চট্টগ্রামে ১৪ দলের গণসমাবেশে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ আহত ১০ উলিপুরে গৃহ বধুর রহস্যজনক মৃত্যু ‍"দশ টাকায় তিন চোখঁ" শ্রীমঙ্গলে সবুজ চাদরে ঢাকা নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ঘেরা হজম টিলা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের ওয়েবসাইট উদ্ভোধন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নৈতিকতা কমিটির শুদ্ধাচার সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত যশোরে দৈনিক গ্রামের কণ্ঠের প্রকাশক ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় বিএমএসএস'র নিন্দা ও প্রতিবাদ মাঝ সাগর থেকে ২১ জেলে উদ্ধার চকরিয়ায় পুকুরে পড়ে শিশুর মৃত্যু টেকনাফে র‌্যাবের অভিযানে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার এক সহযোগীসহ গ্রেফতার নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সাজা ও পরোয়ানাভূক্ত আসামী গ্রেফতার আশাশুনিতে পারিবারিক পুষ্টি বাগান বিষয়ক প্রশিক্ষণ আশাশুনিতে দুর্নীতি বিরোধী র‌্যালী ও আলোচনা সভা বুধহাটা গ্রামের বাসুদেব আর নেই। রাসিক ১নং ওর্য়াড পুর্নাঙ্গ মডেল ওয়ার্ড গড়ার জন্য আরেকবার সুযোগ চেয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থী রজব বাঁশখালীতে স্ত্রীর ইজ্জত বাঁচাতে গিয়ে লম্পটের হাতে স্বামী খুন। শ্রীমঙ্গলে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস পালিত ‘কাজুবাদাম’ চাষ পরিদর্শনে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও বাঁশখালীতে স্ত্রীর ইজ্জত বাঁচাতে গিয়ে লম্পটের আঘাতে স্বামী খুন। শেরপুর সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর যা বললেন আশরাফুল আলম মিজান

কলাম : দুঃখ নিয়ে বিশ্ব কবি রবি ঠাকুরের মতবাদ

দুঃখ কাকে বলে এর প্রায় সবই কবিগুরু পেয়েছিলেন এক জীবনে। স্ত্রী মারা গেলেন কবির ৪১ বছর বয়সে। কবির ছিলো তিন মেয়ে, দুই ছেলে। রথীন্দ্রনাথ, শমীন্দ্রনাথ আর বেলা, রাণী ও অতশী।


স্ত্রী'র পর অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন রাণী। এরপর কলেরায় মারা গেলো ছোট ছেলে শমী। পুত্রশোকে কবি লেখলেন-


"আজ জোৎস্নারাতে সবাই গেছে বনে।"


কবি'র মনে হলো এই জোৎস্নায় কবি বনে গেলে হবে না। বরং তাঁকে জেগে থাকতে হবে, যদি বাবার কথা মনে পড়ে শমী'র! যদি এসে কবিকে না পায়? তিনি লেখলেন-


"আমারে যে জাগতে হবে, কী জানি সে আসবে কবে


যদি আমায় পড়ে তাহার মনে।'


রাণীর জামাইকে পাঠিয়েছিলেন কবি বিলেতে ডাক্তারী পড়তে, না পড়েই ফেরত আসলো। বড় মেয়ের জামাইকে পাঠিয়েছিলেন বিলেতে, ব্যারিস্টারী পড়তে, না পড়েই ফেরেত আসলো। ছোট মেয়ে অতশীর জামাইকেও আমেরিকায় কৃষিবিদ্যার উপর পড়াশোনা করতে। লোভী এই লোক কবিকে বার বার টাকা চেয়ে চিঠি দিতো। কবি লেখলেন-


"জমিদারী থেকে যে টাকা পাই, সবটাই তোমাকে পাঠাই।"


দেশে ফেরার কিছুদিন পর ছোট মেয়েটাও মারা গেলো।


সবচাইতে কষ্টের মৃত্যু হয় বড় মেয়ের। বড় জামাই বিলেত থেকে ফেরার পর ছোট জামাইর সাথে ঝগড়া লেগে কবির বাড়ী ছেড়ে চলে যায়। মেয়ে বেলা হয়ে পড়েন অসুস্থ। অসুস্থ এই মেয়েকে দেখতে কবিগুরু প্রতিদিন গাড়ী করে মেয়ের বাড়ী যেতেন। কবিকে যত রকম অপমান করার এই জামাই করতেন। কবির সামনে টেবিলে পা তুলে সিগারেট খেতেন। তবু কবি প্রতিদিনই যেতেন মেয়েকে দেখতে। একদিন কবি যাচ্ছেন, মাঝপথেই শুনলেন বেলা মারা গেছে। কবি শেষ দেখা দেখতে আর গেলেন না। মাঝপথ থেকেই ফেরত চলে আসলেন। হৈমন্তীর গল্প যেন কবির মেয়েরই গল্প!


শোক কতটা গভীর হলে কবির কলম দিয়ে বের হলো -


"আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে।


তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে॥"


কবির মৃত্যু হলো অতিমাত্রায় কষ্ট সহ্য করে, প্রশ্রাবের প্রদাহে। কী কারনে যেন কবির বড় ছেলে রথীন্দ্রনাথের কাছ থেকে শেষ বিদায়টাও পাননি। দূর সম্পর্কের এক নাতনি ছিলো কবির শেষ বিদায়ের ক্ষণে।


কবি জমিদার ছিলেন এইসব গল্প সবাই জানে। কবি'র দুঃখের এই জীবনের কথা ক'জন জানেন?


প্রথম যৌবনে যে গান লেখলেন, এইটাই যেন কবির শেষ জীবনে সত্যি হয়ে গেলো-


"আমিই শুধু রইনু বাকি।


যা ছিল তা গেল চলে, রইল যা তা কেবল ফাঁকি॥"


লেখক: প্রণব মণ্ডল, শিক্ষার্থী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।

আরও খবর