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। একারনে সে আমার ভাইকে তালাকের নোটিশ পাঠায় এবং ঘটনার দিন সে স্ত্রীর নিকট গেলে তাকে গ্যাস ট্যাবলেট সেবনে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজায়। আমার ভাইয়ের মৃত্যু হলে রিপা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে আসে।
অভিযুক্ত রিপা বেগম পরকিয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, স্বামী হানিফের সাথে আমার সাংসারিক বনিবনা না হওয়ায় তাকে আমি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ১ এপ্রিল তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছি এবং তাকে আমাদের বাড়িতে আসতে নিষেধ করেছি। তারপরও সে রবিবার রাতে গ্যাসের ট্যাবলেট সেবন করে আমাদের বাড়িতে এসে অসুস্থ্য হয়ে পরে। তাৎক্ষনিক তাকে আমরা আমতলী হাসপাতালে নিয়ে যাই। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পটুয়াখালী হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। এর আগে আমি সব ঘটনা জানিয়ে ৯৯৯ ফোন করি।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) রনজিৎ কুমার সরকার জানান, ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে আমরা হানিফের স্বজনদের খবর দেই এবং হাসপাতালে পুলিশ পাঠাই। হানিফকে পটুয়াখালী হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হওয়ায় ওইখানে তার ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
৮ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে
১৫ ঘন্টা ১৯ মিনিট আগে
১৫ ঘন্টা ৫০ মিনিট আগে
১৫ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
১৬ ঘন্টা ৪৫ মিনিট আগে
১৭ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে
১৭ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে