◾ মুফতি আবু দারদা : ইসলামে ভুল শুধরে দেওয়ার সুনির্দিষ্ট আদব রয়েছে। ব্যক্তির সম্মানের প্রতি লক্ষ রেখেই তা করতে হয়। কাউকে সবার সামনে অপমানিত করে ভুল শুধরে দেওয়ার পদ্ধতি ইসলাম অনুমোদন করে না। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কখনোই ভুল শুধরে দিতে কঠোরতার পথ বেছে নেননি। কেউ ভুল করলে একান্তে ডেকে নরম ভাষায় বা ইঙ্গিতে ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন।
হজরত মুআবিয়া ইবনে হাকাম আস-সুলামি (রা.) বর্ণনা করেন, ‘আমি রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে নামাজ পড়ছিলাম। এই সময় এক ব্যক্তি হাঁচি দেয়। আমি তার উত্তরে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলে ফেলি। উপস্থিত লোকজন আমার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালে আমি বললাম, ‘তোমরা আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছো কেন?’ তখন তারা (বিস্মিত হয়ে) ঊরু চাপড়াতে শুরু করে। আমি বুঝতে পারলাম, তারা আমাকে চুপ করতে বলছে। আমি চুপ হয়ে যাই। রাসুল (সা.) নামাজ শেষ করে আমাকে (একান্তে) ডাকলেন। তিনি আমাকে কোনো ধরনের তিরস্কার করেননি এবং কোনো কটু কথাও বলেননি। তাঁর চেয়ে উত্তম শিক্ষক আমি কখনো দেখিনি। তিনি শুধু বলেছিলেন, ‘নামাজে কথা বলা উচিত নয়। নামাজ হলো তাসবিহ, তাকবির ও কোরআন তিলাওয়াতের সমষ্টি।’ (মুসলিম: ৫৩৭)
অন্য হাদিসে এসেছে, আনাস (রা.) বলেন, একদিন আমরা রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে মসজিদে বসে ছিলাম। এ সময় হঠাৎ এক বেদুইন এসে মসজিদের মধ্যেই দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে লাগল। তা দেখে সাহাবিরা ‘থামো থামো’ বলে তাকে প্রস্রাব করতে বাধা দিলেন। তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘তোমরা তাকে বাধা দিয়ো না, বরং তাকে ছেড়ে দাও।’ লোকজন তাকে ছেড়ে দিল, সে প্রস্রাব সেরে নিল। রাসুল (সা.) তাকে কাছে ডেকে বললেন, ‘এটি মসজিদ। এখানে প্রস্রাব করা কিংবা ময়লা-আবর্জনা ফেলা যায় না।…’ (মুসলিম: ২৮৫)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
৭ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
৫ দিন ৫ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে
১০ দিন ২২ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
১১ দিন ১৫ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
১১ দিন ১৭ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে
১২ দিন ৩ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে
১৩ দিন ১ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
১৩ দিন ১৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে