পবিত্র শবে কদর আগামীকাল কাল বিএফএ সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন প্রধান উপদেষ্টা কোম্পানীগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নবগঠিত কমিটির ঘোষণা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর ওপর নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ মার্কিন সংস্থার বাংলাদেশের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী পাকিস্তান ডোমারে বিএনপির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবসে বীর শহীদদের প্রতি নন্দীগ্রাম বিএনপি'র শ্রদ্ধা নিবেদন নন্দীগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন গণঅভ্যুত্থানে শহীদ সোহেলের পরিবারে সাবেক এমপি মোশারফ হোসেনের উপহার আক্কেলপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল কুলিয়ারচরে ছাত্রদলের উদ্যোগে পথচারীদের ইফতার বিতরন কুলিয়ারচরে ছাত্রদলের উদ্যোগে পথচারীদের ইফতার বিতরন আনোয়ারা ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশনের এতিমদের নিয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিল ’২৫ ইং অনুষ্ঠিত মমতায় মাখা মধু খালার চা পীরগাছায় তানজিমুল হিকমাহ একাডেমির হাদিস মুখস্তকারী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ নড়িয়ায় বিএনপি নেতার বাড়িতে বোমা হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা শরীয়তপুরের নড়িয়ায় সুরেশ্বর ফাউন্ডেশনের ঈদ উপহার বিতরণ দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে বাংলাদেশে কিছু নেই: মির্জা আব্বাস বাকৃবিতে স্বাধীনতা দিবসে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের আলাদা শ্রদ্ধা নিবেদন পীরগাছায় ইক্ব্রা ইসলামিক যুব সংগঠনের উদ্বোধন

এনআইডি থাকলে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা উচিত: মোমেন

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 27-05-2023 08:33:55 pm

করের আওতা বাড়াতে যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রয়েছে তাদের রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।


শনিবার (২৭ মে) দুপুরে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) অডিটোরিয়ামে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুহিত ভাই অর্থমন্ত্রী থাকার সময় আমি করের আওতা বাড়ানোর জন্য এনআইডি যাদের আছে, তাদের সবাইকে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেটি হয়নি আমলাতন্ত্রের কারণে, এনআইডি যাদের আছে সবাইকে করের আওতায় আনতে পারলে সাত থেকে আট শতাংশ কর জিডিপির হার বাড়বে। বর্তমানে এক শতাংশ মানুষ করের আওতায় রয়েছে।


তিনি বলেন, ১৭ কোটি মানুষের দেশ অথচ ট্যাক্স দেয় মাত্র সাড়ে সাত থেকে আট শতাংশ লোক। তখন আমি ভাইকে বলেছিলাম, আমেরিকায় যাদের সোশ্যাল সিকিউরিটি কার্ড আছে তাদের ট্যাক্স দিতে হয়। যাদের আয় সাড়ে ৩ হাজার ডলারের নিচে তাদের ট্যাক্স দিতে হয় না। আর যাদের এর ওপরে তাদের ট্যাক্স দিতে হয়। অথচ আমাদের দেশে করদাতা টিন নম্বর পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। এমনকি কোম্পানি ও করপোরেশনগুলো টিন নম্বর করেছে। এজন্য আমি বলেছিলাম, যাদের এনআইডি আছে তাদের সবাইকে ট্যাক্স দিতে হবে। এটা সম্ভব। তিনি এ বিষয়ে আমলাদের যাচাই-বাছাইয়ের জন্য বলেছেন। এখন এটা আমার দাবি, কারণ আমাদের করদাতা বাড়াতে হবে। এজন্য যারই এনআইডি থাকবে তাকেই ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করতে হবে।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকারপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিত জুটির কারণে দেশ ও মানুষের মঙ্গল হয়েছে। কারণ শেখ হাসিনা মানুষের মঙ্গল চান। আর এ মঙ্গল কীভাবে অর্জন করা যায়, সেই মাধ্যম বের করতেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। একই সঙ্গে সেটা বাস্তবায়ন করার জন্য এ জুটি সব সময় কাজ করেছেন। তার ফলে আজ আমাদের দেশের চেহারা পালটে গেছে। দেশ উন্নত হচ্ছে, আজ ২৪ ঘণ্টার পথ ৪৫ মিনিটে যেতে পারছি। সেটা সম্ভব হয়েছে এরকম কৃতী পুরুষ ছিল বলে। আমরা তার মাগফিরাত কামনা করছি।


সৌদিতে স্থায়ী মিশন খোলার বিষয়ে মুহিতের সহযোগিতার কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সময় ২৭টি মিশন করা হয়েছে এবং কেনা হয়েছে। সৌদি আরবে ৩৭ বছর পর শেখ হাসিনার সময়ে মিশন হয়েছে। সব মিলিয়ে নিজেদের মিশন থাকার কারণে সরকারের ৪৭ হাজার ডলারের মতো সেভ হচ্ছে।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অর্থের অভাবে মিশনগুলোতে জাতীয় দিবসগুলো উদযাপন করা হতো না। সেটা জানার পর প্রধানমন্ত্রীর সামনেই মুহিত ভাই অর্থ দেওয়ার জন্য রাজি হয়ে গেলেন।


ইআরএফের সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফজলে কবির এবং সাবেক অর্থসচিব মাহবুব আহমেদ।


স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সাবেক গভর্নর ফজলে কবির বলেন, তাকে নিয়ে কথা বলার জন্য প্রস্তুতির প্রয়োজন ছিল না। যেকোনো স্থান থেকে শুরু করলেই হলো, খানিক বললেই অনেক বলা যাবে। মুহিত স্যার ছিলেন একজন বড় মনের অর্থনীতিবিদ। সব কিছুকে তিনি সহজভাবে নিতেন।


সাবেক অর্থসচিব মাহাবুব আহমেদ বলেন, রাত ১টা ২টা পর্যন্ত তিনি জেগে জেগে ফাইল দেখতেন, পড়াশোনা করতেন। কম ঘুমিয়ে কাজ করতে পারতেন। তার প্রচুর প্রাণশক্তি ছিল। তিনি বলতেন, বাংলাদেশ আরও ভালো করতে পারতো। কিন্তু রোহিঙ্গার কারণে করতে পারেনি। তার কথা শুনে মিয়ানমারের প্রতিনিধি নাখোশ হয়েছিলেন।

আরও খবর